রবিবার, মে ৫, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

প্রগতিশীল স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ছোঁয়ায় চেহারা পাল্টেছে কলারোয়া হাসপাতালের

প্রগতিশীল স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ছোঁয়ায় চেহারা পাল্টেছে কলারোয়া হাসপাতালের। রাতের অন্ধকারে এখন আর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে নেই ভুতুড়ে পরিবেশ। আলোক উজ্জ্বলতায় রাতের আধারে নেই মাদকদেবীদের আনাগোনা। জোরদার হয়েছে নিরাপত্তা। ফুল, ফলজ বৃক্ষরাজির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও হাসপাতাল ভবনের চাকচিক্যতা চোখে পড়ার মতো। যোগ হয়েছে চিকিৎসাসেবার উন্নতি আর নানান সুযোগ সুবিধা। সবমিলিয়ে সার্বিক ইতিবাচক পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন সাধারণ মানুষ দিচ্ছেন বাহবা। রোগীদের শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক উৎফুল্লতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আর এ সবকিছুই কলারোয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর প্রগতিশীল চেতনায় সম্ভব হয়েছে। তাঁর উদ্যোগে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করছেন হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এন্ড এফপিও) পদে ৩১/১২/২০১৯ যোগদান করেন যশোরের সন্তান ডাক্তার জিয়াউর রহমান। ২০২০ সালের নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করে অদ্যাবধি নানান পরিবর্তন আর সিস্টেম বদলিয়ে কলারোয়া হাসপাতালকে আস্থায় ফিরিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবার। তাঁর নিয়মিত দেখভাল ও নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে এসেছে গতিময়তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরে হাসপাতালটির ভগ্নদশায় ভবনের দেয়াল থেকে পলেস্তার ও জীর্ণ রং খসে পড়তো। সেগুলো সংস্কার করা হয়েছে, নতুন রঙে সেজেছে গোটা ভবনগুলো। সৌন্দর্যবর্ধনে ফলজ ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে। বিষ খাওয়া রোগীদের পাকস্থলী ওয়াস করার পৃথক কোনো শেড ছিলো না। সংযুক্ত হয়েছে নতুন শেড। বিগত সময়ে রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতাল চত্বরে নেমে আসতো ভুতুড়ে পরিবেশ, ছিলো মাদকসেবীদের অভয়ারন্য। এখন গোটা হাসপাতাল চত্বরজুড়ে হাইভোল্টেজ লাইটে রাতের অন্ধকার আলো ফিরেছে। সুযোগ নেই মাদকসেবীদের চলাচলে। সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমাউন্ডটি। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে, হ্রাস পেয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য। রোগীদের জন্য টিকিট কাউন্টার ও ফার্মেসি একই স্থানে থাকায় অনেককেই অহেতুক বিড়ম্বনার শিকার হতেন, সেটা পৃথক স্থানান্তর করা হয়েছে। নতুন সংযুক্ত হয়েছে আউটডোরে আগত রোগীদের জন্য হেল্প ডেস্ক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা কেন্দ্র। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানতে স্থাপন করা হয়েছে ওয়াশ বেসিন, করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য আধুনিক স্যাম্পল কালেকশন বুথ। রোগী ও সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নামের তালিকার বিলবোর্ড, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ভর্তি রোগিদের সেবার মান বেড়েছে। বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ এই সকল উন্নয়নে কর্মরতদের সাথে নিয়ে সম্পন্ন করেছেন ইউএইচ এন্ড এফপিও ডাক্তার জিয়া।

তিনি বলেন, ‘উদ্যোগ আর প্রচেষ্টায় অনেক কিছু করা সম্ভব। আমি চেষ্টা করছি। হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ’র সহযোগিতায় এগুলো সম্ভব হচ্ছে।’
‘উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা.মো. হুসাইন শাফায়ত স্যারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন’- যোগ করেন তিনি।
বলেন, ‘সকলের সহযোগীতায় আমরা এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।’

