সোমবার, মে ৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সিলেটে রায়হান হত্যা: পালানোর আগে আলামত নষ্ট করে দেন এসআই আকবর

রায়হান হত্যার ঘটনায় সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া অনেকেই পুলিশ লাইনে থাকলেও ঘটনার মূল হোতা এসআই আকবর হোসেন লাপাত্তা। তার হদিস মিলছে না। পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে প্রতারণা করে পালিয়ে যান তিনি। সবার প্রশ্ন- আকবর ভূঁইয়া কোথায়? পুলিশও জানে না আকবর কোথায়?

সিলেট মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হানের মৃত্যুর ঘটনার পর পরই গা-ঢাকা দেন আকবর।
তার আগে খুনের সব আলামত নষ্ট করে দেন তিনি।
এমনকি সিসিটিভির ফুটেজও মুছে ফেলা হয়। এ কারণে ‘গণপিটুনির’ কথা পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু যখন পার্শ্ববর্তী এসপি অফিসের সিসিটিভির ফুটেজে ঘটনা ধরা পড়ে তখন আকবরের সহযোগী এক পুলিশ সদস্য ঘটনা স্বীকার করে নেয়।

ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাত ৩টার পর সিএনজি অটোরিকশা যোগে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয় যুবক রায়হানকে। রায়হান ওই সময় সিএনজি থেকে নেমে নিজেই হেঁটে হেঁটে পুলিশের সঙ্গে ফাঁড়িতে ঢোকেন। এ সময় তার হাতে হাতকড়া লাগানো ছিল।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে যখন রায়হানকে ফাঁড়ি থেকে বের করা হয় তখন তার দুই হাত ছিল দুই কনস্টেবলের কাঁধে।

পা ছেঁচড়ে সিএনজি অটোরিকশাতে তোলা হয় রায়হানকে। এ সময় বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর ভূঁইয়াও সেখানে ছিলেন।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন সকাল থেকেই লাপাত্তা ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর ভূঁইয়া। তাকে আর ফাঁড়ি এলাকায় দেখা যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল।

লাপাত্তা হওয়ার আগে তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হলে রায়হানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন তিনি ফাঁড়িতে নিয়ে আসার কথা অস্বীকার করে নেন। কিন্তু ঘটনা ছিল তার উল্টো। এ কারণে সিসিটিভি ফুটেজে সত্যতা পাওয়ার পর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হলে মহানগর পুলিশ পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করে। পিবিআই ফাঁড়ি পরিদর্শন করে নিহত রায়হানের মৃতদেহ আরেক দফা ময়নাতদন্ত করে দাফন করে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর)।

তার আগে তিনদিন আলোচিত এ মামলার তদন্তে ছিলেন কোতোয়ালি থানায় এসআই আব্দুল বাতেন। আকবর ‘হাওয়া’ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ তার সন্ধানে নামে। গত সোমবার রাতে আকবরের আশুগঞ্জের বেড়তলা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। এখন আকবর কোথায় আছে সেটি জানেন না পুলিশের কর্মকর্তারা। আকবর যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সেজন্য দেশের সব ইমিগ্রেশন পুলিশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সিলেটের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে আকবর সম্পর্কিত অনেক তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে। আকবর ঘটনার দিন দুপুর পর্যন্ত সাদা পোশাকে ফাঁড়িতেই ছিল বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ। ওই সময়ের মধ্যে তিনি ঘটনার সব আলামত নষ্ট করে ফেলেন।

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। আকবরের এক বন্ধু ফাঁড়ির সিসিটিভির ওই ফুটেজ নষ্ট করে ফেলেন। এমনকি হার্ডডিস্কও সরিয়ে নতুন হার্ডডিস্ক বসানো হয়। এ কারণে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজে কিছুই পাননি।

ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা পুলিশ কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, আকবরের নেতৃত্বেই ধরে আনা যুবক রায়হানকে নির্যাতন করা হয়। সেসময় সাদা পোশাকে আকবর সেখানে ছিলেন। যখন রায়হানকে নির্যাতন করছিল পুলিশ সদস্যরা তখন আকবর নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যকে ‘বাহবা’ দেন।

ঘটনার দিন রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ রায়হানকে আটক করেছিল কাস্টঘরের সুইপার কলোনির একটি ঘর থেকে। এরপর লোকজনের সামনেই তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে আসা হয় থানায়। থানায় নিয়ে আসার পর ১০ হাজার টাকার জন্য তার পায়ের নখ উপড়ে ফেলাসহ নানা নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের সময় ফাঁড়ির ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। পার্শ্ববর্তী কুদরত উল্লাহ রেস্ট হাউজের বাসিন্দারা রায়হানের সেই চিৎকার শুনেছেন।

রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তিনি টাকার জন্য একজন মানুষকে মেরে ফেলেছেন। সন্তানকে পিতাহারা করেছেন। তার শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সিলেটবাসী রায়হান পরিবারের সঙ্গেই থাকবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ও গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের পদযাত্রা

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ও গাজায় নির্বিচারে সাধারণ মানুষ ও শিশু হত্যার প্রতিবাদেবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন

চাকুরী বৈষম্য দূরীকরণ ও নানা অনিয়মের অবসান চেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় বড় ভাইয়ের চাপাতির কোপে ছোট ভাই সাবেক র‌্যাব সদস্য খুন

সাতক্ষীরার বলাডাঙ্গায় ভাইয়ের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত বরখাস্ত র‌্যাব সদস্য আজিবর রহমানবিস্তারিত পড়ুন

  • তালায় বন্ধ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম ॥ সেবা থেকে বঞ্চিত গ্রাহকরা
  • প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস
  • ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত
  • কলারোয়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী সভায় ভোট চাইলেন বিএনপি নেতা!
  • জমে উঠেছে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
  • সাতক্ষীরায় জেলা বিএনপির সমন্বিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
  • ভোমরা কাস্টমস্ সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের নিন্দা জ্ঞাপন
  • দেবহাটায় স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ
  • দেবহাটায় বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ সরদারের রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন
  • সাতক্ষীরার ধুলিহার তেলের পাম্প এলাকায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট
  • সাতক্ষীরায় মাদকাসক্ত কাস্টম কর্মচারী কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
  • সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী জাতীয় সঞ্চয় অভিযান উপলক্ষে আলোচনা সভা