নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন


গত ২৪ সেপ্টেম্বর যশোর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বিপক্ষে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. ছায়াদুল্লাহ তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আমার বিরুদ্ধে গত ২৩ সেপ্টেম্বর-২০২০ইং তারিখে এলাকার আব্দুল হাই, নজরুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মণিরামপুর প্রেসক্লাবে যে তথ্য উত্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছে, সেতথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক চক্রান্ত ও হয়রানি মূলক। আমি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাচ্ছি।
মণিরামপুর প্রেসক্লাবে এলাকাবাসির পক্ষে মো. নজরুল ইসলাম নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বিপক্ষে যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি ২০০৭ সালে এলাকার মানুষদের ভুল বুঝিয়ে ও আমার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় বিভ্রান্তমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়ে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অচল রাখার পরিকল্পনা করেছিলো এবং ২০০৭ সালের মার্চ মাস থেকে প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি খেলার মাঠে জোরপূর্বক ধান চাষ করে আসছে। মাদ্রাসার রেকডীয় সম্পত্তি ছেড়ে দেওয়ার জন্য মাদ্রাসার সভাপতি মো. আজগার আলী কয়েকবার মৌখিক ভাবে বলার পর তার উপর ক্ষুব্দ হয়ে মাদ্রাসার সদস্য মো. আব্দুল হাই এবং এলাকার কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার মাওলানা মাহবুবুর রহমানের ছেলে মো. মেহেদী হাসানের যোগ সাজসে প্রতিষ্ঠানটির মান ক্ষুন্ন করা এবং চিরদিনের মত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে শিক্ষকদের কাছ থেকে মাওলানা মাহবুবুর রহমান ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিগত ৩ সেপ্টেম্বর-১৯৯৯ ইং তারিখে ৪৬ শতক জমি মাদ্রাসার নামে দলিল করেন। যার কবলা নং- ১২৫০। উক্ত দলিল থেকে তিনি মাদ্রাসার নামে মাত্র ৩৪ শতক জমি রেকড প্রস্তুত করে। মাদ্রাসার নামে রেকড প্রস্তুত হওয়ার পর মাদ্রাসাটি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম, তার পিতা ফজলুর রহমান, আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান ও মশিয়ার রহমান সহকারি জজ আদালত, মণিরামপুর, যশোরে দেওয়ানী মামলা করেন। যার নং- ৭৭/২০০৪। দীর্ঘ দুই বছর মামলা চালিয়ে অবশেষে হেরে যাওয়ার পর মাদ্রাসার শিক্ষক রাজাকার পুত্র মাসুম বিল্লাহকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সুকৌশলে মাদ্রাসার ৪৪৫ দাগে ও ৪৩৭ দাগের ৪০ শতক জমি জবর দখলে আছেন। ওই জমিটি স্থায়ী ভাবে দখরের জন্য উক্ত মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
উক্ত মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির শুরুতেই দাতা সদস্য ছিলেন আলহাজ্ব এমরান আলী। আমাকে মামলায় জড়িয়ে আব্দুল হাই কীভাবে এই মাদ্রাসার সদস্য হলেন আমার জানা নাই। মাদ্রাসার সভাপতি উল্লেখ করেন, আব্দুল হাই এর কোনো সন্তান উক্ত মাদ্রাসায় পড়ে না। তাছাড়া মাদ্রাসায় তার কোনো জমি দান করা নেই। এই আব্দুল হাই স্থানীয় মাসুদুর রহমানের নিকট থেকে নিয়োগ বিনিজ্যের জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। মাসুদুর রহমানের নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত হওয়ার কারণে সে এখন ক্ষুব্দ হয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথি উল্লেখ করে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছে। আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন- মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আজগার আলী, সহকারি সুপার মো. মাসুদুর রহমান, সহকারি শিক্ষক পৃতীষ কুমার সরকার, আশীষ কুমার দাস, মো. আবুল বাশার, মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মো. সেকেন্দার আলী প্রমুখ।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
