ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি কমেছে
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) শুকনা মরিচ আমদানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। এ সময় গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৫৫ শতাংশ কম শুকনা মরিচ আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে শুকনা মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি দাম বাড়ায় আমদানি কমেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছিল ৯৭ হাজার ৯৫৮ টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে তা কমে ৪৭ হাজার ১২০ টনে নেমেছে। তবে চলতি অর্থবছর আমদানি কমলেও গত অর্থবছরের তুলনায় শুকনা মরিচের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচের আমদানি মূল্য ছিল ১ হাজার ৭৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছর তা বেড়ে ১ হাজার ১৮৮ কোটি ১ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইসরাইল হোসেন জানান, ভারতে কয়েক মাস শুকনা মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি দামও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ কারণে গত অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় পণ্যটির আমদানি অন্তত ৫০-৫৫ শতাংশ কমেছে।
এদিকে আমদানি কমলেও সাতক্ষীরার মসলা বাজারগুলোয় শুকনা মরিচের দাম স্থিতিশীল। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের বাণিজ্যিক মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলা আড়ত ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। একই অঞ্চলের কয়েকটি আড়তে পাইকারিতে শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৪০০-৪১০ টাকায়। এক মাসে আগেও এ পণ্যের দাম একই ছিল বলে জানিয়েছেন আড়ত মালিকরা।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, শুকনা মরিচ আমদানি কমলেও তুলনামূলকভাবে দাম বাড়েনি, বরং কমতির দিকে রয়েছ। দেড়-দুই মাস আগেও সাতক্ষীরার মসলা বাজারে শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে।
ভোমরা বন্দর দিয়ে সারা বছরই প্রচুর পরিমাণ শুকনা মরিচ আমদানি হয়। আমদানীকৃত এসব মরিচ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।
দেশে কুমিল্লা, ভোলা, রায়পুর, বগুড়া, পঞ্চগড়, হাটহাজারী এলাকায় মরিচের আবাদ ও উৎপাদন হয় বেশি। শুকনা মরিচ মূলত রবি মৌসুমের পণ্য। ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশে শীতকালীন রবি মৌসুম শুরু হয়। তবে দেশী মরিচের মান ভালো হলেও আমদানীকৃত মরিচ শুধু দেখতে ভালো হওয়ায় খুচরা বাজারে এটির চাহিদা থাকে বেশি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)