শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

‘জনসেবার জন্য প্রশাসন’ প্রমাণ করছেন সাতক্ষীরার ডিসি মোস্তফা কামাল

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ভবনের দুইতলায় সিঁড়ির উপরে উঠতেই চোখে পড়ে, জনসেবার জন্য প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের অফিসে গেলেই লেখাটি কেন জানি চোখে পড়ে। তখন ভাবি আসলেই কি ‘জনসেবার জন্য প্রশাসন ? সাধারণ মানুষ যখন অভিযোগ করে কোন কাজে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গেলে হয়রানি স্বীকার হতে হয়। যা ছিল নিত্য দিনের ঘটনার মত। এক সময় সাধারণ মানুষ এটা স্বাভাবিক বিষয় বলে মনে করে নিয়েছিল সাতক্ষীরায়। কোন ভুক্তভোগী মানুষের সমস্যার কথা বলতে গেলে দেশের জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করতে গিয়ে কত যে হয়রানি স্বীকার হয়েছে তা শুধু
ওই ভুক্তভোগী মানুষেরা জানেন। সাতক্ষীরায় গত ১৫ বছরে কয়েকজন জেলা প্রশাসকের রদ-বদল হয়েছে। সেই সমেয়ে অনেক মানুষ জেলা প্রশাসকের কাছে সমস্যার কথা বলতে পেরেছে, অনেকের সমাধানও হয়েছে। আর বেশির ভাগ ভুক্তভোগী মানুষ কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়নি বলেও অনেকের অভিযোগও রয়েছে। সংবাদকর্মী হিসেবে যখন কোন ভুক্তভোগী মানুষের কথা শুনি মাঝে মাঝেই মনে হতো জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের ভবনের দুইতলায় সিঁড়ির উপরের বাক্যটি জনসেবার জন্য প্রশাসন’ মনে হয় সত্য নয়! কিন্তু সম্প্রতি সাতক্ষীরা এখন আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আসলেই জনসেবার জন্য প্রশাসন।

উপরোক্ত কথা বলার কারণ গুলো হলো:- ৯অক্টোবর ২০১৮ সালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহন করে এস এম
মোস্তফা কামাল নামে একজন বিনয়ী ব্যক্তি। দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথমেই তিনি সাতক্ষীরার সকল পেশাজীবি মানুষের সাথে মত বিনিময় সভা করেন। সাতক্ষীরার সমস্যা, সম্ভাবনা, উন্নয়নসহ বিধিত বিষয় নিয়ে পরামর্শ নেন। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কোন এক মতবিনিময় সভায় আমারো উপস্থিত থাকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। ওই সভায় সংবাদকর্মী হিসেবে বক্তব্যে-এইটুকুই বলেছিলাম স্যার মাঝে মধ্যে আপনাকে একটু সাক্ষাতকারের জন্য বিরক্ত করবো, সেই সুযোগটি দিয়েন। উনি বলেছিলেন, আমার দরজা সকল মানুষের জন্য খোলা। কথাটি শুনে মনে মনে হাসি পাচ্ছিলো! কারণ এর আগেও অনেক ডিসি সাহেব বলেছিলেন এমন কথা। তারপর পর থেকে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সাতক্ষীরায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই সাতক্ষীরা মানুষের প্রেমে পড়ে যান। যেটি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজ ফেসবুকে মত প্রকাশ করেছেন” তারপর তিনি সাতক্ষীরা উন্নয়ন, সম্ভাবনা, সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ শুরু করেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনও সাধারণ মানুষের কথা শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস্ত করেন। এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে জেলায় সাধারণ মানুষের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। সাতক্ষীরায় কোন মানুষ যখন সমস্যার কথা গুলো বলার জন্য জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের কাছে যান, এখন আর ফিরে এসে বলেন না ডিসি সাহেবের সাথে দেখা করতে পারলাম না।

