স্ত্রীকে হত্যা: সাংবাদিকের ছদ্মবেশে ১৭ বছর পালিয়ে ছিলেন আশরাফ


পারিবারিক কলহের জেরে ২০০৫ সালে শিশু সন্তানের সামনে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্ত্রীকে। এরপর সিলিং ফ্যানে মৃতদেহ ঝুলিয়ে সাজান আত্মহত্যার গল্প। সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ গ্রেফতার করলেও ১২ দিন পর জামিনে ছাড়া পান শ্বশুরের বদান্যতায়। কিন্তু এরপরই পালিয়ে যান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাসা থেকে।
পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতের রায়ে দণ্ডিত হন মৃত্যুদণ্ডে। ততদিনে আশরাফ হোসেন কামাল নামে এ অপরাধী ঘাঁটি গাড়েন সাভারের আশুলিয়ায়। ২০০৬ সাল থেকে বিভিন্ন ভুঁইফোড় পত্রিকায় যুক্ত হয়ে সাজেন সাংবাদিক। ২০০৯ সালে সদস্য হন আশুলিয়া প্রেসক্লাবেরও, বিভিন্ন সময় নির্বাচন করে দায়িত্ব পালন করেন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। প্রায় দেড় যুগ ছদ্মবেশে থাকার পর ধরা পড়লেন র্যাবের হাতে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আর মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানিয়েছেন, এ পেশার মধ্যে যদি তিনি জড়িত থাকেন, তাহলে বিভিন্ন মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকতে পারবেন।
র্যাব জানায়, এর আগে আশরাফের নামে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় মোবাইল কোম্পানি সিমটি অন্যজনের কাছে বিক্রি করায় বাগে আনা যায়নি আশরাফকে। পরে সাইবার পেট্রলিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় আশরাফের অবস্থান।
কমান্ডার খন্দকার আর মঈন বলেন, আমরা তার ছবি সংগ্রহ করেছি। তাকে দেখলে ছবি দেখে শনাক্ত করতে পারবে, এ রকম কজন ব্যক্তিকে আমরা শনাক্ত করি। আমাদের যে সাইবার পেট্রলিং তার যে নাম আশরাফ হোসেন, তো আশরাফ দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা সার্চ করতে থাকি। আমরা তার দুটি পেজ পাই। সেই পেজের ছবির সঙ্গে তার এ ছবির সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
আত্মগোপনে যাওয়ার পরের বছরই আগের পরিচয় গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আশরাফ।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