এদিকে, কলারোয়া হাসপাতালের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে নিজের ফেসবুক পেজে স্টাটাস দিয়েছেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. গাজী আশিক বাহার। কলারোয়ার খোরদোর সন্তান ডা. আশিক বাহারের চমৎকার লেখনিতে ফুঁটে উঠছে বিষয়টি।
তার ফেসবুক স্টাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।:

#একজন Dynamic ইউএইচএফপিও স্যার এবং একগুচ্ছ পরিবর্তনের গল্প:

আমি কলারোয়ার সন্তান। সাতক্ষীরার এই সীমান্তবর্তী উপজেলাটিতেই আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তাই অত্র অঞ্চলের মানুষের সুখ দুঃখের অতন্দ্রপ্রহরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার আগে থেকেই যাতায়াত ছিল। স্বপ্ন ছিল এই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক হয়ে ওঠা। অন্তর্যামী হয়তো মানুষের তীব্রভাবে চাওয়া কোনো ইচ্ছাকেই অপূর্ণ রাখেননা! ফলে বিসিএস এর প্রথম কর্মস্থল হিসেবে এই হাসপাতালেই আমার যোগদান।
কিন্তু যোগদানের পরপরই হাসপাতালটির ভগ্নদশা চোখে পড়ে। ভবনের দেয়াল থেকে খসে পড়া পলেস্তারা কিংবা জীর্ণ রং। বিশেষকরে হাসপাতালে বিষ খাওয়া (Poisoning) রোগীদের পাকস্থলী ওয়াস (Stomach wash) দেওয়ার জন্য পৃথক কোনো শেড ছিল না। ফলে হাসপাতালের মেঝেতেই ওয়াশ দেওয়া হতো। যা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বেচারা রোগীর জন্য ছিল নিদারুণ অবমাননার!
অপরদিকে রাত হলেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতাল চত্বরে নেমে আসতো ভুতুড়ে পরিবেশ!! রোগীদের জন্য টিকিট কাউন্টার ও ফার্মেসি একই স্থানে থাকায় অনেককেই অহেতুক বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো। তাছাড়া আউটডোরে আগত রোগীদের জন্য ছিলনা কোনো হেল্প ডেস্ক।
চিকিৎসক, নার্স ও অনান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কোনো সিসি টিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা ছিল না।
আমরা হাসপাতালে যোগদানের দু সপ্তাহ পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (Uh&fpo) হিসাবে যোগদান করেন ডা. জিয়াউর রহমান ( Zia Rahman) স্যার। এরপরই তিনি হাসপাতালটির উন্নয়নে নানামুখী কর্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
প্রথমত, হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। খসে পড়া পলেস্তারা কিংবা ভাঙ্গা দরজা জানালার সংস্কার। নতুন রঙ করার মাধ্যমে হাসপাতালের সৌন্দর্যবর্ধন।
দ্বিতীয়ত, বিষ খাওয়া রোগীদের জন্য মানসম্মত এবং পৃথক ওয়াশ শেড নির্মাণ।
তৃতীয়ত, হাসপাতাল চত্বরে চারটি উন্নতমানের ১০০ ওয়াটের হ্যালোজেন লাইট স্থাপন। ফলে রাতে ক্যাম্পাস এখন সকলের জন্য অধিক নিরাপদ।
চতুর্থত, নতুন টিকিট কাউন্টার স্থাপনের মাধ্যমে ঔষধ কাউন্টার (ফার্মেসি) ও টিকিট কাউন্টার পৃথকীকরণ।
পঞ্চমত, হেল্প ডেস্ক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন।
ষষ্ঠত, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদারকরণ এবং দালালদের দৌরাত্ম্য হ্রাস।
সপ্তমত, করোনা কালে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দুইটি ওয়াশ বেসিন নির্মাণ।
অষ্টমত, করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য আধুনিক স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থপন।
নবমত, রোগীদের সুবিধার জন্য হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের তালিকা বিলবোর্ড আকারে স্থাপনের ব্যবস্থা করা।
দশমত, হাসপাতালের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য অনেকগুলো ফলজ ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ।
একাদশত, হাসপাতালে ডিজিটাল X-ray মেশিন স্থাপন।
হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নে স্যারকে সর্বদা সাহায্য করেছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আমিনুল ইসলাম লাল্টু (Laltu Islam), সিভিল সার্জন জনাব ডা.মো. হুসাইন শাফায়ত স্যার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার জনাব ডা.মো. শফিকুল ইসলাম স্যার, মেডিকেল অফিসারগণ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এহেন অভাবনীয় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক। এই প্রত্যাশায়…..
ডা. গাজী আশিক বাহার
মেডিকেল অফিসার
৩৯ তম বিসিএস, ৩৮ তম বিসিএস(সুপারিশপ্রাপ্ত)
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।

