কলারোয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করলেন এক ইউপি চেয়ারম্যান
কলারোয়ায় দাম্পত্য কলহ মিটানোর নামে গোপন অভিসারে স্বামীকে তালাক অত:পর কৌশলে দ্বিতীয় বিয়ে করলেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। কলারোয়ার যুগীখালী ইউনিয়নের কামারালী গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসী আব্দুল মালেকের বড় ছেলে সবুজ হোসেন প্রায় বছর দুয়েক আগে বিয়ে করেন উপজেলার ভাদিয়ালী গ্রামের জামাল উদ্দিন স্বর্ণকারের দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের ঘরের মেয়ে সম্পাকে।
বিয়ের বছর খানিকের মাথায় আভ্যন্তরীন কিছু বিষয়ে সবুজ-সম্পার মধ্যে কলহ দেখা দিলে সবুজ হোসেনের দুলাভাই জয়নগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মিজানুরের মাধ্যমে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন আল মাসুদ বাবুর মাধ্যমে একটি শালিশী বৈঠকে তা মধ্যস্থ হয়ে যায় এবং নতুন করে সম্পা-সবুজ আবার ভালভাবে সংসার করতে থাকার মধ্যে সম্পা মোবাইলে গোপনে বাবু চেয়ারম্যানের সাথে পরকীয়া সম্পর্কের সূচনা করে। একথা সম্পার স্বামী এবং শাশুড়ি জেনে ফেলে। এরপর হতে সম্পা তার মায়ের কাছে উপজেলার ভাদিয়ালী গ্রামে চলে যায় এবং সেখানে থাকা অবস্থায় সম্পা তালাক পাঠিয়ে দেয় সবুজ হোসেনকে।
গত ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সবুজ হোসেন এই তালাকের কপি হাতে পায়। তালাক দেওয়ার সাথে সাথে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু তার আমেরিকা প্রবাসী স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই সম্পার বাবা মায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিয়ে করে ঘরে তুলেছেন।
একথাগুলো সাংবাদিককে জানিয়েছেন সম্পার আগের স্বামী সবুজ হোসেনের মা আকলিমা খাতুন এবং পিতা মালেশিয়া প্রবাসী মালেক মোড়ল। তারা আরও বলেন-বছর খানিক আগে আমাদের বৌমার বাপের বাড়ির গ্রামের (ভাদিয়ালীর) একটি মেয়ের বিয়ে হয়েছিল আমাদের ক্ষেত্র পাড়ায়। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে আমার ছেলে এবং বৌমার দাওয়াত ছিল। ছেলে দাওয়াত খেয়ে চলে এসেছিল, বৌমা সেখানে ছিল তার মায়ের সাথে। ওই অনুষ্ঠানে বাবু চেয়ারম্যান গিয়েছিল সেখানে আমার বৌমার মা বাবু চেয়ারম্যানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং চেয়ারম্যান এবং বৌমা মোবাইল নং দেওয়া নেওয়া করে। তার পর থেকে আমার বৌমা চেয়ারম্যানের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে এবং সংসারে অশান্তি করে। এখন আমার বৌমা চলে গেছে অন্যের ঘরে। আমাদের দেওয়া ২টা বিদেশি দামী মোবাইল ও ৩ ভরি সোনার গহনা নিয়ে চলে গেছে।
এদিকে দ্বিতীয় বিয়ের খবর পেয়ে বাবু চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী আমেরিকা প্রবাসী রেখা সরকার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে বাড়িতে ফিরে এসেছেন বলে জানা যায়। বাড়িতে ফেরার পর বাংলাদেশের কোন মোবাইল সিম তার কাছে না থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে চেয়ারম্যান বাবুর শ্যালক আব্দুস সালাম বলেন-আমার বোন বাবু চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে লিখিত বা অলিখিত কোন সম্মতি দেয়নি। ১৬ জুলাই আমার বোন ২দিন ভ্রমন করে আমেরিকা থেকে বাড়িতে আসার পর আমি আমার বোন রেখাকে নিয়ে বাবু চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে দেখলাম তারা বাড়ির ছোট বউসহ সবাই রাতের খাবার খাচ্ছে কিন্তু আমরা দুই ভাই বোন বসে থাকলেও আমাদের খাওয়ার কথা পর্যন্ত বলেনি। এদিকে বাবু চেয়ারম্যানের ছোট বউ সম্পার সদ্য তালাক প্রাপ্ত স্বামী বলেন-আমি আর আমার সাবেক স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাই না। আমি বর্তমানে খুব শঙ্কিত, যে কোন সময় আমার কিছু হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া আমার সকল মোবাইল সিম, আইডি কার্ড ও ফেসবুক আইডি পাসওয়ার্ড ও বাবু চেয়ারম্যানের ছোট স্ত্রী (সম্পার) কাছে রয়েছে সেটা দিয়ে আমার ক্ষতি করতে পারে। এরই আলোকে মো. সবুজ হোসেন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় হাজির হয়ে কে বা কাহারা আমার আইডি কার্ড ও মোবাইল ফেসবুকের আইডি থেকে বিকৃত ছবি আপলোড করছে মর্মে গত ১৮ জুলাই তারিখে পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সাধারণ ডায়েরী নং ৮৬২ ও ৮৬৩ তারিখ: ১৮ জুলাই ২০২১
সূত্র পত্রদূত
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)