আশাশুনির কাদাকাটি গ্রামের শ্রী তপন কুমারের কাছে জানতে চাইলেই তিনি বলেন, ডিসি সাহেবের মত ভাল, নম্র, ভদ্র, বিনয়ী, নির্ভীক, সৎ মানুষ এ জেলা কখনো দেখিনি। আমি ঢাকার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভার পত্রিকায়
সাংবাদিকতার সাথে জড়িত থাকার কারণে জেলার বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে এসএম মোস্তফা কামাল স্যারের কাছে যেতে হয়। কিন্তু তিনি কখনই বলেননি আমি এই বিষয়ে সাক্ষাতকার দিতে পারবো না। পরে আসেন, অফিসে কাজে ব্যস্ত রয়েছি। যেকোন বিষয়ে জানতে চাইলেই সহজেই সাক্ষাতকার দিয়ে দেন ও জেলাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পরামর্শ চান তিনি। আমার খুব অবাক লেগেছে উনার সাথে দেখা করতে গেলেই প্রথমে একটি মিষ্টি হাসি দেন। যা দেখেই মনটা ভরে যায়। কথা শেষে চলে আসার সময় উনি নিজের চেয়ার থেকে উঠে হাত মিলিয়ে দিতেন। কোন স্থানে গেলে তিনি শিশু বাচ্ছাদের সাথে কথা বলতেন, ছড়িয়ে ধরে ছবি তুলছেন। শুধু আমি না, একজন সাধারণ মানুষ দেখা করতে গেলেই নিয়মিত এটি করেন তিনি বলে অফিসের দায়িত্বরত কর্মচারিদের সূত্রে জানা
গেছে। যা দেশের কোন জেলা প্রশাসক বা সরকারি উদ্বতন কর্মকর্তা করেন কি না আমার জানা নেই ?

এসএম মোস্তফা কামাল সাতক্ষীরায় দায়িত্ব গ্রহন করার পর জেলায় বড় কোন ঘটনা, হত্যা, সড়ক দূর্ঘটনাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমুক্ষিন হলে তাৎক্ষনিক উনার উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। যা বিগত সময়ে কোন প্রশাসনের বড় কর্মকর্তাদের চোখে পড়েনি। কোন ঘটনায় যখন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ছুটে যান তখন সাধারণ মানুষও অবাক হয়ে বলেন, কেমন ডিসি উনি একটু সমস্যা হলেই সবখানে। এর আগে তো কাউকে এমন ভূমিকায় দেখিনি কখনো। প্রবল বর্ষনে নিন্মাঞ্চল শ্যামনগর প্লাবিত হয়। সেইসব পরিবারের কাছে ছুটে যান তিনি। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পরামর্শ দেন, অনেকে কথা শুনে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান তখনই। তিনি তাদের খাবার, ওষুধ, পানির ব্যবস্থা করেন। বাস স্থানেরও ব্যবস্থা করেন। ওই সময় রাত ১টা পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত মানুষের পাশে গিয়ে থাকার আশ্রয় ও সাহস জাগিয়েছিলেন তিনি। সাতক্ষীরায় এর আগেও এমন প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনিক তৎপরতা এবারের মত কখনোই লক্ষ্য করা যায়নি বলে সাধারণ মানুষ অভিমত প্রকাশ করেছেন। করোনা কালিন সময়ে সাতক্ষীরার সকল মানুষ ভাল থাকার জন্য তিনি দিন রাত এক করে পরামশ্য দিয়েছেন। মাক্স বিতরণ করেছেন। খাবার ও ওষুধ দিয়েছেন। সাতক্ষীরা বাইপাশ সড়ক নির্মাণ, বিভিন্ন স্থানে বিনোদন সেন্টার করা, জেলা পরিস্কার পরিছন্ন রাখা। যা চোখে পড়ান মতো কাজ তিনি করেছেন।

দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যদি আন্তরিক ভাবে সকল সমস্যা ও প্রাকৃতিক দূযোর্গে এভাবেই এগিয়ে আসেন তাহলে দেশে যেন কোন দূর্ঘটনা থেকে সাধারণ মানুষ অনেকাংশে মুক্তি পাবে। কিন্তু আমার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবের কারণে সরকারি কর্মকর্তারা নানা রকম অনিয়নের পথে পা বাড়ানোর জন্য দায়ী। আমলাদের মনের মধ্যে জনসেবা
করার ইচ্ছে থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে নানা ভাবে বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। আসুন না স্বচ্ছ রাজনৈতিক ও আমলাদের সঠিক দায়িত্ব পালনে সকলে একযোগে কাজ করি। দেখবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর “সোনার বাংলা” গড়তে বেশিদিন সময় লাগবে না। আমার বিশ্বাস আমার দেশ একদিন “সোনার বাংলাদেশ” হিসেবে বিশ্বে মানচিত্রে স্থান লাভ করবে। সেজন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের মত আন্তরিক ভাবে দেশের সকল সরকারি কর্মকর্তাদের যদি জনগনের জন্য কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে সরকার তাহলে একটি সুন্দর রাষ্ট্র, সমাজ গড়তে সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরিশেষে এটুকুই বলি, এমন জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা আর কোনো জনমে পাবে কীনা জানি না? তবে উনার বদলির দিন হয়তো সাতক্ষীরা মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠবে। অহংকারী সকল আমলারা
এ জনমে ঠিক হলে তো ভালোই ভালো, না হলে পরবর্তী জনমে যেন এসএম মোস্তফা কামাল হয়ে জন্ম দেন। স্যার আপনি আপনার আন্তরিকতার মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে “জনসেবার জন্যই প্রশাসন। আপনাকে হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা করি। আপনি সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাতক্ষীরা মানুষের সমস্যা ও বর্তমান অসহায়, অসুস্থ মানুষের পাশে সারাক্ষণ থেকে প্রমাণ করেন মধ্যযুগের চতুর্দশ শতকের বাঙালি কবি চণ্ডীদাসের সেই কথাটি ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের বাণী বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার তথ্য প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী বিশ্ব ঐতিহ্য সাইট সুন্দরবন ঘেরা দীপ্তমান নক্ষত্রের ন্যায় জ্বলজ্বলে জনপদ সাতক্ষীরা জেলার ওয়েব-সাইট (www.satkhira.gov.bd) খোলা হয়েছে জেনে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশের জাতীয়জীবনে সাতক্ষীরা অনেক ক্ষেত্রেই উজ্জ্বল। শিল্প সাহিত্য, সংগীত, ক্রীড়াঙ্গন থেকে খাদ্যশস্য উৎপাদন, ফল উৎপাদন, চিংড়ি চাষ ও মৎস্য রপ্তানী, স্থল বন্দরে আমদানী-রপ্তানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাতক্ষীরার অবদান অনশীকার্য। সাতক্ষীরার কৃষি, অর্থনীতি, জীবনজীবিকা, সমাজ, পুরাকীর্তি, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, শিক্ষা,সাহিত্য, ক্রীড়া, সঙ্গীত জাতীয় জীবনের এক
অনন্য সম্পদ। সাতক্ষীরা জেলার এই ওয়েবসাইটে (www.satkhira.gov.bd) সাতক্ষীরার বর্নাঢ্য সকল দিগন্ত উন্মোচন ও সুধী সমাজের কাছে উপস্থাপনে আন্তরিক চেষ্টা করা হয়েছে। তবু কিছু ক্ষেত্রে এর অসম্পূর্ণতা থেকে যেতে পারে। আমি আধুনিক সাতক্ষীরার রূপায়ণ ও উন্নয়নে যাঁরা স্মরণীয় অবদান রেখেছেন তাঁদের প্রতি জানাই অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা। সেইসব নাম না জানা মানুষদের প্রতি রইল আমার শ্রদ্ধা-যাঁদের ঘামে ও পরিশ্রমে আমরা দেখতে পাচ্ছি সাতক্ষীরার একটি নান্দনিক ক্যানভাস। সেই সঙ্গে সাতক্ষীরার সকল সম্মানিত নাগরিকগণকে জানাই আমার শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা। আশা করছি, ওয়েবসাইটের অপূর্ণতা দূর করতে আমরা পাবো আপনাদের মূল্যবান মতামত । সেই সাথে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করার জন্যও আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

