শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

করোনাকালে অনলাইনে পড়তে শিক্ষার্থীদের ‘ডাটা চার্জ’ দেবে সরকার

করোনা সংক্রমণের সময়টায় শিক্ষার্থীরা যাতে ঘরে বসে অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারে যে খরচ হবে – তা সরকারই দিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান পৌঁছে দিতে শিক্ষার্থীর যে ‘ডাটা কস্ট’ – সেটি আমরা সাবসিডাইজ করার কথা ভাবছি।’

দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার ১০ দিনের মাথায় মার্চের মাঝামাঝি সব শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্কুলের বন্ধ কয়েক দফা বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা যাতে ঘরে বসে অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য সরকারিভাবে অনলাইনে শিক্ষার খরচ পরিশোধ করা, শ্রেণীকক্ষে কয়েক ভাগে শিক্ষার্থীদের পাঠদান – এরকম নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।

যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীর যে ডাটা কস্ট সেটি সাবসিডাইজ করার জন্য যেমন ধরুন আমরা একটা সরকারি ওয়েবসাইট করলাম। সেখানে ক্লাসের পড়া রেকর্ডেড থাকবে। যার কাছে একটা স্মার্ট ডিভাইস থাকবে সে তার সময়মতো ক্লাস করে নিতে পারবে। মোবাইল কম্পানিগুলো আমাদের বলবে এই সাইটের জন্য কত টাকা ডাটা কস্ট এসেছে। সেটি সরকার পরিশোধ করে দেবে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, স্কুলপর্যায়ে সব শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে ক্লাস না করিয়ে কয়েক ভাগে ভাগ করে ক্লাস নেওয়া সেরকম পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে। এটি হতে পারে এক সপ্তাহে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাস করবে। পরের সপ্তাহে অন্যরা। তবে করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে যে কার্যক্রমই নেওয়া হবে তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ীই হবে- বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

স্কুল খোলার পর যেভাবে এগোতে চান একজন শিক্ষক
বাংলাদেশে শহরের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে পাঠদান চলছে। টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও সরকারের তরফ থেকে পাঠদানের চেষ্টা রয়েছে। তবে দেশে সরকারি হিসেবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে যে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের সবার পরিবার স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য রাখে না। বিশেষ করে মহামারির কারণে যেভাবে মানুষের আয় বন্ধ হয়ে গেছে বা কমে গেছে তাতে অনেকের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে।

অন্যদিকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে বহু পরিবারে টেলিভিশন পর্যন্ত নেই – বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এরকম একটি এলাকা কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক এশতেয়ারা রুমা।
তিনি বলেন, স্কুল খোলার পরপর তাদের হাতে একটি শ্রেণিতে যত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে তার সবকিছু পড়িয়ে শেষ করা সম্ভব হবে না।

এশতেয়ারা রুমা বলেন, ‘শুরুতে প্রতিটি ক্লাসে কিছু বেসিক জিনিস থাকে যেমন প্রথম শ্রেণিতে বর্ণ শেখা ও লিখতে পারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দ্বিতীয় শ্রেণিতে শব্দ শেখা, যুক্তবর্ণ ও বাক্য গঠন, তৃতীয় শ্রেণীতে শিক্ষার্থী সাবলিলভাবে রিডিং পড়তে পারবে। যে শ্রেণিতে যে বেসিক বিষয়, সেগুলোর ওপরই স্কুল খোলার পর আমি জোর দেব।’

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনি্ও গুতেরেস বলেন করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে যেভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে তা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম।

শিক্ষায় এখন যে সংকট চলছে তা যাতে বিপর্যয়ে রূপ না নেয় সেব্যাপারে আজ বিশ্বের সকল সরকারকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষায় গত কয়েক দশকে যে অগ্রগতি হয়েছে তা মুঁছে যাচ্ছে এই কয়েক মাসেই।

শিক্ষায় অর্থ বরাদ্দ বিশ্বব্যাপী ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করছিলেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ গণসাক্ষরতা অভিযানের রাশেদা কে চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘সরকারের সদিচ্ছার একটা বহিঃপ্রকাশ আমরা আশা করেছিলাম বাজেটে। সেটি কিন্তু হয়নি। উল্টো বরং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়ানো হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম এটি প্রত্যাহার করা হবে কিন্তু তা করা হয়নি।’

রাশেদা কে চৌধুরী আরো বলেন, ‘সরকার ডাটা চার্জ দিয়ে দেবে সেটি খুবই ভালো কথা, কিন্তু যে খরচ বেড়েছে সেটি প্রত্যাহার প্রয়োজন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে দেশে ৯৬ শতাংশ পরিবারে মোবাইল ফোন রয়েছে যার বড় অংশই ফিচার ফোন। যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব এবং তাতে রেডিও রয়েছে। সেগুলোর দাম কমানো অথবা সরকারিভাবে বিলি করার কথা বলছেন রাশেদা কে চৌধুরী যাতে সেখানে সরকারিভাবে বার্তা পাঠিয়ে এবং রেডিওর মাধ্যমে পাঠদান সম্ভব হয়।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘সরকার অনেক বার্তা পাঠায় যেমন টিকা দিন, করোনার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এরকম বার্তা পাঠাতে পারে সরকার। টিভিতে যে পাঠদান হচ্ছে, রেডিওতে সেই একই জিনিস সম্প্রচার হলে এই যে এত লোকের হাতে ফিচার ফোন তারা তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় সেটা কাজে লাগাতে পারবে। ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘শিশুরা এখন পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তাসহ নানা ধরনের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। সরকারের উচিত উপবৃত্তির তালিকাটা বাড়ানো। এক পরিবারের দুটি শিশুকে যদি উপবৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে, তাদের যদি আর একটি সন্তান তাকেও এর আওতায় আনা অতি প্রয়োজন। খেতে না পারলে লেখাপড়া হবে না।’

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

একই রকম সংবাদ সমূহ

রাজধানীতে বসবে ২০ পশুর হাট, কোন হাটের ইজারা কত?

এবছর পবিত্র ঈদুল আজহায় রাজধানীর ২০ স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এরবিস্তারিত পড়ুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও

ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলারবিস্তারিত পড়ুন

৪২.২ ডিগ্রি তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, গলছে পিচ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে দাবদাহবিস্তারিত পড়ুন

  • আরও কমলো সোনার দাম
  • র‍্যাবের মুখপাত্র হলেন আরাফাত ইসলাম
  • কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
  • বান্দরবানের ৩ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত: ইসি
  • কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
  • বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলছে আমেরিকা
  • প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক
  • যুদ্ধে নয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ ব্যয় করুন : প্রধানমন্ত্রী
  • বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
  • আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
  • আবারো বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
  • এবার কারিগরি বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের ডাক পড়লো ডিবিতে