মঠবাড়িয়ায় দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নে দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রুস্তুম খান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ১০টি পরিবার।
রুস্তম খান কুমিরমারা গ্রামের আব্দুল হাকিম খানের পুত্র। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষে শাহানাজ বাচ্চু বাদী হয়ে ৩ এপ্রিল সকালে অফিসার ইনচার্জের নিকট অভিযোগ দেন।এরপর শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয় এবং উভয় পক্ষকে আদালতের শরনাপন্ন হতে পরামর্শ দেয়।
জানা গেছে,প্রভাবশালী রুস্তম খান রাতের আধারে লোকজন নিয়ে ৫০ বছরের অধিক পুরাতন রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তার জমি গাঁয়ের জোরে দখল করার চেষ্টা করে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাপন ও চলাচলে হুমকির মুখে পড়েছে ১০টি পরিবার।
এছাড়াও কুমিরমারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এ বাড়িটিতে রয়েছে একটি কোচিং সেন্টার। মান সম্মত শিক্ষার জন্য প্রত্যান্ত এলাকার ছেলে মেয়েদের এ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করাতে বেশ কিছু অভিভাবকরা এ বাড়িতে ভাড়া থাকেন।প্রভাবশালীর দেয়ালে এখন তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী শাহানাজ বাচ্চু জানান,বাড়ির সামনে চলাচলের রাস্তাটি এজমালি। জমির মাপ সম্পন্ন না করেই এবং শালিসদারদের সিদ্ধান্তের আগেই গায়ের জোরে রুস্তম খান দেয়াল নির্মাণ করে। আমরা এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।
ভুক্তভোগী ইউনুস মিস্ত্রি জানান, আমার বাড়িতে একটি গরুর খামার রয়েছে। গোখাদ্য পরিবহন সহ আমাদের একমাত্র চলার পথ এটি।রাস্তাটি চলমান রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় সমাজসেবক রিপন মাতুব্বর জানান,রাস্তা আটকিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার কাজে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি জড়িত।ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তার অন্ধ আনুগত্য না করায় তাদের ক্ষতিসাধনে উঠেপড়ে লেগেছে। এছাড়া ওই রাস্তাটি সংলগ্ন আমার একটি স’মিলও রয়েছে। রাস্তায় দেয়াল দিলে মিলটি বন্ধ হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আদালতের কোন নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলার জন্য চলাচলের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)