বুধবার, এপ্রিল ২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কী অদ্ভুত সুন্দর রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিল আমাদের!


মাসুদ রায়হান পলাশ : ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনের সকাল। চারিদিকে নির্বাচনি আমেজ। ভোট শুরু হয়েছে ঘণ্টা দুয়েক। এমন মুহূর্তে কয়েকজন ব্যক্তি একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাজনৈতিক আলাপ করছিলেন। কে জিতবে, বিএনপি নাকি আওয়ামী লীগ; সে আলাপে মশগুল সবাই।

আড্ডার ফাঁকে এক যুবক আরেক যুবকের উদ্দেশে বলে উঠলেন, ‘আওয়ামী লীগ জিতলে আমি তোকে এক কেজি মিষ্টি খাওয়াব। আর বিএনপি জিতলে তুই আমাকে এক কেজি মিষ্টি খাওয়াবি।’ কোনো কথা ছাড়াই ওই যুবক এ বাজিতে রাজি হয়ে গেলেন। হাসতে হাসতে বললেন, ‘ঠিক আছে, যেই জিতুক; দুই কেজি মিষ্টি কিনে সবাই খাব।’ এ বিষয়ে আড্ডারত সবাই বলে উঠলেন, ‘ডান’।

তাঁদের আলাপ গড়াতে লাগল। ভোটগ্রহণ শেষ হলো। সন্ধ্যা নেমে রাত বাড়তে লাগল। গণণা করতে করতে আড্ডারত এলাকা, অর্থাৎ সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন এলাকায় অন্তত রটে গেছে, আওয়ামী লীগ জিততে চলেছে। আসলেই তাই, ভোটের মাঠে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সে নির্বাচনে জিতে যায় আওয়ামী লীগ।

পরদিন সকালে ওই যুবকেরা দুই কেজি চমচম কিনে সবাই মিলে খান। যেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকও উপস্থিত ছিলেন। কী অদ্ভুত সুন্দর রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিল আমাদের! এ দেশের, বিশেষ করে গ্রামীণ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ভোট মানেই উৎসব ছিল। ভোট কেন্দ্রের পাশে মিষ্টি বিতরণ করা হতো। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যানে করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতেন প্রার্থীর লোকজন।

ভোট বা রাজনীতির মাঠে মতবিরোধ ছিল, পছন্দের ভিন্নতা ছিল; কিন্তু হানাহানি আর রক্তের খেলা ছিল না বললেই চলে। থাকলেও তা যৎসামান্য। সে সময় বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা দল-মত নির্বিশেষে এলাকার বাজারে একসঙ্গে আড্ডা জমাতেন। যাইহোক, কয়েকদিনের মধ্যে বিজয়ী আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপরও কিছুদিন ওই সৌহাদ্যপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি টিকে ছিল সমাজে।

কিন্তু, ২০১৩ সাল থেকে রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপট তড়িৎ গতিতে বদলে যেতে শুরু করে। সারা দেশে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তাদের সাজানো-গোছানো প্রশাসনের রাজনৈতিক সহিংসতাসহ নানা ঘটনার পর ওই রাজনৈতিক সংস্কৃতির পচন শুরু হয়। যা পরে আর যথাযথ পথে ফেরানো যায়নি। বরং, খারাপ দিকে চলে যায় আরও।

প্রেক্ষাপটে এবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী বিরোধী অধিকাংশ রাজনীতির দল সে নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে আ.লীগ বিনা ভোটে ১৫৩ আসনে জয়ী হয়। চিন্তা করুন, বিনা ভোটের এমপি দিয়েই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। এই শুরু হয় একটি গণতান্ত্রিক দলের চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক পথচলা।

যথাযথভাবে ভোটের ব্যবস্থা না করে আওয়ামী লীগ কোটি কোটি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়। যখন কেড়ে নেওয়া হয়ে গেল, তখন ভোটারদের কণ্ঠরোধ করা বা গলা চেপে ধরা ছাড়া তাদের হাতে আর বিকল্প সুযোগ ছিল না। কারণ, কণ্ঠরোধ না করলে আপনি বাজে ভোট নিয়ে উচ্চবাচ্য করবেন। এই উচ্চবাচ্য সরকারকে ঝামেলায় ফেলতে পারে। ফলে, উচ্চবাচ্য থামাতে গিয়ে নিয়মিতভাবে বিরোধী মতের লোকদের ওপর হামলা-মামলা-নির্যাতনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে পতিত আওয়ামী লীগকে। সক্রিয়ভাবে বিরোধীদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, এমন কেউ ঘরে ঘুমাতেও ভয় পেত। কারণ, বিভিন্ন হামলার ভারে তারা জর্জরিত থাকতো। সব মিলিয়ে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে যা যা করতে হয়, সব পথেই হেঁটেছে আওয়ামী লীগ।

