রবিবার, আগস্ট ২৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কেন্দ্র-বাক্স দখল, অনিয়ম হলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এ এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে যেন নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে। কোনো কেন্দ্র দখল করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজশাহীতে এ কথা বলেন তিনি।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে মতিবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার কথা অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যেতে চাই। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে এ ধরনের কাজে ছিলেন তাদের পদায়নের কোনো চিন্তা নেই। যারা বাক্স দখলের স্বপ্ন দেখছেন তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান।

আনুপাতিক পদ্ধতি (পিআর পদ্ধতি) নিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, সংবিধানে এ ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। এর বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলছে, তবে আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।

কোনো অনিয়ম হলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল

কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, যারা ব্যালট বাক্স দখল করার স্বপ্নে বিভোর, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবে। যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। ভোটের বাক্স দখলের নিয়ত থেকে থাকলে আপনারা দয়া করে সরে আসুন। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব। তারা ঘুঘু দেখেছে ঘুঘুর ফাঁদ দেখেনি। তারা এবার ফাঁদ দেখবে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (আরপিএটিসি) হল রুমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, দেশের ক্রান্তি লগ্নে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েছি। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশ কোন দিকে আগাবে। দেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে। আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটব নাকি, অন্য পথে হাঁটব। এটা নির্ধারিত হবে এই নির্বাচন থেকে। নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ-জাতি, ইতিহাস আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দ্বারা গাইডেড না। আমরা কোনো রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমাদের কাজ হচ্ছে সরকার যখন চাচ্ছে নির্বাচনটা অর্গানাইজ করা, সেটা করে দেওয়া। আমরা এর মধ্যে থাকব। কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে আমরা যেতে চাই না।

নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কিন্তু একটা সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছি। ভোটার তালিকার বিশাল একটা দায়িত্ব ছিল। আমাদের অফিসাররাসহ ৭৭ হাজারের বেশি লোক আমরা কাজে লাগিয়েছি। এর আগে তাদের ট্রেনিং দিতে হয়েছিল। তারপর তাদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে কাজে। আমরা বাড়ি বাড়ি হালনাগাদ করেছি, মৃত ভোটার আইডেনটিফাই করেছি সেগুলো বাদ দিয়েছি। কিছু ভোটার হওয়ার যোগ্য কিন্তু তাদের ভোটার লিস্টে নাম ছিল না। তাদেরকে আমরা আইডেনটিফাই করেছি। এগুলো সব মিলে আমাদের ভোটার তালিকা মোটামুটি হালনাগাদ হয়ে গেছে। কিছু কারেকশন শেষ হলে আপনারা ফাইনাল তালিকা পেয়ে যাবেন।

কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ বিতর্ক নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।

বর্তমান সরকার চাপ দিলে পদত্যাগ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো চাপ দেয়নি, আমাকে চাপ দিলে আমি পদত্যাগ করব, চেয়ারে থাকব না। আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লীগের এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কি হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখনকার নির্বাচন কমিশন কোনো পক্ষপাতিত্ব করছে না। তারা আইন অনুযায়ী নিউট্রালি কাজ করতে চায়। যেহেতু আগের সিইসি, নির্বাচন কমিশন থেকে অনেক কিছু চেয়েছে, আমাদের এখন সেরকম কোনো সমস্যা নেই। এই সরকার এখন পর্যন্ত চায়নি। আমাদের বলতে দ্বিধা নেই, যেদিন সরকার চাইবে সেদিন নাসির উদ্দিন এই চেয়ারে থাকবে না। যেদিন সরকার চাইবে তার মতো করে কাজ করতে, আমাকে এই চেয়ারে দেখবেন না। সেই গ্যারান্টি আমি দিতে পারি।

তিনি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনে যারা অনিয়ম করেছিলেন, সেইসব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রাখা হবে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এদেরকে কোথায় পাঠাবো? তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়ে গেছে। ভোটের জন্য কেনাকাটা এগিয়ে চলছে। সীমানা নির্ধারণের খসড়াও প্রকাশ করেছি। আগামী রোববার থেকে নির্বাচনী সীমানার শুনানি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি চলবে।

কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ বিতর্ক নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল, তাদের পদায়নের চিন্তা নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যারা বাক্স দখল করার স্বপ্নে বিভোর, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবে। যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। ভোটকেন্দ্র দখল করলে পুরো ভোট বাতিল করা হবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বিচার চলাকালে আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : সিইসি

নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এমবিস্তারিত পড়ুন

স্বৈরাচার হাসিনা জনগণকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমাদের ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলেবিস্তারিত পড়ুন

সমন্বয়কদের চাঁদাবাজির খবর দেখে বেদনায় নীল হয়ে গিয়েছি : মির্জা ফখরুল

সম্প্রতি রাজধানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়ক গ্রেপ্তার হওয়ার খবরবিস্তারিত পড়ুন

  • রাকসু নির্বাচন ১৫ সেপ্টেম্বর
  • পাইলট তৌকিরের দা/ফ/ন সম্পন্ন
  • বাড়িতে পৌঁছেছে পাইলট সাগরের লা/শ
  • যুবদল নেতা খু*ন ও খতিবের ওপর হা*মলায় জামায়াত আমিরের উদ্বেগ
  • জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ
  • ‘রাজনৈতিক দলের প্রভাব যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে বিনষ্ট করতে না পারে’
  • ইশরাক ইস্যুতে সরকারের বার্তা বিএনপি স্পষ্ট করবে : আব্দুস সালাম
  • স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে আ.লীগের নির্বাচনের সুযোগ নেই : ইসি মাছউদ
  • বাংলাদেশ নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যথা কেন: ভারতকে রিজভী
  • ‘বাপেরই জন্ম হলো না, সন্তানের জন্ম হবে কী করে?’ : রিজভী
  • বুয়েটে হুয়াওয়ে’র ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজন