বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

‘হিংসা ও অহংকার’ নেক আমল ধ্বংস করে

মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো হিংসা ও অহংকার। হিংসা এবং অহংকার মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবনকে করে তুলে বিষময়। হিংসা মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে করে তুলে দুর্বিষহ ও বিষময়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, আল্লাহর জমিনে তোমরা দম্ভ ভরে চল না, কেননা তুমি কখনই এ জমিন বিদীর্ণ করে এর নিচে যেতে পারবে না, আর উচ্চতায় তুমি কখনো পর্বতসমানও হতে পারবে না।
(সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৩৭)।

সুরা হুজরাতের ১১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, হে ইমানদারগণ, তোমাদের কোনো সম্প্রদায় যেন অপর কোনো সম্প্রদায়কে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়েও উত্তম। আর কোনো নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়েও উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না।

ইমানের পর মন্দ নামে ডাকা কতই না নিকৃষ্ট। যারা এ আচরণ থেকে ফিরে না আসবে তারা জালেম। আমাদের মনে রাখতে হবে হিংসা-বিদ্বেষ একটি মারাত্মক ব্যাধি। হিংসুক ব্যক্তি যখন হিংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয় তখন তাকে পরিত্যাগ করা অবশ্য কর্তব্য।

মানুষ কেন একজন আরেকজনকে হিংসা করে? সমাজবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে তা হলো- পরশ্রীকাতরতা, শত্রুতা, দাম্ভিকতা, একে অপরকে ঈর্ষা করা, নেতৃত্ব পাওয়া, নিজেকে যোগ্য ভাবা, ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিল করা, ক্ষমতা পাওয়া ইত্যাদি।

হিংসুক ব্যক্তি মনে করে সে-ই সমাজে সম্মানিত ও দামি আর সবাই তার চেয়ে নগণ্য। এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হিংসা-বিদ্বেষ থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য পবিত্র কোরআনে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

সুরা ফালাকের ৩ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে- ‘হিংসুক ব্যক্তির হিংসার অনিষ্ট থেকেও আমি তোমার আশ্রয় চাই, যখন সে হিংসা করে।’

নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাক। কেননা হিংসা নেক আমলকে এমনভাবে ধ্বংস করে দেয়, যেমন আগুন কাঠের টুকরাকে খেয়ে ফেলে। (জ্বালিয়ে দেয়)। (আবু দাউদ, মিশকাত)।
হিংসুটেকে সমাজে কেউ পছন্দ করে না। সবাই তাকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখে। সমাজে সবার সঙ্গে বসবাস করলেও কেউ তাকে ভালো জানে না।

সুরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে মানুষকে যা দিয়েছেন সেজন্য কি তারা তাদের ঈর্ষা করে?

আল্লাহ রাব্বুল আলামিনও ঈর্ষাকারীকে পছন্দ করেন না। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে অহংকারও অনেক বড় গুনাহের কাজ। আমাদের মনে রাখতে হবে অহংকারের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছিল প্রথম পাপ।

অহংকারীকে আল্লাহতায়ালা কখনো পছন্দ করেন না। কবিরা গুনাহর মধ্যে অহংকার অন্যতম। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা বুঝে না বুঝেই অহংকার করি। যা কাম্য নয়। কারণ অহংকাই পতনের মূল।

আল্লাহ বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব, যারা আমার ইবাদত নিয়ে অহংকার করে তারা শিগগিরই অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সুরা মুমিন (৪০), আয়াত ৬০)।

অহংকারবশত ইবলিশ আল্লাহর আদেশ অমান্য করল এবং আদমকে সেজদা না করার দরুন জান্নাত থেকে বহিষ্কৃত হলো।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শায়খ আহমাদুল্লাহর ইমামতিতে নামাজ আদায় বৃষ্টির জন্য

বৃষ্টি কামনায় রাজধানীতে শায়খ আহমাদুল্লাহর ইমামতিতে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করা হয়েছে। নামাজবিস্তারিত পড়ুন

বান্দরবানের ৩ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত: ইসি

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ৩টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবারবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে সম্পাদকসহ ৩পদে বিজয়ী যারা

কলারোয়া উপজেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সাধারণবিস্তারিত পড়ুন

  • যে কারণে দুই নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
  • আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
  • আবারো বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
  • এবার কারিগরি বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের ডাক পড়লো ডিবিতে
  • আশাশুনিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪
  • শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১১ জনের মনোনয়ন জমা
  • দেবহাটার পারুলিয়া গরুহাট পরিদর্শন করলেন ইউএনও
  • দেবহাটাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে গোলটেবিল সভা
  • দেবহাটায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আলফা’র বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান মামলা
  • দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯ প্রার্থীর মনোনয়পত্র জমা
  • শার্শার বাগআঁচড়ায় চাঁদাবাজির সময় গণধোলাইয়ের শিকার কথিত সাংবাদিক সোহাগ
  • কলারোয়ায় বিছলিকাটা মেশিনে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হলো এক শিশুর