কেশবপুরে মাছের ঘের নিয়ে ষড়যন্ত্র : সরেজমিন তদন্তের দাবি


যশোরের কেশবপুর উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামের হাজরাতলা কুড়বিলের একটি মাছের ঘের নিয়ে ষড়যন্ত্রসহ নানান হয়রানির অভিযোগ করেছেন ঘের মালিক খালিদ হোসেন। তিনি জানান, নির্দিষ্ট মেয়াদ পুরনের এক বছর থাকলেও এ্ক শ্রেনীর সুযোগ সন্ধানীরা সরকারের বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানির পথ বেছে নিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় বিরাজ করছে অশান্তি। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য গুটিকয়েক সুযোগ সন্ধানীরা ষড়যন্ত্র করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ঘের মালিকসহ সিংহভাগ জমির মালিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরেজমিন তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে উপজেলার কন্দর্পপৃর গ্রামের হাজরাতলা কুড়বিলের ১২০ জন কৃষকের তিন ফসলি দেড়‘শ বিঘা জমিতে পাচ বছর মেয়াদে মাছের ঘের করেন মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের ছেলে খালিদ হোসেন। ঘের অভ্যন্তরের জমির মালিকদেও বাৎসরিক হারি ও বেড়ীর টাকা দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে মাছ চাষাবাদ করা কালীন হাতে গোনা কয়েকজন জমির মালিক হারির টাকা নেয়ার পরো সম্পূর্ন ষড়যন্ত্র করে সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করে চলেছে।
ঘের মালিক খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তাদের এ ধরণের অভিযোগের কারণে পুলিশ সুপার, পিবি আই দপ্তর এমনকি স্থানীয় এমপি মহোদয় তদন্ত কওে অভিযোগের কোন সত্যতা পাননি।
তিনি আরও জানান,ঘের অভ্যিন্তরের বিলের পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ করা হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন জমির মালিক উচু জমিতে পাটের আবাদ করেছে যার পরিমান তিন থেকে সাড়ে তিন বিঘা । সেখানে তারা ধান পাট তলিয়ে যাওয়ার মিত্যা অভিযোগ করছে।
এ ব্যাপারে ঘের অভ্যন্তরের জমির মালিক আব্দুল কাদের গাজী, আব্দুর রশিদ,পুর্ণ পাল,রবীন পাল, তৌহিদুজ্জামান , গণেশ পাল, লতিফ সরদার রিয়াজ গাজীসহ একাধিক জমির মালিক সাংবাদিকদের জানান, ঘের মালিক খালিদ হোসেন পানি নিষ্কাশনের সু ব্যবস্থা রেখেই মাছ চাষ করে আসছে। ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। ঘেরের সাথে কবর স্থানের কোন সংযোগ নেই,তার পরও তারা বিভিন্ন দফতরে সম্পুর্ন হয়রানি করার জন্য অভিযোগ করেছে। এ অভিযোগের বিষয়ে জমির মালিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরেজমিন তদন্তের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে খালিদ হোসেন বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর থেকে নোটিস পেয়েছি, কিছু কুচক্রিমহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানি ও ষড়যন্ত্র করে চলেছে । সুষ্টু তদন্তে সরেজমিন পরিদর্শনের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উক্ত জমিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখাসহ বিষয়টি নিরসনে নোটিস করে উভয়পক্ষকে আগামী ৩ জুন তাঁর কার্যালয়ে শুনানীর জন্যে ডাকা হয়েছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