সাতক্ষীরা জেলার পটভূমি:-
সাতক্ষীরা জেলার নামকরণ প্রসংগে কয়েকটি মত প্রচলিত। এর মধ্যে প্রধান মতটি হ’ল চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এক কর্মচারী বিষ্ণুরাম চক্রবর্তী নিলামে বুড়ন পরগণা কিনে তার অন্তর্গত সাতঘরিয়া গ্রামে বাড়ী তৈরী করেন। তাঁর পুত্র প্রাণনাথ সাতঘরিয়া অঞ্চলে উন্নয়ন কাজ করে পরিচিত ও প্রতাপান্বিত হন। সাতক্ষীরার মহকুমার প্রকৃত জন্ম হয় ১৮৫২ সালে যশোর জেলার চতুর্থ মহকুমা হিসেবে এবং কলারোয়াতে এর সদর দপ্তর স্থাপিত হয়। প্রথম মহকুমা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবাব আব্দুল লতিফ। ১৮৬১ সালে মহকুমা কার্যালয় সাতঘরিয়া তথা সাতক্ষীরাতে স্থানান্তর করা হয়। ইতিমধ্যেই সাতঘরিয়া ইংরেজ রাজকর্মচারীদের মুখেই সাতক্ষীরা হয়ে গিয়েছিলো। তাই পুরানো সাতঘরিয়াই বর্তমানের সাতক্ষীরা।

সাতক্ষীরার ইতিহাস:-
বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান। এ জনবসতি প্রাচীনকালে খ্যাত ছিল বুড়ন দ্বীপ নামে। এর পাশে চন্দ্রদ্বীপ, মধুদ্বীপ, সূর্যদ্বীপ, সঙ্গদ্বীপ, জয়দ্বীপ ইত্যাদি দ্বীপ খ্যাত ছোট ছোট ভূখণ্ডের অবস্থান পাওয়া
যায় প্রাচীন ইতিহাস ও মানচিত্রে। ঠিক কোন সময় থেকে বুড়ন দ্বীপে সমাজবদ্ধভাবে মানুষের বসবাস শুরু হয় তার বিস্তারিত ও সঠিক তথ্য প্রমাণাদি পাওয়া যায় না। রামায়ণ মহাভারতের তথ্যানুযায়ী এ অঞ্চলের সংঘবদ্ধ মনুষ্য বাসতির গোড়াপত্তন প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্ব থেকে। মহাভারতের তথ্যানুযায়ী মুনি কপিল পাইকগাছার কপিলমনিতে একটি কালিমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে পূজা দেন। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা এবং পূজা দেওয়ার কাজটা তিনি করেছিলেন মহাভারতের যুগে। আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ সনে। তাঁর ভারত আক্রমণের সময় গঙ্গার মোহনায় গঙ্গারিডি নামের একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। বর্তমান সাতক্ষীরা জেলাটি ছিল এ রাষ্ট্রের অধীন। আলেকজান্ডারের পর মৌর্য ও গুপ্ত যুগে বুড়নদ্বীপ ছিল পুণ্ড্রভুক্তির অন্তর্গত। বুড়নদ্বীপ এ সমেয় পরিচিত ছিল খাড়িমণ্ডল নামে। চন্দ্র বর্মণ খাড়ি অঞ্চল দখল করেনেন চতুর্থ শতকে। এর পর বৌণ্যগুপ্ত (৫০৭-৫২৫) দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার স্বাধীন নরপতি হিসেবে রাজ্য শাসন করেন।

বঙ্গে বর্ম পরবর্তী রাজত্ব শুরু সেন বংশের। সেন বংশের আবির্ভাব সম্পর্কে ইতিহাস দৃঢ় কোন তথ্য দিতে পারে না। এ বংশের তৃতীয় নৃপতি বিজয় সেনের আমলটি খ্যাত একটি সময়। তাঁর শাসনামল ছিল ১০৯৭ থেকে ১১৬০ খ্রিঃ পর্যন্ত।তিনি খণ্ড বিভাজন শোষণ ব্যবস্থার আওতায় এনে প্রচলন করেছিলেন কেন্দ্রীয় শাসন। প্রতাপাদিত্যের পতনের পর খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল চলে যায় জমিদারদের নিয়ন্ত্রণে। খান-ই-আজম মির্জা আজিজ কোকা (১৮৮২-১৮৮৩ খ্রিঃ) প্রতাপের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পুরস্কারস্বরূপ মোঘলদের কাছ থেকে লাভ করেছিলেন আমিদপুর, সৈয়দপুর,
মুগদাগাছা ও মল্লিকপুরের জমিদারি। এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে উল্লেখযোগ্য অপরাপর জমিদাররা হলেন ভবেশ্বর রায়, মাহতাব রায় (১৫৮৮-১৬১৯ খ্রিঃ), কন্দর্প রায়, মনোহর রায় (১৬৪০-১৭০৫ খ্রিঃ) ও শ্রীকৃষ্ণ রায় (১৭০৫-১৭৭২
খ্রিঃ)।

