মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল সোনা-রুপা!
জমিতে মাটি সমান করার কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। হঠাৎই মাটি খুঁড়তে বেরিয়ে এলো একটি মুখবন্ধ ধাতব পাত্র। সেটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! পাত্রভর্তি সোনা-রুপার পুরোনো আমলের গয়না।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওইসব গয়নার মধ্যে রয়েছে কানের দুল, নাকফুল, মালা!
ঘটনাটি ঘটে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের তেলেঙ্গানা রাজ্যের জানগাঁও জেলার পেমবার্থি গ্রামে। সেখানকার ওয়ারাঙ্গাল-হায়দরাবাদ ন্যাশনাল হাইওয়ের পাশে একটি প্লটে ভবন তৈরির জন্য জমি সমান করার কাজ চলছিল। তখন কোদালের কোপে উঠে আসে তামার তৈরি একটি পাত্র। পরে পাত্রের মুখ খুলে পাওয়া যায় সোনা-রুপার তৈরি পুরোনো আমলের নাকফুল, কানের দুল, মালাসহ নানান গয়না।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে ১ কেজি ৭২৭ গ্রাম ওজনের রুপার গয়না রয়েছে। সোনার গয়নার ওজন ১৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম।
ধারণা করা হচ্ছে, এসব প্রাচীন আমলের গয়না। যা দেবীদের পড়ানো হয়েছিল। পরে তা ধাতব পাত্রে তুলে রাখা হয়েছিল। যা কালের আবর্তে মাটিচাপা পড়েছে।
মাটি খুঁড়ে গয়না উদ্ধারের ঘটনা দ্রুত আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের গ্রাম থেকে অনেক মানুষ ছুটে আসেন সেখানে। তাঁরা ধূপকাঠি জ্বালিয়ে, নারকেল ভেঙে, ফুল দিয়ে এই জায়গায় পূজা–অর্চনা করেন। গ্রামবাসীর বিশ্বাস, কোনো এক সময় এ জায়গায় দেবীমন্দির ছিল। সেই দেবী প্রতিমার অলংকার মাটির নিচে পাওয়া গেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জমির মালিক কিংবা আবাসন ব্যবসায়ী, কেউই উদ্ধার হওয়া গয়নার মালিকানা পাচ্ছেন না। তা ইতোমধ্যে জেলার অ্যাডিশনাল কালেক্টর নিয়ে গেছেন। ১৮৭৮ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া এসব গয়নার মালিক ভারত সরকার।
পুরোনো আমলের গয়নাগুলো কবে নাগাদ তৈরি হয়েছে, তা জানতে পরীক্ষা করবেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)