শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বিক্রির জন্য ছেলেকে বাজারে তুললেন মা, দাম চাইলেন ১২ হাজার

স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ নেই। নিজেও নানা রোগে আক্রান্ত। স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই থাকেন বাবার সংসারে। সেখানেও নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এ অবস্থায় একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন মা সোনালী চাকমা। অভাবের তাড়নায় নাড়িচেরা ধন সন্তানকে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে আসেন। দাম হাঁকেন মাত্র ১২ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) খাগড়াছড়ি বাজারে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বিক্রির হাত থেকে বাঁচান ওই শিশুকে। তার হস্তক্ষেপেই মায়ের সঙ্গে ঘরে ফেরে ৬ বছরের রামকৃষ্ণ চাকমা।

সোনালী চাকমা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়ার পাকোজ্জ্যাছড়ি এলাকার কালাবো চাকমার মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর সন্তান নিয়ে পৈত্রিক ভিটায় গোয়াল ঘরের পাশে থাকেন। তার বড় দুই ছেলের একজন বিয়ে করে আলাদা আর মেঝো ছেলে খাগড়াছড়ি সদরে দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি হাটে নিজের ৬ বছরের সন্তান রামকৃষ্ণ চাকমাকে বিক্রি করতে আনেন মা সোনালী চাকমা। সন্তানের বিনিময় তিনি ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। বাজারে সবজি বিক্রি করতে আসা একজন তার ছেলেকে ৫ হাজার টাকায় কিনতেও চান। কিন্তু সোনালী চাকমা কম দামে বিক্রি করতে রাজি হননি।

একপর্যায়ে বিষয়টি কয়েকজনের নজরে এলে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানান। পরে কমলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুনীল জীবন চাকমার হস্তক্ষেপে মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

সোনালী চাকমার ভাই ভারতব চাকমা বলেন, দিদি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। মৃগী রোগী। এ জন্য মাঝেমাঝে এলোমেলো কথা বলেন। বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি বাজার থেকে এক চেয়ারম্যান ফোন করে ছেলেকে বিক্রি চেষ্টার কথা জানালে বাবা গিয়ে দিদি ও ভাগিনাকে নিয়ে আসেন।

বিষয়টিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ানম্যান সুজন চাকমা জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই মা-ছেলের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি শিশুটিকে একটি সদনে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

ছেলেকে বিক্রির চেষ্টার কথা স্বীকার করে সোনালী জানান, অভাবের সংসার। স্বামী ছেড়ে চলে গেছে অনেকদিন। ঘরে কোনো খাবার নাই। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ওষুধ কেনার টাকা নাই। কিভাবে বাঁচবো ছেলেকে নিয়ে। তাই ছেলেকে ভালো পরিবারে দিতে চেয়েছিলাম।

ছেলেকে বিক্রি করতে আনার খবরে শুক্রবার (১২ আগস্ট) সোনালী চাকমা ও তার ছেলের খোঁজ নিতে তাদের বাড়িতে ছুটে যান সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা। পরিবারটির জন্য ৬ মাসের খাদ্য সহায়তা ও নগদ কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও আশ্বাস দেন। তিনি শিশুটিকে কোনো সরকারি শিশু সদনে পাঠানো যায় কিনা তা দেখবেন বলেও জানান।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় এবার ধান ক্ষেতের সাথে শত্রুতা

দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু: কলারোয়ার ধানদিয়ায় ব্যক্তি শত্রুতা ধানের জমিতে। ঘাস পোড়া স্প্রেবিস্তারিত পড়ুন

মানবতা সংঘের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে কেরাত আযান গজল অনুষ্ঠিত

ইতিবাচক চিন্তা করি সুন্দর একটি সমাজ গড়ি এই প্রতি পাদ্যকে সামনে রেখেবিস্তারিত পড়ুন

আশাশুনির বড়দল লক্ষীখোলা খাস ও ভিপি সম্পত্তিতে মৎস্য প্রকল্প সাময়িক স্থগিত

জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামে সরকারিবিস্তারিত পড়ুন

  • আশাশুনির আনুলিয়ায় রাস্তায় ইট তুলে বিক্রি করলেন মেম্বার আলাউদ্দিন
  • আশাশুনিতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের একিভুত শিক্ষা বিষয়ক এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দীনের বার্ষিকীতে স্মরণ সভা
  • শ্যামনগরে বাল্যবিয়ে বন্ধের দাবিতে গণজমায়েত
  • আশাশুনির চেউটিয়া নদী উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন
  • যশোরের শার্শায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ
  • নড়াইল ডিবি পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহিলা গ্রেফতার
  • নড়াইলে দুইজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
  • কলারোয়ায় প্রতারক তফুরার হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
  • আশাশুনি প্রেসক্লাবের আয়োজনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত
  • সাতক্ষীরায় জাতীয় ছাত্র সমাজের ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
  • শ্যামনগরে দুর্যোগ সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ
  • error: Content is protected !!