বুধবার, জুন ৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

এবার দিল্লির সুপারশপে দেখা মিললো সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুলের!

এবার ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি সুপারশপে দেখা মিললো পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলামের।

রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রবাসী বাংলাদেশি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ছবিসহ এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পালিয়ে গেছেন বলে জানা যায়। এরআগে ভারতের কলকাতার ইকোপার্কে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার দেখা মিলেছে বলে জানা যায়।

মনিরুল ইসলামের ছবি দিয়ে তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, পলাতক এসবি প্রধান (সাবেক) মনিরুল ইসলামের অবস্থান নিশ্চিত করেছে অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্র। ভারতের রাজধানী দিল্লির কনট প্লেসের (Connaught Place) একটি গ্রোসারি স্টোরে আজ বিকালে মনিরুল ইসলামকে কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার সময় ক্যামেরা বন্দি করেন তিনি।

আরও জানা যায়, ওই এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পলাতক বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বসবাস করছেন। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারত সরকারের উচিত হবে অনতিবিলম্বে এদের খুঁজে বের করে বাংলাদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা। এ বিষয়ে India in Bangladesh (High Commission of India, Dhaka) এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ‘পালাব না’ বলেও বর্তমানে ভারতে অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে হোয়াটসঅ্যাপে মনিরুল ইসলাম ওই সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আপনাকে তো সেদিন (১৮ সেপ্টেম্বর) ঠিকই বলেছি, মিথ্যা তো বলি নাই। আপনাকে যেদিন সাক্ষাৎকার দিয়েছিলাম, তখন সেটাই সত্য ছিল। ঢাকাতেই ছিলাম, আত্মগোপনে ছিলাম।

কোটা সংস্কারে পরিচালিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২৫ কোটি টাকা আনার অভিযোগ ওঠার পর ফোনে সমালোচিত এ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেয় ওই সংবাদ মাধ্যম। সেসময় তিনি বলেন, আমি পালিয়ে যাইনি। পালাবও না। আমি দেশেই ছিলাম, দেশেই আছি। ভবিষ্যতে দেশেই থাকব। তবে দীর্ঘদিন জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত ছিলাম। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অনেক সন্ত্রাসী, জঙ্গি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। যাদের আমি নিজের হাতে গ্রেপ্তার করেছিলাম। তারা আমাকে এখন হুমকি দিচ্ছে। আমি তো এখন পুলিশের কেউ নই। আমাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। আমি এখন স্বাধীন। তাই কোথায় আছি সেটা তো ব্যক্তিগত। তবে দেশেই আছি। নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারি বাসায় ফিরিনি।

তবে ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য ২৫ কোটি টাকা আনার বিষয়টি অস্বীকার করেন এ কর্মকর্তা। তিনি দাবি করেছিলেন, টাকা আনার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এসবি তো অপারেশনাল ফোর্স না। অস্ত্র নিয়ে এই আন্দোলনে এসবির কেউ ডিউটি করেও নাই। দ্বিতীয়ত এসবি হলো ইনটেলিজেন্স ফোর্স, ফাইটিং ফোর্স না। সুতরাং এমন টাকা আনার প্রশ্নই ওঠে না। পুরো বিষয়টি ভুয়া।

তবে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তিনি পালিয়ে যাননি, পালিয়ে যাবেনও না। তিনি দেশেই ছিলেন, দেশেই আছেন। ভবিষ্যতে দেশেই থাকবেন।

মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ১২টির বেশি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদ্য সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ব্যয় করার জন্য গত ৩ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা নিয়ে নিজের কক্ষে রেখেছিলেন মনিরুল। কিন্তু সেই টাকা বিতরণ করার আগেই ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয়। ওইদিন থেকে আর অফিসে যাননি মনিরুল। কিন্তু তার কক্ষে ২৫ কোটি টাকা থাকার তথ্যটি এসবির কয়েকজন কর্মকর্তা জানতেন। পরে সেই টাকা এসবির কয়েকজন কর্মকর্তা নিজেদের কাছে নিয়ে নেন। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। পুলিশ সদরদপ্তর থেকে স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) ডিআইজি গোলাম কিবরিয়াকে কমিটির প্রধান করা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার ইকো পার্কে দেখা গেছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের এক ছেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছে নাকি অবৈধভাবে গেছে সে সম্পর্কে র‌্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র‌্যাবের কোনো ধরনের উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই। আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

জনতার হাতে আটক বিএসএফ সদস্যকে পতাকা বৈঠকে হস্তান্তর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জোহরপুর সীমান্তে জনতার হাতে আটক হওয়া বিএসএফ সদস্য গনেশ মূর্তিকে পতাকাবিস্তারিত পড়ুন

আইপিএলে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে কে কত পেলেন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সদ্য শেষ হওয়া আসরে চ্যাম্পিয়ন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুবিস্তারিত পড়ুন

অনুপ্রবেশ করায় জনতার হাতে ধরা বিএসএফ সদস্য, নেপথ্যে যে ঘটনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক সদস্যকে আটক করেছেবিস্তারিত পড়ুন

  • ১ম শ্রেণি থেকেই সামরিক প্রশিক্ষণ চালু করছে ভারতের একটি রাজ্য
  • কলারোয়া সীমান্তে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • ‘মোদি সরকার জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে’, শীর্ষ জেনারেলের বক্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত নয়াদিল্লির রাজনীতি
  • বাংলাদেশ নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে অমিত শাহের ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য
  • পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার করলো ভারত
  • জয়সওয়ালের মন্তব্যের প্রতিবাদ জামায়াতের
  • সীমান্তে সব লাইট বন্ধ করে পুশইন চেষ্টা, রুখে দিল বিজিবি-জনতা
  • দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন চায় ভারত
  • কলারোয়া সীমান্তে ৬ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় পণ্যসামগ্রী উদ্ধার
  • ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
  • এবার সাতক্ষীরা সীমান্তে ২৩ জন বাংলাদেশিকে পুশব্যাক করলো বিএসএফ
  • ভারতে পাচার ৩৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরলো