খিচুড়ি নিয়ে হৈ চৈ করার মতো অবস্থা নেই : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
স্কুলের বাচ্চাদের জন্য রান্না করা খাবার অর্থাৎ খিচুড়ি ব্যবস্থাপনা দেখতে বিদেশে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা নিয়ে হৈ চৈ করার মতো অবস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
বুধবার সচিবালয়ে তাৎক্ষণিক এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ভারতের কেরালায় স্কুলের বাচ্চাদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থাপনা দেখতে তিনি নিজেও গিয়েছিলেন দাবি করে বলেন, যে কোনো বিষয়েই অভিজ্ঞতা নিতে হয়। অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করলে তার ফলও ভালো পাওয়া যায়।
রান্না করা খাবার হিসেবে বাচ্চাদের খিচুড়ি দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব নিয়ে গণমাধ্যমে পরিবেশিত সংবাদের সমালোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
সাংবাদিকতায় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকতায় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন ঢুকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বেশকিছু দিন আগে মিডডে মিল নীতিটা পাস হয়েছে। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে নিউজটি খিচুড়ি রান্না শিখতে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর একদিকে মন্ত্রণালয় এবং অন্যদিকে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের মতো মনে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের লোকজন সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে এখানে আসছে। তাদের কোনো জ্ঞান-গরিমা নেই। হুট করে একটা লিখে দিলেই মনে হয় হয়ে গেল! সরকারের ভাবমূর্তি কোথায় গেল না গেল এরা তা দেখে না।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা এলাকায় দেখেছি সব বিএনপির, ছাত্রদলের, যুবদলের ছেলেরা এখন সাংবাদিকতা করে, ভ্রান্ত রিপোর্ট করে। এদিকে থেকে আপনারা একটু নজর রাখবেন। সরকারের যেন বদনাম না হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য মানুষের কল্যাণে দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন। আমাদের সন্বন্ধে নানা ধরনের কথা বলে মানুষকে নানাভাবে উসকে দিচ্ছে বিএনপি। এটা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে, আর মানুষকে জানাতে হবে শেখ হাসিনা সরকার কখনও জনকল্যাণ ব্যতীত কোনো কাজ করে না।’
প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার দেয়ার উদ্যোগটি ভালো করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মিডডে মিল কার্যক্রমটি আমরা ১৬ উপজেলায় পাইলটিং (পরীক্ষামূলকভাবে চালু) করেছি। আমরা বাচ্চাদের খিচুড়ি খাওয়াব। তিন দিন বিস্কুট খাওয়াব, তিন দিন রান্না করা খাবার খাওয়াব। ডিম, কলা ইত্যাদি ইত্যাদি আমরা চিন্তাভাবনা করছি, যাতে বাচ্চাদের কিছুটা হলেও পুষ্টি দিতে পারি। সুন্দর স্বাস্থ্যবান শিশু না হলে পড়াশোনায়ও মনোযোগ দিতে পারে না।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)