চাকরি দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ
শরীয়তপুরে এনজিওতে চাকরি দেয়ার কথা বলে এক গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ সোমবার (২৩ নভেম্বর) শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
মামলায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদপুর গ্রামের মৃত তেলাম সরদারের ছেলে রিজভী সরদারকে (২৬) আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রিজভী সরদারের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর সদরে অবস্থিত বিএম আইডিয়াল কলেজে লেখাপড়া করতেন ওই গৃহবধূ। সেই সুবাদে রিজভীর সঙ্গে পরিচয় হয় ওই গৃহবধূর। প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এবং বাবা-ভাই না থাকায় সংসার চালাতে চাকরি করবেন বলে রিজভীর সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে রিজভী এনজিওতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ওই গৃহবধূকে ঘুরাচ্ছেন। একপর্যায়ে রোববার (২২ নভেম্বর) চাকরির সাক্ষাতকার দেয়ার কথা বলে তাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান রিজভী।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা সোহাগের সরকারি কোয়ার্টারে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন রিজভী। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে দুজনকে আটক করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ওয়ার্ডবয় রিজভীর চাচা আমির হোসেন সরদার তাদের ছাড়িয়ে নেন। এ ঘটনায় সঠিক বিচার পেতে ওই গৃহবধূ শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, এনজিওতে চাকরির সাক্ষাতকার দেয়ার কথা বলে আমাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় রিজভী। সেখানে একটি কক্ষে (সোহগের কোয়ার্টার) নিয়ে আমার হাত-মুখ বেঁধে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করে রিজভী। আমি সব হারিয়েছি। তাই সঠিক বিচার পেতে রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
অভিযুক্ত রিজভীর চাচা ও গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় আমির হোসেন সরদার বলেন, আমার ভাতিজা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মৃধা নজরুল কবির বলেন, ওই গৃহবধূকে এনজিওর চাকরি দেবে বলে ডেকে নিয়ে নির্জন একটি কক্ষে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা ট্রাইব্যুনালকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা যেন হয়, সেজন্য আবেদন করা হয়েছে। আমি আশাবাদী আমরা ন্যায় বিচার পাব। অপরাধীর বিচার হবে।
গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)