আরো খবর
তালায় করোনায় এক ভাইয়ের মৃত্যুর পর আরেক ভাইয়ের উপসর্গে মৃত্যু
সাতক্ষীরার তালায় জ্বর,সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মোঃ মহিউদ্দীন গাজী (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ব্যক্তি হলেন তালা সদর ইউনিয়নের বারুইহাটী গ্রামের মৃতঃ সরফুদ্দীন গাজীর ছেলে।
শনিবার (২৫ জুলাই) বিকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন।
এদিকে, গত ২৬ জুন সকালে তার আপন ভাই মোঃ বজলুর রহমান গাজী (৪৮) করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতেই মারা যান।
মৃত ব্যক্তির স্বজনরা জানান, মহিউদ্দীন গাজী ছিলেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তিনি তালা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরণের ভাজি বিক্রি করে সংসার চালাতে। বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। হাঠৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার বেলা ১১ টার দিকে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকালেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তালা উপজেলার বারুইহাটী গ্রামের মোঃ মহিউদ্দীন গাজী শনিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েক ঘন্টা পর তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের তত্বাবধায়ক। তার বাড়ি লকডাউন করা হবে বলে জানান তিনি।
হালিমা বেগম গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সুদিন ফিরে পেয়েছে
গ্রাম আদালত সম্পত্তি সংক্রান্ত,কাউকে উত্যক্ত করা,শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ,ক্ষতিপূরণ আদায়সহ নানা ধরণের বিবাদের সমাধান দিয়ে আসছে। গ্রামীণ জনপদে ন্যায় বিচার আদায়ে নামমাত্র খরচে ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলার সমাধান মিলছে এখানে। ফলে থানা-পুলিশ বা আদালতে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা থেকে রেহাই মিলছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর।
এমনি ভাবে গ্রাম আদালতের মাধ্যমেই নিজের জীবনের গতিপথ ফিরিয়ে এনেছে সাতক্ষীরার তালার উপজেলার হালিমা বেগমের । সে উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ফলেয়া গ্রামের আব্দুল হাকিম মোড়লের স্ত্রী ।
হালিমা বেগম এখান থেকে ৭ বছর আগে একই গ্রামের জৈনিক ব্যক্তির কাছে পঁচিশ হাজার টাকা ধার দিয়েছিল। তবে এই ধার দেওয়ায় যেন তার বড় অন্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারন তার ধার দেওয়া টাকাটা অবশেষে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ফেরৎ পেতে হয়েছে।
হালমা বেগম তার ধার দেওয়া টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য তালার মাগুরা ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৩শে নভেম্বর মাগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথ এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বরদের নিয়ে গ্রাম আদালত বসিয়ে হালিমার টাকা তার কাছে হস্তান্তর করেন।
টাকা ফেরৎ পেয়ে হালিমা বেগম তার স্বামীর জন্য একটি ইজ্ঞিন ভ্যান ক্রয় করে দেন। সেখান থেকেই তার জীবনের গতিপথ ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়। এক ছেলে এবং স্বামীকে নিয়ে স্বচ্ছল একটি পরিবার তার।
হালিমা বেগম বলেন,আমি টাকা ফেরৎ পেয়ে এখন খুবই খুশি আজ আমার একটা ভালো অবস্থান তৈরী হয়েছে। আমি এখন খুব ভালো ভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনতিপাত করছি।
এবিষয়ে মাগুরা গ্রাম আদালতের সহকারী ডলি আক্তার জানান, প্রায় ৫ মাস আগে আমাদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে তার টাকাটা ফেরৎ দেওয়া হয়। হালিমা বেগম ছাড়াও আরো অনেক অসহায়,দরিদ্র,ভুক্তভোগী পরিবারকে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে আমরা সহযোগীতা দিয়ে আসছি।
##
সেলিম হায়দার,০১৭১৩২১১২৩৫/২৫.০৭.২০ \
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)