নড়াইলে শিশু সন্তানের হত্যার বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ফল বিক্রেতা মা
শিশু সন্তানের হত্যার বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ফল বিক্রেতা হতদরিদ্র মা আন্না বেগম।
সন্তান হত্যার প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এখনও হত্যাকারীদের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ।
কারা এবং কেন শিশু সাব্বিরকে হত্যা করলো সে খবরও দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হলেন। তার বিশ্বাস এবার যদি তিনি সন্তান হত্যার বিচার পান।
সকাল ১০টায় স্বামী হারা আন্না বেগম বলেন, আমি গরিব মানুষ, আমার কেউ নেই বলে আমার সন্তানের মামলায় কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।
জানা গেছে, ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন জেলার কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের পূত্র। বাবা তার মার কোনো খোঁজ-খবর না নেওয়ায় মা আন্না বেগমের সাথে নড়াইল পৌর এলাকার বিজয়পুরে নানা বাড়িতে থাকত। সাব্বির সংসারের চাকাকে সচল রাখতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালিয়ে দরিদ্র মায়ের সংসারে বাড়তি আয় রোজগার করত।
২০১৯ সালের ১৫মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয় সাব্বির। পরে আর বাড়ি ফেরেনি। এর দু’দিন পর ১৭ মার্চ বাড়ির থেকে ৩ মাইল দুরে নড়াইল-গোবরা সড়কে কাড়ারবিল এলাকায় একটি ডোবার মধ্যে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় ধারণা করা হয় সাব্বিরকে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি দুবৃত্তরা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাব্বিরের মা আন্না বেগম বাদি হয়ে ১৯মার্চ সদর থানায় কারও নাম উল্লেখ না করে নড়াইল সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটির কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা তদন্তে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই আরমিন বলেন, মামলাটি আমরা ৪ মাস পর পাই। তখন সন্দেহভাজন ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্ত কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। আমরা দোষিদের খুজে বের করতে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। কিন্তু বাদি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের নাম বলায় আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি। কিন্তু আমরা ঠান্ডা মাথায় মামলাটির তদন্ত করছি। চার্জসিট এখন দেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করার চেষ্টা করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)