বাংলাদেশ নিয়ে আবারও আল-জাজিরার অপপ্রচার
বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্ত থামছে না আল জাজিরার। এবার টার্গেট রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের গড়ে তোলা আধুনিক ও নিরাপদ আবাসস্থল নোয়াখালীর ভাসানচর। ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে নানামুখী অপপ্রচার শুরু করেছে কাতারভিত্তিক এ সংবাদ মাধ্যম। ভাসানচর নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সন্তুষ্টি প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই আল জাজিরার অপপ্রচারকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন রোহিঙ্গা গবেষকরা।
১৭০ বছরের ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাস এবং ক্ষয়-ক্ষতি পর্যালোচনা করেই গড়ে তোলা হয়েছে নোয়াখালীর ভাসানচরে আধুনিক আশ্রয়ণ প্রকল্প। যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত সব প্রযুক্তি। ইতোমধ্যে ৫ দফায় যাওয়া প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। আর এ ভাসানচর নিয়েই অপপ্রচার চালাচ্ছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
গত ৩ বছর ধরে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সহযোগিতায় এ ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য গড়ে তোলা হয় গুচ্ছ গ্রাম, ঘূর্ণিঝড় শেল্টার ও হাসপাতাল। ইতোমধ্যে সেখানে বাজার ব্যবস্থাও গড়ে উঠেছে।
চলতি বছরের ১৮ মার্চ বহুল আলোচিত ভাসানচর পরিদর্শন করে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল। রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদনও দিতে যাচ্ছে তারা। তার আগে ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন উন্নত দেশের কূটনীতিকরা। তারাও ভাসানচর নিয়ে ইতিবাচক। এতো কিছু ইতিবাচকের মাঝে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
গত ৩ বছরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় যেমন এখানে কোনো ক্ষতি করেনি, তেমনি এখন পর্যন্ত জোয়ারের পানি প্রবেশেরও কোনো নজির নেই। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন দ্বীপের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বসবাস রয়েছে দুই কোটির বেশি মানুষের। অথচ আল-জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ারের পানির কথা বলে ভীতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক প্রফেসর ড. জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, আল-জাজিরার বাংলাদেশ ডেস্কে যারা কাজ করে তারা পাকিস্তানি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি শত্রুতা করেই তারা এ কাজটি করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখার একটা পরোক্ষ চক্রান্ত আল-জাজিরা সবসময় করে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের স্পর্শকাতর নানা বিষয় নিয়ে চক্রান্ত করে যাচ্ছে আল জাজিরা। কিন্তু তারাকোনটাতেই সফল হতে পারেনি বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. এমদাদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আসলে এগুলো আল-জাজিরা সম্পূর্ণ অপপ্রচার। কারণ সেখানে বলা হচ্ছে ভাসানচরে সাইক্লোন হয়, বন্যা হয়। কিন্তু এগুলোর কোনো প্রমাণ নেই।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে প্রাণভয়ে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। সূত্র: সময়টিভি
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)