সুন্দরবন, সাতক্ষীরা অঞ্চলে প্রতাপাদিত্যের পর ব্যাপক প্রশাসনিক উন্নতি হয় হেংকেলের আন্তরিকতায়। ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে টিলম্যান হেংকেল প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট ও জজ নিযুক্ত হন যশোর অঞ্চলে। ঐ বছরেই যশোরে প্রথম আদালত স্থাপিত হয়। ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি খুঁটি দিয়ে সীমানা চিহ্নিত করেন। ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে যশোর পৃথক জেলার মর্যাদা পায়। এরপর থেকে যশোর অঞ্চল প্রশাসনিকভাবে বিকেন্দ্রীকরণ হতে থাকে।

সাতক্ষীরা অঞ্চল মহকুমার মর্যাদা পায় ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে। মহকুমার মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথমে সাতক্ষীরাকে যুক্ত করা হয় নদীয়া জেলার সাথে। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে নদীয়া থেকে সাতক্ষীরাকে বিভক্ত করা হয় চব্বিশ পরগণার সাথে। খুলনা জেলার মর্যাদা পায় ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে। জেলার মর্যাদা পাওয়ার পর লর্ড রিপনের (১৮৮০-৮৪) আন্তরিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা মহকুমাকে খুলনা জেলার একটা মহকুমায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশেরর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের আওতায় সাতক্ষীরা মহকুমা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার একটি জেলা হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। বর্তমানে এ জেলায় ৭টি উপজেলা, ৮টি থানা, ৭৮টি ইউনিয়ন, ৯৬০টি মৌজা, ১৪২১টি গ্রাম ও ২টি পৌরসভা।

অবস্থানগত দিক দিয়ে দেখলে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানায়। জেলার উত্তর গোলার্ধে নিরক্ষ রেখা এবং কর্কটক্রান্তি রেখার মধ্যবর্তী ২১ক্ক৩৬´ থেকে ২১ক্ক৫৪´ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৮ক্ক৫৪´ থেকে ৮৯ক্ক২০´ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। উচ্চতার দিকে বিবেচনা করলে এ অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১৬ ফুট উচুঁতে। জেলার সীমানা যেভাবে নির্ধারিত হয়েছে তাতে উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ। বর্তমানে এ জেলার আয়তন ৩৮৫৮.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। তবে এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সব অংশে জনবসতি নেই। এর মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল। সুন্দরবনের মধ্যে যে পরিমাণ ভূমি তার পরিমাণ ১৪৪৫.১৮ বর্গ কিলোমিটার। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে তাকালে এ জেলার পূর্বে খুলনা জেলা, পশ্চিমে চব্বিশ পরগণা জেলার (ভারত) বসিরহাট মহকুমা, উত্তরে যশোর জেলা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।

সাতক্ষীরা জেলার ভূ-প্রকৃতির অধিকাংশই সমতল, অল্প কিছু ভূমি অসমতল। জেলার ভূ-প্রকৃতিকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করেছেন ভূ-প্রকৃতিবিদগণ। এগুলো- ১) গাঙ্গেয় পলল ভূমি ২) মিশ্র গাঙ্গেয় পলল ভূমি এবং ৩) গাঙ্গেয় কটাল পলল ভূমি। জেলার মাটির গঠন প্রকৃতি উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে দু’রকমের উঁচু। এখানে সাধারণত শস্যের ফলন ভাল হয়। দক্ষিণাঞ্চলের মাটি লোনা ও এঁটেল। সমুদ্রের সাথে এ অঞ্চলের নদীগুলোর সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে নদীগুলো বয়ে আনে লবণাক্ত পানি। জোয়ার ভাটার কারণে এই লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয় দক্ষিণাঞ্চলের জনপদ। এ অংশে শস্যের ফলন অপেক্ষাকৃত কম। বর্তমান ভেড়ীবাঁধ দিয়ে ব্যাপক হারে মাছের চাষ করা হচ্ছে। উল্লিখিত দুইপ্রকারের ভূমি ছাড়াও সাতক্ষীরা জেলায় নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানি বিধৌত হওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি ও ক্ষয়ের প্রক্রিয়া সচল। এই প্রেক্ষিতে দক্ষিণাঞ্চলে নদীর পলি ও পচনযুক্ত কালো উদ্ভিদের সংমিশ্রণে এক প্রকার মাটি সৃষ্টি হয়েছে। এর নাম জোব মাটি। বিশেষ উন্নত অবস্থায় পৌছানোর পর এ মাটিতে ভাল ফসল জন্মে।

