মামলা করে ৫ লাখ টাকা জরিমানা খেলেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
এরপর তিনি নিজেই বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টায় এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সেই সঙ্গে মামলাকারী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মূলত কৌশিক চন্দকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা ও অপমান করার অভিযোগে মমতাকে এ জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণা পর মামলাটি এখন ভারতের প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। সেখান থেকে মামলাটি অন্য বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।
এই মামলার শেষ শুনানি হয় গত ২৪শে জুন। বিচারপতি কৌশিক চন্দকে এই মামলা না শোনার জন্য আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি যেসব আবেদন করেছিলেন মামলার রায়ের দিন তার সব আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
এ সময় তিনি বলেন, এই মামলা শোনা কিংবা না শোনা দুটিরই কোনও কারণ নেই। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে আমি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। এই মামলায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তিনি আরও বলেন, এই মামলার সময়ে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী টুইট করেছেন। সেখানে বিচারপতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ কারণেই মমতার জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ জমা পড়বে হাইকোর্টের বার কাউন্সিলের কাছে। কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য এই টাকা ব্যবহার করা হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ। এই যুক্তি দেখিয়ে তাকে স্বেচ্ছায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
গত ২৪ জুন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এই নিয়ে প্রায় একঘণ্টা কোর্টে সওয়াল করেন। তার যুক্তি ছিল, যেহেতু কৌশিক চন্দ অতীতে বহু মামলা লড়েছেন বিজেপির হয়ে, তাই তিনি এই মামলায় রায় দান করলে মানুষ তা ভালো ভাবে নেবে না। নিজের যুক্তির সপক্ষে বিজেপি যোগের প্রমাণও তুলে ধরেন সিঙ্ঘভি। মামলা অন্য এজলাসে পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের কাছে যে দাবি জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)