রবিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ছিটেফোঁটা নেতিবাচক রিপোর্টেই উচ্চকণ্ঠ গবেষকরা উন্নয়নে নীরব : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আইএমএফ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রতিফলনে উপমহাদেশ জুড়ে প্রশংসার তোলপাড় পড়ে গেলেও দেশের অনেক গবেষণা সংস্থা নীরব রয়েছে। অথচ ছিটেফোঁটা নেতিবাচক রিপোর্টেই তাদের উচ্চকণ্ঠ হতে দেখা যায়।

তিনি রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ভিডিওকনফারেন্সে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সমাপ্তিকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘আইএমএফ’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’র প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে বিশ্বের গুটিকতক ভালো প্রবৃদ্ধির দেশের অন্যতম। আইএমএফ বলছে, এ বছরের শেষান্তে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশে পুরো উপমহাদেশে প্রশংসার তোলপাড় গড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের সমস্ত গণমাধ্যমে, রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা হচ্ছে। শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও একই ঘটনা। পাকিস্তানে কোনো কোনো টেলিভিশনে আবার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বলছে ‘আমাদের ভায়েরা এগিয়ে যাচ্ছে’। সব মিলিয়ে ভারত-পাকিস্তানে এখন এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।’

‘কিন্তু বাংলাদেশে যারা অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে কাজ করেন, অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের মুখে আমরা কোনো বক্তব্য দেখতে পাই নাই’ আক্ষেপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে আইএমএফ কিম্বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা কোনো পত্রিকা যদি ছিটেফোঁটা নেতিবাচক প্রতিবেদনও দিতো, তাহলে দেখতে পেতেন এতদিনে তাদের বক্তব্যে সমস্ত টেলিভিশন ঝালাপালা হয়ে যেতো।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে ইতিবাচক প্রতিবেদন নিয়ে ভারত জুড়ে তোলপাড়, এতে তারা নিশ্চুপ। এতে প্রশ্ন আসে, দেশে ভালো কিছু হলে তারা আদৌ খুশি হন কি না। তারা কি আসলে দেশকে খারাপভাবে, নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার জন্য গবেষণা করেন। কোনো ইতিবাচক কোনো প্রতিবেদন হলে তারা নিশ্চুপ থাকেন কেন -এটিও অনেকেরই প্রশ্ন।’

এসময় মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে অবমাননাকর কোনো কিছু আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না। অতীতেও এ ধরণের ধর্মীয় আঘাতের প্রতিবাদ করা হয়েছে। কোনো ধর্মের অনুভূতিতেই আঘাত দেয়া কখনই সমীচীন নয়। পাটগ্রামের ঘটনার ব্যাপারেও সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনাও কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। পৈশাচিক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদেরকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

এর আগে খুলনা জেলা প্রশাসনের মুজিববর্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় দেশের তৃতীয় বৃহত্তম খুলনা শহরের পাশে বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১ লাখ ২০ হাজার গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নামে বোটানিকেল গার্ডেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ২৫৫ একরের সাড়ে ৩ কিলোমিটার লম্বা ও ১.২ কিলোমিটার চওড়া এই বোটানিকেল গার্ডেন খুলনা শহরের পাশে একটি ছোট্ট সুন্দরবন গড়ে তোলার লক্ষ্যেরই সমার্থক চমৎকার একটি পরিকল্পনা। একইসাথে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় ১৯ লক্ষ ২০ হাজার গাছের চারা রোপণের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান ড. হাছান।

এই ছোট দেশকে যেভাবে পরিচালনা করতে হয়, যেভাবে সম্পদের ব্যবহার করতে হয়, সেই পরিকল্পনা নিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি পরিকল্পনা, ২১শ’ সাল নাগাদ আরেকটি পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এগুচ্ছেন, বলেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশে বন সৃজন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশে আসার পর ১৯৮৩ সাল থেকেই কৃষক লীগের মাধ্যমে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ বৃক্ষরোপণকে একটি আন্দোলনে রূপান্তর করে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯ সালে দেশে বনভূমির পরিমাণ ছিল ১০ শতাংশ। আজ সেটি বৃদ্ধি পেয়ে ১৭.৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই ক’বছরে দেশের মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু বনভূমির পরিমাণ কমেনি বরং বৃক্ষআচ্ছাদিত জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই এটি হয়েছে।’

খুলনা জেলার ডেপুটি কমিশনার মোহজাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সম্মানিত অতিথি এবং খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

তথ্যসূত্র: বাসস

একই রকম সংবাদ সমূহ

পুলিশের গায়ে নতুন পোশাক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচন ঘিরে মাঠে থাকবে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয়বিস্তারিত পড়ুন

‘আমাদের কেন একজন গণহত্যাকারীর সত্যায়ন দরকার হলো?’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অনেকেই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেকবিস্তারিত পড়ুন

  • একদিনে ২৩ জেলায় ডিসি রদবদল
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা
  • গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত ‘হ্যাঁ’ হলে যা হবে
  • যে কারণে নির্বাচন ও গণভোট একসাথে, থাকবে ৪ প্রশ্ন
  • এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধান উপদেষ্টা
  • দিল্লিতে বোমা হামলায় ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
  • ৩-৪ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত: আইন উপদেষ্টা
  • দেশ-বিদেশের কোনো শক্তিই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: প্রেস সচিব
  • পালিয়ে গিয়েও হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না: প্রেস সচিব
  • দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ
  • নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ও ড্রোন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা
  • একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের