রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চুক্তি রক্ষা করেনি মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল মিয়ানমার তা রক্ষা করেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের পরে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি মিয়ানমার। দুর্ভাগ্যক্রমে আজ অবধি একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যায়নি।’
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ২৭তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) ভার্চুয়াল সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভিয়েতনামের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাম বিন মিনহ এ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে গণহত্যার হাত থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ নিপীড়িত মানুষকে মানবিক আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী চেতনায় গঠনমূলক কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানে বাংলাদেশ আগ্রহী।’
ড. মোমেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা করছে। তবে খুব কম সংখ্যক রোহিঙ্গা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার টিকা পাওয়া গেলে কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই তা বিতরণে জোর দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মূলত তাদের স্বদেশে ফিরছে না কারণ তারা সুরক্ষার বিষয়ে তাদের সরকারকে বিশ্বাস করে না। আস্থা ঘাটতি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা মিয়ানমারকে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ আসিয়ান, চীন, রাশিয়া, ভারত বা তাদের পছন্দের অন্যান্য বন্ধু দেশ থেকে অ-সামরিক ও বেসামরিক পর্যবেক্ষকদের জড়িত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম।
এগুলো টেকসই ফেরতের জন্য আস্থার ঘাটতি হ্রাস করতে পারে। আমরা আমাদের এআরএফ অংশীদারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সমর্থন প্রার্থনা করি যাতে এই অসহায় রোহিঙ্গারা সুরক্ষা এবং মর্যাদায় তাদের দেশে ফিরতে পরে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা, যদি এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান না করা হয় তবে এই সংকট উগ্রবাদের পকেটে পরিণত হতে পারে। যেহেতু সন্ত্রাসীদের কোনো সীমানা নেই, তাই এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমাদের শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য হুমকি স্বরূপ।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)