মাদককাণ্ডে কন্সটেবলের চাকরি হারিয়ে রায়হান এখন পুলিশ কর্মকর্তা !


৬ মাস আগে মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মের দায়ে পুলিশের চাকুরী হারান শেখ আবু রায়হান। চাকুরী হারিয়ে এখন এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সে। চাঁদাবাজি, জমি দখল, মারপিটসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
আবু রায়হান তালার ইসলামকাটী ইউনিয়নের সুজনসাহা গ্রামের শফিউল্যা শেখের ছেলে।
জানা গেছে, শেখ আবু রায়হান কয়েক বছর আগে পুলিশের চাকুরী পায়। গত কয়েক মাস আগে মিরপুর-১৪ পুলিশ লাইন্সে থাকাকালীন মাদক সেবনসহ নানান অভিযোগে তাকে চাকরীচ্যুত করা হয়। এরপর বাড়িতে এসে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় এলাকার বকাটেদের নিয়ে মাদক সেবন, কেউ কোন কাজ করলে সেখানে চাঁদা দাবিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত সে।
ইসলামকাটী গ্রামের মৃত. মোবারক সরদারের ছেলে আজিজুল ইসলাম সরদার জানান, বিভিন্ন সময়ে রায়হানের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে রায়হান আমাকে মারপিটের হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, তার বাবা শফিউল্যা শেখর বাউখোলা মৌজার ১.০৮ একর সম্পত্তির মধ্য হতে ৩৫ শতক সম্পত্তি ৯ বছর মেয়াদে চুক্তি পত্র করে। ২০১৪ সাল হতে প্রতিবছর বার হাজার টাকা করে দিয়ে আসছি। এ অবস্থায় আমার চুক্তিপত্রের মেয়াদ আরও এক বছর থাকার পরও তার বাবা আবারও আট বছর মেয়াদে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পের উপর চুক্তিপত্র লিখে দিয়ে অগ্রিম নগদ ৩২ হাজার টাকা গ্রহণ করে। বর্তমানে ঐ জায়গায় আমার পানের বরজ ও কুল বাগান আছে। কিন্তু রায়হানের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সে আমাকে তার বাবার কাছ থেকে লিস নেওয়া জায়গা ছেড়ে দিতে হুমকি দিচ্ছে।
আজিজুল ইসলাম সরদার আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাত্র সাড়ে নয়টার দিকে আমার বাড়িতে এসে আমাকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আর আমার লিস নেওয়া জায়গা ছেড়ে না দিলে ক্ষতিসাধন করার হুমকি দেয়। এব্যাপারে আমি থানায় অভিযোগ করলে সে তার দল-বল নিয়ে আমার ছেলে জাহিদুল ইসলামের উপর হামলা করে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম এসময় আবু রায়হানসহ দুইজন মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল থামিয়ে আমাকে ডাকে। আমার আব্বুর কাছে কল দিতে বলে, আমার ফোনে টাকা না থাকায় আমি কল দিতে পারেনি। একারণে সে আমার জামার কলার ধরে আমাকে চড় থাপ্পড় মেরে চলে যায়।
অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ কনস্টেবল শেষ আবু রায়হান বলেন, আমি ব্যক্তগত কারণে চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তালা থানার এসআই কাওসার বলেন, এ ব্যাপারে আজিজুল ইসলাম সরদার থানায় অভিযোগ করেছে। আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, কন্সটেবল থেকে চাকুরিচ্যুত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিচ্ছে এমন খবর আমার জানা নেই। তার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