সাতক্ষীরা জেলার জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ুর অন্তর্ভূক্ত। এখানে শীতকালে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ও গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রচুর মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয়। মৌসুমী বায়ুর কারণে জেলায় বৃষ্টিপাতের হার অপেক্ষাকৃত অধিক।

ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় নানা ধর্মাবলম্বী, নানা পেশার, নানা ভাষার লোক বিভিন্ন সময়ে সাতক্ষীরা নামের জনপদে তাদের বসত গেড়েছেন। সঙ্গত কারণেই তাদের কিছু কীর্তির ধ্বংসাবশেষ এখনও আছে এখানে। সংরক্ষণের অভাব, ঐতিহাসিক নিদর্শন ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার, লবণাক্ত আবহাওয়া, ধ্বংস ইত্যাদি কারণে বহু প্রাচীন নিদর্শন আজ বিস্মৃতির অতলে, তবু এখনো যে নিদর্শনসমূহ টিকে আছে তা দেখে ও তার ইতিহাস ঘেটে নির্দ্বিধায় এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের প্রাচীনতম নিদর্শনসমূহের পাশাপাশি অতি সহজেই এ প্রাচীন কীর্তিসমূহ স্থান লাভের যোগ্য। জেলার ঐতিহ্য:- লৌকিক আচার-আচরণ, বিশ্বাস আর পৌরাণিকতায় সমৃদ্ধ সাতক্ষীরা । নানা কিংবদন্তীর প্রবাহমান ধারায় সজীব এখানকার ঐতিহ্য। বঙ্গোপসাগরের আঁচল ছোঁয়া সুন্দরবন, আর সুন্দরবনকে বুকে নিয়ে সমৃদ্ধ এখানকার প্রকৃতি, এমনি অর্থনীতিও।

সুন্দরবনের চোখ জুড়ানো চিত্রল হরিণ, বিশ্ববিখ্যাত ডোরাকাটা বাঘ থেকে শুরু করে বনদেবী, রাজা প্রতাপাদিত্যের জাহাজঘাটা, বিভিন্ন মোঘলীয় কীর্তি, অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, পুরাকালের কাহিনী, জারি-সারি,পালাগান, পালকি গান এসবের মধ্যেই সাতক্ষীরার মানুষের আত্মীক পরিচয় গ্রন্থ। এখানে জন্মেছেন কবি,সাহিত্যিক,শিল্পী, সুফী দরবেশসহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, জন্মেছেন জীবন সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ সাহসী মানুষ । শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধেপ্রতিবাদমুখর আত্নত্যাগী বীর । গ্রামবাংলার লোকজ ঐতিহ্যই এখনও পর্যন্ত সাতক্ষীরার সংস্কৃতির মূলধারাটি বহন করে চলেছে। খুব সহজেই এখানে
মিলিত হয়েছে লৌকিক আচার -আচরণের সাথে পৌরাণিকত্বের। যেন দুটো নদীর সম্মিলিত এক বেদবান ধারা । বছরের প্রায় প্রতিটি সময়ধরে অগনিত মেলা বসে সাতক্ষীরায়। সাগরদ্বীপ দুবলোর মেলা থেকে শুরু করে খুলনা, যশোর এমনকি
পশ্চিমবঙ্গেওএর প্রভাব পরিলক্ষিত।

