কলারোয়ায় রক্তিম সাজে সেজেছে শিমুল ফুল
বাড়ি ফেরার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়া-খোরদো সড়কের রায়টার গ্রামের সবচেয়ে পুরানো শিমুল গাছের ফাগুনে ফোটা প্রথম রাঙ্গা ফুল দেখবার প্রবল বাসানা জাগে আমার, সেই ছোট বেলার অভ্যাসস।তাই আমি প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে দেখি, অনেক দিন ফাগুন এলো কিন্তু শিমুল গাছে ফুল কবে ফুটবে, কিন্তু আজ স্কুলে আসার পথে হঠাৎ রক্ত রাঙ্গা শিমুল আমাকে আজ অভিনন্দন জানাছে।দেখলাম বসন্তের আগমনে এ শিমুল গাছটি রঙ্গিন সাজেঁ সাজেছে।ভরে গেছে গাছের ডালে ডালে রঙিন ফুল।মনে হয় এই রক্ত কমল শিমুল ফুল প্রকুতিকে অন্য রকমভাবে সাজিয়েছে।
প্রকৃতির এ অপরুপ সৌন্দর্য আমাকে মনে করে দেয়..শাহ আব্দুল করিমের সেই গানের লাইন বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্তহ বাতাসে,,বন্ধর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে…সই গো বসন্ত বাতাসে।আজ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গজ্ঞ থেকে পাপড়া বা মানদার গাছ নামে ক্ষ্যত এ শিমুল গাছ হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। প্রচীন কাল থেকে গ্রামের মানুষরা এ শিমুলের তুলা দিয়ে তাদের শুইবার জন্য মাথার বালিশ ও শীতের লেপতশক তৈরি করত। এমনকি নতুন কনের বাড়িতে তুলার তৈরি বিভিন্ন জিনিস পাঠাতো। আজ সে শিমুল গাছ না থাকার কারনে ,এখন সেই আরামের বালিম ও লেপ তোষক তৈরি হয় না।উপজেলা রায়টা গ্রামের মুনছুর আলী বলেন প্রতি বছর এ সময় রাস্তার দুই ধারে শিমুল ফুল ফোটে। মাটির রাস্তা মোটা হওয়ার কারনে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে গরমের আইসক্রিমের কাটি তৈরি করতে ও ভাটায় জালানি হিসাবে ব্যবহার করছে। এলাকার সৌন্দর্য পিপাসুদের দাবী এখন আর নতুন করে কেউ যে রক্তক্ষরন শিমুল গাছ না কাটে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন ছয় ্ঋতুর দেশ বাংলাদেশ রস্নত আসে প্রকৃতিকে রঙিন করতে। আর শিমুল পুল ছড়ায় বসন্ত যেন একেবারে বেমানান। তিনি আরো বলেন বস্নত নিয়ে যত কাব্য রচিত হয়েছে তার অধিকাংশতেই শিমুল ফুলের কথা উঠে আসে।
উপজেলা মুক্তিযুদ্ধার সাবেক কমান্ডর গোলাম মোস্তফা বলেন শিমুল ফুল না ফুটলে যেন বসন্ত আসে না। উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে কম-বেশি শিমুল ফুটেছে। তিনি আরো বলেন- ছেলে বেলায় শেখা গনসংগীত ”রক্ত শিমুল তপ্ত পলাশ দিরো ডাক..ভোরে একুশের মশাল হাতে ছুটে চল নতুন প্রাতে। তাই, মনের ভেতর রক্তে রাঙা হৃদয়ে বিপ্লাবের কথা বলে য়েতে চাই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)