এই চিত্র কিন্তু কেবল তালা-কলারোয়া বা সাতক্ষীরার নয়, সারা দেশের অবস্থা প্রায় একইরকম ছিল। এসব পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে, যেখানে ভাই তার আপন ভাইকেও পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া শুরু করে। বিরোধী মতের মানুষের বাড়ির গরু পর্যন্ত নিরাপদ ছিল না সে সময়। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদেরও চাঁদা দিতে হয়েছে, নতুবা হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। ভাই বা পরিচিতজনকে ধরিয়ে দিয়ে আবার পুলিশের সঙ্গে লিয়াজু করে তারাই টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে আনতো। এসব কাজের সঙ্গে জড়িতরা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিল।

রাজনৈতির যে একটি শিষ্টাচার ছিল, তা সমাজ থেকে একেবারে হারিয়ে যেতে থাকে। বিরোধী দলের মাঠে টিকে থাকা ছিল একপ্রকার যুদ্ধে লিপ্ত থাকার মতো। মানুষের ভোটের অধিকার ছিল না। অধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকারও ছিল না মানুষের। এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যেই আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রশাসন ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনের ভোট আগের রাতেই সেরে ফেলে। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ আরও উগ্র হয়ে ওঠে। কারণ, তাদের যথাযথ পথে আর ফেরার সুযোগ ছিল না।

সে সময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা ছিল এক কঠিন ব্যাপার। আমরা যারা টুকটাক সমালোচনা করতাম, তাদের নানা ধরনের ঝুটঝামেলা সামলাতে হতো। লেখালেখির কারণে আওয়ামী রোশানলে পড়তে হতো। হামলার শিকার হতে হতো। আমার ধারণা, লাখ লাখ মানুষকে একই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।

যাইহোক, এতোকিছুর পরও ২০২২ সাল থেকে বিএনপি এবং তাদের সমমনারা আবার মাঠের রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। সারা দেশে মিছিল-মিটিং সভা-সমাবেশ শেষে একটি ভালো অবস্থা তৈরি করে বিএনপি। কিন্তু, ২০২৩ সালের ২৮ আক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে বর্বরাচিত হামলা করে সব লন্ডভন্ড করে দেয় আওয়ামী ও পুলিশ লীগ। মূলত নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখতেই সেদিন এসব ঘটনো হয়েছিল। মানুষের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বর্বর রাজনৈতিক দল।

তারপরের ইতিহাস আপনারা সবাই জানেন। আওয়ামী আমলে বিরোধীদলের ওপর চালানো খুন-গুম-হামলা-মামলা আর ভোট দিতে না পারার পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ফুঁসে ওঠে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। কোটা সংস্কারের মতো একটি আন্দোলন এক বিশাল সামাজিক আন্দোলনে রূপ নেয়। সারা দেশের মানুষ গুলির মুখেও রাস্তায় নেমে পড়ে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগকে বিদায় জানিয়ে তারপর ঘরে ফেরে ছাত্র-জনতার নামে থাকা গণতন্ত্রকামী মানুষ।

চিন্তা করুন, কী ভয়ানক ক্ষমতা ছিল আওয়ামী লীগের। অথচ, আজ তারা কোথায়? এ পরিস্থিতির জন্যও পুরোপুরি দলটি দায়ী। সবচেয়ে বেশি দায়ী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে ক্ষতি যে ব্যক্তি করেছেন, তিনি শেখ হাসিনা। তার অতি মাত্রার গোঁয়ার্তুমি শুধু আ.লীগ নয়, পুরো দেশকেই বিপদে ফেলেছে। লাখ লাখ নিরীহ আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক আজ বিপদগ্রস্ত, এই দায়ও বেশি বর্তায় শেখ হাসিনার ওপর।

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশ একটি ত্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। করবে না কেন? দেশকে কঠিন অবস্থায় ফেলে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে দেশকে টেনে তোলা এতো সহজ কোনো বিষয় নয়। ধীর গতিতে হলেও দেশ এগিয়ে চলছে। তবে, আইনশৃঙ্ক্ষলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। দেশকে অস্থিতিশীল করতে অনেকে ক্রমগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রও চলমান বলে নানা মহলের দাবি।

