রোজার আগেই ডালে বাড়তি দাম, চিন্তিত ক্রেতা
চাল, তেলসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের চড়া দামে হিশেহারা ভোক্তারা। তার ওপর নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডালের বাড়তি দাম। সরকারি হিসেবেই গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বর্তমানে মুগ ডালের দাম বেড়েছে ৩৫ ভাগ। একই চিত্র অন্য ডালের ক্ষেত্রেও। এমন পরিস্থিতে রোজায় বাজার নিয়ে শঙ্কায় ক্রেতারা।
আর কিছুদিন পরই পবিত্র মাহে রমজান। রোজা আসলেই চাহিদা বাড়ে ছোলা, মুগ, মশুরসহ নানা ডালের। কিন্তু এরই মধ্যে ডালের বাজার উর্ধ্বমুখী। সামনে আরও বাড়ার আশঙ্কা।
দেশে মাসে গড়ে ছোলার চাহিদা ১০ হাজার টন। রমজানে এটি বেড়ে হয় ১ লাখ ২০ হাজার টন। এই সুযোগেই দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এক মাস আগেও যা ছিল ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক ক্রেতা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘বেতন যেমনই হোক আমরা তো বাজারে এসে ওভাবে কেনাকাটা করতে পারছি না। যাদের আয় বেশি তারা হয়ত দিতে পারছে কিন্তু যাদের আয় কম তারা তো দিতে পারছে না। এটা তো একটা সমস্যাই।’
মুগ ডালের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, এক বছরে ৩৫ শতাংশ। মানভেদে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। মশুর ডালের কেজিতে গুণতে হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে দাম আরও বেশি। চড়া দামের জন্য নানা অজুহাত ব্যবসায়ীদের।
এক বিক্রেতা অজুহাত দিয়ে বলেন, ‘ভ্যাট–ট্যাক্স, বিভিন্ন ধরণের ঝামেলা এগুলো দিয়েই আস্তে আস্তে রেট বেড়ে যায়। এখন একজন মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আসতেই এক হাজার টাকা খরচ হয়। মালামালের ক্ষেত্রে কি হতে পারে, এটা তো আপনাদের জানার কথা।’
বাজারে কার্যকর তদারকির অভাবেই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে, দাবি ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ সংগঠন- ক্যাবের। শুধু রোজা নয় সারা বছরই সুষ্ঠ বাজার ব্যবস্থাপনার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
সংগঠনটির সহ সভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ‘একটা সমন্বিত বাজার তদারকি দরকার যেখানে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের লোকজন একত্রিত থাকবে। আমাদের প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআর আরো যারা আছেন তাদের সকল পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মনিটরিংটা হওয়া দরকার।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, মশুর, মুগ, খেসারি, ছোলা মিলিয়ে দেশে বছরে ডালের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ টন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)