কালিগঞ্জে গ্রীষ্মের তপ্ত গরমে তৃষ্ণা নিবারনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তালের শাঁস
কেউ বলে তালের শাঁস, কেউবা বলেন তাল কুর, কেউ বলে তালের আঁটি। একেক অঞ্চলে একেক নাম। গরমের মধ্যে তালের শাঁস অনেক উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে অনেক গুনাগুন।
তাই জৈষ্ঠের এ মধু মাসে বাজারে নানা ফল ওঠলেও বৈশ্বিক করোনা সংক্রমণ থামিয়ে রাখতে পারেনি মৌসুমী ফলের বাজার।
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ভিন্ন স্থানে ও হাট-বাজারে উঠেছে মৌসুমী কচি তাল। গ্রীষ্মের তপ্ত গরমে তৃষ্ণা নিবারনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তালের শাঁস।
কালিগঞ্জে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে তালের শাস। গ্রীস্মের এই দিনে তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। তাই সবার হাতে পোঁছে যায় কঁচি তালের শাস। বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। বিক্রেতা শাঁস কেটে সারতে পারছেনা, ক্রেতারা দড়িয়ে রয়েছে নিতে।
(২১মে) শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, কচি কচি তাল সংগ্রহ করে পসরা সাজিয়ে বসেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। মৌসুমী ফল হিসেবে তালের শাঁসের বেশ চাহিদা থাকায় ক্রেতারা তা কিনছেন। তালের শাঁস অতি সু স্বাদু হওয়ায় সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে তালের শাঁস একটি জনপ্রিয় ফল। চাহিদা মাফিক সময় মতো শাঁস কেটে সারতে পারছেন না বিক্রেতারা।
প্রতি পিস তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ২/৫ টাকায়। সে হিসেবে একটি আস্তো কচি তাল ১২-২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলার পিরিজপুর এলাকার তালের শাঁস বিক্রেতা সাকিমুদ্দিন জানান, করোনাকালিন সময়ে হোটেল বন্ধ থাকায় কাজ নেই, তাই এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রী করা শুরু করেছেন। বর্তমানে তালের শাঁস বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।
সদর উপজেলার আলী হোসেন থেকে থেকে কচি তাল ক্রয় করে শাঁস বিক্রি করেন। প্রায় দেড় থেকে দুই মাস চলে এই তালের শাঁস বিক্রির কাজ। প্রতিদিন তারা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বসে প্রতিজন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ শাঁস বিক্রি করেন। এতে গড়ে প্রায় ৩০০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়।
উপজেলার ফুলতলার মোড় এলাকার আরেক বিক্রেতা কামাল হোসেন জানান, কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন তিনি। বর্তমানে তেমন কাজ না থাকায় করোনাকালে পরিবারের আর্থিক সঙ্কট দেখা দেয়ায় তালের শাঁস বিক্রি করা শুরু করা হয়েছে। একটি শাঁস আকার ভেদে ১৬ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে চাহিদা থাকায় যেটুকু লাভ হচ্ছে তা দিয়ে সংসার চালানো হচ্ছে।
আবু হাসান নামে একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, করোনাকালের এই ফল বেশ বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে সব বয়সের মানুষ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনিও শাঁস সংগ্রহ কওে বাড়ী নিয়ে যান।
তথ্যমতে, কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে তালের গাছ। তাল শাঁসের রয়েছে স্বাস্থ্যগুণ। তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দুর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ, বি কমপ্লেক্সসহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাস রক্তশূন্যতা দুর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)