এ জেলার শুধু নয় দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলাটি বসে সাতক্ষীরা শহরেই,পলাশপোল, গুড়পুকুরের পারে। গুড়পুকুরের
নামানুসারেই মেলার নামকরণ করা হয়েছে গুড়পুকুরের মেলা। মেলাটির বয়স এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।

জেলা প্রশাসকের বার্তা:-
বর্তমান সরকারের দিন বদলের সনদ রূপকল্প ২০২১ এর মূলমন্ত্র ডিজিটাল বাংলাদেশ’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম হলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ। জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনের নিমিত্ত বর্তমান সরকারের বিশেষ অঙ্গীকার ‘‘আমার গ্রাম-আমার শহর’’ ও ‘‘তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’’ এর মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ এবং যুব সমাজকে মূল্যবান সম্পদে রুপান্তর করে একটি সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, মাদক ও
সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে সরকার বদ্ধপরিকর। একটি উন্নতদেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, একটি ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রূপান্তরিত উৎপাদন ব্যবস্থা, নতুন জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্নই দেখিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ মূলত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নিমিত্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাপোর্ট টু ডিজিটাল বাংলাদেশ (এটুআই) প্রোগ্রাম জনগণের দারগোড়ায় সেবা পোঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগ সমন্বয় করেছেন। মাঠ প্রশাসনের নিউক্লিয়াস হলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। জেলা পর্যায়ে সরকার সকল নির্বাহী কাজ সম্পাদন ও সমন্বয় সাধনের পাশাপাশি দেশের সকল জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ ও পূরণে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরম্নত্বপূর্ণ। এই সত্যকে সামনে রেখে জেলার সকল কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের সুবিধার্থে এবং জনগণের সাথে জেলা প্রশাসনের সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে গড়ে তোলা হয়েছে সমৃদ্ধশালী সাতক্ষীরা জেলা ওয়েব পোর্টাল। এই ওয়েব পোর্টালটি জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করতে যেমন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তেমনি তাদের সেবা প্রাপ্তি হবে সহজতর ও স্বল্প ব্যয় সাপেক্ষ। এই পোর্টালের মাধ্যমে-জেলা ভূমি রাজস্ব ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙখলা, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, বিভিন্ন লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পর্কে বিপুল সংখ্যক সুবিধা ভোগীদেরকে দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নাগরিক সেবা ও জেলার উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যের পাশাপাশি এই ওয়েব পোর্টালটিতে বিস্তৃত পরিসরে তুলে ধরা হয়েছে সাতক্ষীরার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, প্রাচুর্য আর সম্ভাবনা। আমরা বিশ্বব্যাপী পরিচিত করতে চাই।

একই রকম সংবাদ সমূহ

চুয়াডাঙ্গায় রেড এলার্ট জারি : সাতক্ষীরায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি

খুলনা অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে গোটা বিভাগ।বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমবায় সমিতির নির্বাচন ২২ এপ্রিল

দীপক শেঠ, কলারোয়া: আগামি ২২ এপ্রিল সোমবার কলারোয়া উপজেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীবিস্তারিত পড়ুন

তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে মে মাসে, সর্বোচ্চ হতে পারে ৪৪ ডিগ্রি

প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ। টানা হিটওয়েভে ওষ্ঠাগত জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ চড়াওবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলায় পুরস্কার বিতরণ
  • কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেমের ইন্তেকাল
  • কলারোয়ার জয়নগর মদন মোহন মন্দিরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
  • কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়া বেত্রবতী হাইস্কুলে নববর্ষ উদযাপন
  • কলারোয়ায় নিহত ঢাবি শিক্ষার্থীর পরিবারের পাশে সাতক্ষীরা বিসিএস অফিসার্স ফোরাম
  • কলারোয়া পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুলের মাতা সায়রা বানুর ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন
  • কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতারি বিতরন
  • কলারোয়াতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেলাই মেশিন বিতরণ
  • প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করলেন তালা-কলারোয়া সংসদ সদস্য স্বপন
  • সোনাবাড়ীয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে নগদ অর্থ, ঈদবস্ত্র ও ইফতার বিতরণ
  • কলারোয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ঈদের কেনাকাটা, ফুটপাত বাজার নির্ভর