দেশের এই যখন অবস্থা, তখন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও বিএনপি-জামায়ের নাম ভাঙিয়ে কিছু মানুষ চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে নানা অপরাধে লিপ্ত। খোঁজ নিয়ে দেখেন, ৫ আগস্টের পর থেকে কেউ কেউ নতুনভাবে আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। আওয়ামী আমলে যা যা হতো বা যা করা হতো, এখনও প্রায় সবকিছুই দ্যিমান। কেবল ব্যক্তিরা পাল্টেছে।

এসব করার জন্য আমরা ৫ আগস্টের গণঅর্ভুত্থান ঘটিয়ে বসিনি। আমরা আন্দোলনে ছিলাম একটি সুন্দর দেশ গঠন করার প্রত্যয়ে। অথচ, আওয়ামী বিরোধীদের বা অভ্যুত্থানের পক্ষের লোকদের উচিত ছিল, দেশের ক্রান্তিকালে আরও সতর্ক থাকা। ঐক্য ঠিক রাখা। কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করা। দেশের অসুবিধা হয়, এমন কিছু না করা। যেকোনো ষড়যন্ত্রকে ভন্ডুল করে দেবে, এমনভাবে চিন্তা করে চলা। আমাদের সেই অতিব চমৎকার রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করা। ফেরাতে না পারলেও যেন আরও নষ্ট করার চেষ্টা না করি। আর আওয়ামী লীগ যা করেছে, সব যদি এখনো বিদ্যমান থাকে; তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নতুন নেতৃত্বের পার্থক্য কোথায়?

দেশটা এখনও ধ্বংস হয়ে যায়নি। এই অসভ্য দেশকে একটি সভ্য দেশে পরিণত করার সুযোগ আমাদের এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আপনার, আমার বা আমাদের ছোট্ট ছোট্ট প্রচেষ্টা একসঙ্গে মিলে বড় হয়ে দেশকে রক্ষা করবে। তাই, এলাকার কথিত নেতা না হয়ে যোগ্য সন্তান হয়ে উঠুন। মানুষের উপকারে এগিয়ে আসুন। বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। যেই অন্যায় করুক, প্রতিবাদ করুন। চাঁদাবাজি-দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন। সমাজ বির্নিমানে সহযোগিতা করুন। মানুষই আপনাকে নেতা ভাবা শুরু করবে। আজ আপনার ক্ষমতা আছে। কিন্তু, কাল সেই ক্ষমতা নাও থাকতে পারে। যা ক্ষণস্থায়ী তা নিয়ে বড়াই করার কিছু না।

সংযমের ভিক্ষাগ্রহণের মধ্যে দিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। তাই আসুন, একে অপরেরর সঙ্গে মারামারি-হানাহানি ও বৈরিতা ভুলে পরিবার-পরিজন-পাড়া প্রতিবেশি তথা দেশবাসী, সকলের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। দেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখি। ঈদুল ফিতর আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ ও শান্তি। সবাইকে জানাই, ঈদ মোবারক!

মাসুদ রায়হান পলাশ
সাংবাদিক

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়া সীমান্তের সোনাই নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

অহিদুজ্জামান খোকা, কেড়াগাছি (কলারোয়া): নৌকাবাইচ উপলক্ষে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তের সোনাই নদীতেবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর

মোস্তফা হোসেন বাবলু, কলারোয়া (সাতক্ষীরা): সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মার সুখ ও সমৃদ্ধিবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় আম চাষীদের ভাগ্য বাতাসে ঝুলছে

মোস্তফা হোসেন বাবলু : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দেশ বিনির্মাণে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ
  • ঈদ উপহার পেলেন কারাগারে মৃত্যুবরণকারী কলারোয়ার দুই যুবদল নেতার পরিবার
  • কলারোয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
  • কলারোয়ার ধানদিয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
  • কৃষি ব্যাংকে রেমিট্যান্স এনে সারা দেশে তৃতীয় কলারোয়ার আসমা
  • কলারোয়ায় সিংগা হাইস্কুলে নানান আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
  • যৌক্তিক সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিন : সাবেক এমপি হাবিব
  • সশস্ত্র বাহিনী স্বাধীনতার প্রতীক, বিতর্ক নয় : হাবিবুল ইসলাম হাবিব
  • কলারোয়ায় হাবিব এমপির ভাগ্নে যুবদল নেতা পলাশের স্ত্রী বিয়োগ
  • কলারোয়া সীমান্তে ভারতীয় ওষুধসহ পাঁচ পাঁচ লক্ষাধিক টাকার পণ্য উদ্ধার