সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজের জন্য জায়নামাজ খুঁজি: সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘুম থেকে উঠেই নামাজের জন্য জায়নামাজ খোঁজেন বলে সংসদকে জানিয়েছেন। এছাড়া বর্তমান করোনাকালে সকালে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করার পর বঙ্গভবনের লেকে ছিপ দিয়ে মাছ ধরেন বলে জানান। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল ইমাম নিজে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল ফোন খোঁজেন, তার স্ত্রী ঘরদোর পরিষ্কার করতে ঝাঁড়ু খোঁজেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ঘুম থেকে উঠে কী খোঁজেন তা জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকালে উঠে আমি জায়নামাজ খুঁজি। সকালে উঠে আগে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে কোরআন তেলাওয়াত করি। তারপর এক কাপ চা নিজে বানাই। সকালের চা আমি নিজে বানিয়ে খাই। চা-কফি যাই বানাই নিজে বানিয়ে খাই। ছোট বোন বাসায় থাকলে দুজনের যে আগে ওঠে সে বানায়। মেয়ে পুতুল আছে। সেও আগে উঠলে বানায়। তার আগে ঘুম থেকে ওঠার পর নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি। এরপর বই-টই যা পড়ার পড়ি। আর ইদানীং করোনাভাইরাসের পরে সকালে একটু হাঁটতে বের হই। তবে আরেকটা কাজ করি এখন। সেটা বললে কী হবে (হেসে ফেলেন)। বঙ্গভবনে একটি লেক রয়েছে। হাঁটার পরে লেকের পাড়ে যখন বসি, তখন ছিপ নিয়ে বসি। মাছ ধরি।’
পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে সামাজিক ও পারিবারিক শিক্ষা পেয়েছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আব্বার নির্দেশ ছিল একজন রিকশাওয়ালাকেও আপনি বলে সম্বোধন করতে হবে। ড্রাইভারকে ড্রাইভার সাহেব বলতে হবে। কাজের যারা লোকজন তাদের কখনও চাকর-বাকর বলা যাবে না। হুকুম দেওয়া যাবে না। তাদের কাছে কিছু চাইতে হলে সম্মান করে ভদ্রভাবে চাইতে হবে। যে কারণে আমি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, যতদূর পারি নিজে করে খাই। কিন্তু এখনও আমার বাড়িতে কাজের মেয়ে যারা আছে, কারও কাছে যদি এক গ্লাস পানিও কখনও চাইতে হয়, তাদের জিজ্ঞাসা করি, আমাদের এটা দিতে পারবে? এই শিক্ষাটা আমরা নিয়ে আসছি। এই শিক্ষা বাবা আমাদের দিয়ে গেছেন। এখনও মেনে চলি। আমরা সবাইকে সমান সমাদর করি। বরং যাদের কিছু নেই তাদের দিকে একটু বেশি নজর দিই।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)