মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কালিগঞ্জে সজিনা ফুলে ফুলে ভরে গেছে চারিপাশ

বসন্তের শুরুতে ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ। থোকায় থোকায় ঝুলছে ফুল। ফুলের পরিমাণ এতোটাই যে গাছের পাতা পর্যন্ত দেখার উপায় নেই। ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছির দল মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তার পাশে সজিনার সাদা ফুল পথচারীদের আকৃষ্ট করছে।

রোগ বালাই কম হওয়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা হচ্ছে সজিনা। তাই সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলায় বাইরেও সরবরাহের চিন্তা করছেন চাষীরা।

এক সময় বাড়ির আশপাশের উঠানে সজিনা গাছ লাগানো হতো। সময়ের পরিক্রমায় সজিনার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা এখন ফসলি জমিতে সজিনার চাষ করছেন। পরিকল্পিতভাবে সজিনার চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন তারা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় এই সজিনা।

মৌসুমের শুরুতে সজিনা প্রতি কেজি ১০০/১৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরুতে সজিনার ডাটা খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়। সাধারণত শাখা কেটে রোপণ করার মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার হয়। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গাছ থেকে সজিনা সংগ্রহ করা যায়। ডাটার পাশাপাশি ফুল, পাতাও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সবজি হিসেবে এটি যেমন উপাদেয়, তেমনি এর ভেষজ গুণাবলী অসাধারণ। নানা রোগব্যাধি নিরাময়, রোগ প্রতিরোধ ও শক্তি বৃদ্ধিতে সজিনা অত্যন্ত কার্যকর।

কালিগঞ্জ উপজেলার পানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, জমির পাশে রাস্তার ধারে কয়েকটি সজিনা গাছ লাগিয়েছি। বাড়িতে খাবার পর অতিরিক্ত সজিনা বাজারে বিক্রি করবো। রোগ বালাই কম। খরচ তেমন না হলেও দাম ভাল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছে প্রায় এক থেকে দেড় মণ সজিনা হয়।

উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, সজিনা এখন জমির আইলে ও আবাদি জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে
লাগানো হচ্ছে। গাছে ফুল আসার পর এবং সজিনা ধরার পর একটু কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। এতে ভালো সজিনা হয়।

গাছে যে হারে ফুল আসছে তাতে মনে হচ্ছে সজিনা আসার পর এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো সম্ভব।

উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রকালী গ্রামের মুসলিমা বেগম জানান, আগে বাড়ির উঠানে সজিনা গাছ লাগানো হতো। এখন আবাদের জন্য জমিতে লাগানো হচ্ছে। গত বছর বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেছি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো সজিনা পাবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইকবাল আহমেদ বলেন, আমরা জনগণকে সজিনার গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করছি। এবার উপজেলায় দেশীয় জাতের ১৭ হাজার ৫০টির মতো সজিনা গাছ আছে। গত বছর ছিল ১৫ হাজারের মতো।

তিনি আরো জানান, যেসব এলাকায় সজিনার গাছ নেই সেসব এলাকায় কৃষকদের সজিনার গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সজিনার পুষ্টিগুণ অনেক। এছাড়া সরকারি জায়গায় সজিনার গাছ লাগানো হচ্ছে। আগামীতে সজিনার গাছ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিতে কালিগন্জ

কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউট ৮দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টে এস বি ফুটবল একাডেমীকেবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ার সাংবাদিক আরিফ মাহমুদের মায়ের মৃত্যুতে কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের শোক

মো: আবু বক্কর সিদ্দিক, কালিগঞ্জ : ‘দৈনিক পত্রদূত’র নিজস্ব প্রতিনিধি প্রভাষক আরিফবিস্তারিত পড়ুন

কালিগঞ্জে বিশ্ব জলতঙ্ক দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

আবু বক্কর সিদ্দিক : “জলাতঙ্ক নির্মূলে,, কাজ করি সবাই মিলে” এ প্রতিপাদ্যকেবিস্তারিত পড়ুন

  • কালিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা
  • কালিগঞ্জে রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষের চারা বিতরণ
  • কালিগঞ্জে বড়শিমলা কারবালার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ
  • কালিগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুরে মাদক ও মানবপাচার প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা
  • ভূমি অফিসের নীরব সহযোগীতায় কালিগঞ্জের গলঘেসিয়া নদীর চরে বালির ব্যবসা
  • কালিগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা পালনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
  • কালিগঞ্জে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
  • কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মনসুর মহিলা কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
  • কালিগঞ্জের চৌমুহনী ডিগ্রি মাদ্রাসায় নবীনবরণ অনুষ্ঠান
  • কালিগঞ্জে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধ*র্ষণের অভিযোগে আ*টক-৩
  • কালিগঞ্জের বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সততা স্টোরের উদ্বোধন
  • কালিগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