বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন সংগ্রহে চুক্তি স্বাক্ষর
রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন সংগ্রহের লক্ষ্যে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের হিন্দুস্থান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মধ্যে আজ এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান এবং ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রদীপ গুহ।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, অবিভক্ত ভারত থেকে আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে রেল ব্যবস্থা পেয়েছি। রেলকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে বর্তমান রেলওয়েকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কারণ বর্তমান সরকারের লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আত্মনির্ভরশীল, মর্যাদাসম্পন্ন দেশ গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জনগণের কথা মাথায় রেখে সুদূরপ্রসারি চিন্তা থেকে রেলওয়েকে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন।
সারাদেশের রেল যোগাযোগ বাড়াতে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন নদী ও সমুদ্র বন্দরের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ সম্প্রসারনে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সকল সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইন উন্নীত করা হবে।
কারখানাগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। রেলওয়ের হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনার জন্য বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
দুইশত একত্রিত কোটি উনিশ লাখ উনিশ হাজার নয়শত চৌত্রিশ টাকা ব্যয়ে ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন সংগ্রহের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি’র যৌথ অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। উল্লেখিত ওয়াগনসমূহ স্টেইনলেস স্টিল বডি, উচ্চ গতিসম্পন্ন বগি এবং অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম সম্বলিত হওয়ায় সাধারণ ও বিশেষায়িত পণ্য যেমন বিভিন্ন রকমের খাদ্যশস্য, সার, পাথর, কাঠ ইত্যাদি দ্রব্য কম খরচ ও সময়ে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)