পদ্মা সেতুতে যান চলাচল চলতি বছরের শেষ নাগাদ
আগামী জুন মাসের মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দক্ষিণ জনপদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্তের তারিখ পেছানোর কারণ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক জবাবে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মার্চ মাসের মধ্যে যেসব মালামাল আসার কথা ছিল সেগুলো আসতে পারেনি। তাই পদ্মাসেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার জুন মাসে যে সময়সীমা ছিল তাতে কিছুটা দেরি হতে পারে। যার কারণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন চলতি বছরের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে, বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
সংসদের প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সকল বাধাবিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পসমূহের একটি।
পদ্মা সেতু নির্মাণে সংশোধিত ব্যয় বেড়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)