‘বিক্রি হবো’: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘোষণা সাতক্ষীরার যুবকের
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার নিজেকে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হতে চান সাতক্ষীরার যুবক।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহযোগিতার জন্য ৩০ লাখ টাকায় নিজেকে বিক্রি করতে চান সাতক্ষীরার তরুণ গাজী আনিস।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ‘বিক্রি হব (ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য)’ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এই বিক্রি হতে চান তিনি।
প্ল্যাকার্ডে দেখা যায়, গাজী আনিস তাঁর মূল্য নির্ধারণ করেছেন- ৩০ লাখ টাকায়। হ্যাশট্যাগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গাজী আনিস লেখেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সংগ্রাম করে উপকূলবাসীর টিকে থাকার সংগ্রাম বহুদিনের। আইলা, সিডর, বুলবুল, আম্ফান, ইয়াসের মতো দুর্যোগ একের পর এক দুর্যোগ এসব এলাকায় আঘাত হেনেছে। কিন্তু টেকসই বেড়ীবাঁধ না থাকায় দিনে দিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। ইয়াসের প্রভাবেও ব্যাপকভাবে খতিগ্রস্থ উপকূলের মানুষেরা। স্বপ্নহারা হয়েছে অনেক শিশু, অনেক পরিবারের শেষ সম্বল ভেসে গেছে পানিতে। এখনও অনেকেই বাড়ি ছাড়া হয়ে বসবাস করছেন। দিনে দিনে এই দুঃখ বাড়ছে। আমার জন্মভূমি উপকূলীয় এলাকায়। যেখানের আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছি, সেই সব মানুষের কথা চিন্তা করে সহযোগিতা করার জন্য নিজেকে বিক্রি করার এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমার মতো তরুণেরা যদি এমন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসেন, নিশ্চয়ই একটা সমাধানের পথ বের হবে।
গাজী আনিসের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়। শৈশব থেকে বিভিন্ন ধরণের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত তিনি। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বেশ কয়েক বছর আগে থেকে উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইয়াসের প্রভাবে অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনি, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী ইউনিয়ন এবং আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা, প্রতাপনগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা ও দেবহাটা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী, কালিন্দি নদী ও কাকশিয়ালি নদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)