রাজধানীতে পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত
রাজধানীর ঢাকার বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে এক পুলিশ সদস্য কী কারণে আরেক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
শনিবার দিবাগত ২ টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইজিপি এ তথ্য জানান।
এসময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লেগেছে। আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং বিশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনার কারণ জানতে আমরা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করবো। প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।
দূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা, এই ধরনের ঘটনা আইন-শৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল, ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কি কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলী দায়িত্বরত অপর পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর নিহত মনিরের লাশ সড়কে পড়েছিল বেশ কিছুক্ষণ। কাউসারকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)