ছবিতে..

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা( Uh&fpo) ডা. জিয়াউর রহমান।

দেয়ালে নতুন রঙের ছোয়া

করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানতে ওয়াশ বেসিন স্থাপন।

আউটডোরে প্রবেশপথ ও হেল্প ডেস্ক।

আউটডোরে রোগীদের বসার স্থান।

আউটডোর…

দেয়ালে নতুন রঙের ছোয়া

বিষ পান রোগীদের ওয়াশ শেড।

সিসি ক্যামেরা, ২৪ ঘন্টার নিরাপত্তা চাদর।

সিসি টিভি ফুটেজ মনিটরিং প্যানেল।

ডিজিটাল X-ray কক্ষ।

রাতের আধারেও আলোকিত হাসপাতাল চত্বর।

দায়িত্বরত চিকিৎসকগণের নামের তালিকা।

আউটডোর রোগিদের টিকিট কাউন্টার

ফার্মেসী

হাসপাতাল ভবনের বর্ধিত অংশ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ার চান্দুড়িয়ায় লাল্টু-ইমরান-খুকুর পক্ষে নির্বাচনী সভা

কলারোয়ার সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নের চান্দুড়িয়া বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরার উন্নয়নে পাঁচ এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির

সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে জেলার পাঁচজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে আগামী বাজেট অধিবেশনের পূর্বেবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় প্রচন্ড গরমে খামারে খামারে মুরগীর মৃত্যু, আতংকিত পোল্ট্রি খামারীরা

প্রচন্ড তাপদাহে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পোল্ট্রি খামারীরা পড়েছেন মহাবিপদে। প্রতিটি পোল্ট্রি খামারেবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার অপরূপ পুরাকীর্তি শ্যামসুন্দর মঠ-মন্দির, সংরক্ষণে নেই কার্যকরী উদ্যোগ
  • কলারোয়ায় তৃষ্ণার্তদের মাঝে শরবত ও পানি বিতরণ করলো ‘মানবতার কল্যাণে আমরা ফাউন্ডেশন’
  • কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
  • হিট ষ্ট্রোকে আতঙ্কে আছেন কলারোয়ার পোল্ট্রি খামারীরা
  • কলারোয়ায় ক্লাইমেট- স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিতে পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও মূল্যায়ন কর্মশালা
  • ৮ মাস বন্ধ কলারোয়ার বেত্রবতী সেতু নির্মাণ কাজ, ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকিতে পারাপার
  • একই দিনে কলারোয়ার দেয়াড়া হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের যোগদান
  • কলারোয়ায় কৃষির জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের কর্মশালা
  • কলারোয়ায় আস্থা প্রকল্পের যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভা
  • ‘কলারোয়ায় শুদ্ধাচার ও ভদ্র রাজনীতির সূচনা করতে চাই’: স্বপন এমপি
  • কলারোয়ায় ইলেকট্রিশিয়ান ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস উদযাপন
  • কলারোয়ায় তৃষ্ণার্ত পথচারীদের পানি ও স্যালাইন দিলেন স্বপন এমপি