রবিবার, মে ১৮, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

শার্শা হাসপাতালে দালাল চক্রের দৌরাত্বে রোগীরা জিম্মি!

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ঔষধের দোকানের দালাল চক্রের কারণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনেরা। অতিরিক্ত ঔষধের দাম মেটাতে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। দালালরা স্থানীয় হওয়ায় রোগীরা তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে।

একাধিক সুত্র জানায়, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গড়ে উঠেছে ৯টি ঔষধের দোকান। যার অধিকাংশের ড্রাগ লাইসেন্স নেই। নেই কোন ফার্মাসিষ্ট। আবার অধিকাংশ দোকানি লেখাপাড়ায় ৫ম শ্রেনী পার করেনি। যারা ঔষধের নাম ঠিকমত পড়তেই পারেনা।

সুত্র জানায়, মুর্খ এসব ঔষধ ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে সিরিয়ালের সিষ্টেম করে নিয়েছে। দিনে একজন দোকানী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা সমগ্র রোগীর ব্যবস্থাপত্র জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ঔষধ সরবরাহ করছে এবং তাদেরকে জিম্মি করে ইচ্ছে মত দাম নিচ্ছে। তবে এ সব নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই রোগীর স্বজনদের সাথে বাধছে ঝগড়া থেকে হাতাহাতি ঘটনা ঘটছে।

শার্শার গোড়পাড়া গ্রামের আজিজুর রহমান জানান, তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী হন। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দেওয়া মাত্রই আলাল ফার্মেসীর দালাল আসাদুল তাদের হাত থেকে সেটি ছিনিয়ে নেয় এবং প্রতিটি ঔষধ গ্রুপ পাল্টিয়ে অন্য ঔষধ সরবরাহ করেন। পরে ডিউটিরত নার্সের কথা মত ঔষধ পাল্টাতে গেলে আমার স্বজনদেরকে লাঞ্চিত করে আলাল ও আসাদুল। একই ঘটনা ঘটে গত ২৩ সেপ্টেম্বর। শার্শার শ্যামলাগাছী গ্রামের শিপন নামের এক রোগী শ্বাষ কষ্ট নিয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী হয়। এদিন সিরিয়াল ছিল হুমাইরা ফার্মেসীর দালাল স্বপনের। ঔষধের দাম ৭০০টাকা হলেও তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় ১২শত টাকা। বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সাথে দোকানীর কথা কাটাকাটি হলেও এখনো টাকাটি ফেরত পায়নি তারা। উপরন্ত তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের বিসমিল্লাহ ফার্মেসীর মালিক হাসানুজ্জামান বলেন, এখানে অধিকাংশ ফার্মেসী মালিক লেখাপড়া জানেনা। ডাক্তারের ব্যবস্থ্যাপত্র পড়ার মত ক্ষমতা তাদের নেই। তারপরেও তারা দেদার্ছে মানুষ ঠকিয়ে চলেছে। আবার অনেকের নেই ড্রাগ লাইসেন্স। নেই ফার্মাাসিষ্টের অভিজ্ঞতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, বহির্বিভাগে রোগী আসা মাত্রই ফার্মেসী গুলোর দালালরা হামলিয়ে পড়ে। রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ব্যবস্থ্যাপত্র কেড়ে নিয়ে তারা অধিক মুল্যে ঔষধ সরবরাহ করে। অন্য ফার্মেসী থেকে ঔষধ আনতে গেলে হতে হয় লাঞ্চিত।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‍্যান কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামীকাল আসুন, বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় দেখা যাক।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বেনাপোলে সাড়ে ৬০ লক্ষ টাকার ভায়াগ্রা পাউডার জব্দ

বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে চার বস্তায় ২০১ দশমিক ৫বিস্তারিত পড়ুন

মনিরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন হ*তাহ*ত

মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় হাবিবুর রহমান (৫০) নামের একবিস্তারিত পড়ুন

কেশবপুরে দলিতের আয়োজনে এ্যাডভোকেসী সভা

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুরে দলিতের আয়োজনে এ্যাডভোকেসী সভা ১৫ মে বিকালেবিস্তারিত পড়ুন

  • বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কলম বিরতি : আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
  • মনিরামপুরে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত
  • শার্শায় জালিয়াতি ও প্রতারণাসহ ৩০ মামলার আসামি আনোয়ার গ্রেফতার
  • ভারতের পেট্টাপোলে বিজিবি-বিএসএফ’র সীমান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
  • কেশবপুরে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির সমন্বয় সভা
  • কেশবপুরের গৌরীঘোনা ইউনিয়ন দলিত পরিষদের সমন্বয় সভা
  • যশোরের মনিরামপুরে ভবদহ পাড়ের বোরোচাষীদের বোবা কান্না
  • বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় যুবকের মৃ*ত্যু
  • শার্শার বেলতলা আম বাজার পরিদর্শনে সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি
  • আইসিটি অ্যাক্টে আ’লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে : প্রেস সচিব
  • দৈনিক কল্যাণ পত্রিকার সম্পাদকের নামে মামলা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নিন্দা
  • কেশবপুরে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত