শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

গোপন কক্ষের বিষয়ে মুখ খুললেন বিআরআইসিএমের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক মালা খান

বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খানের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। তিনি ওই উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা মহাব্বত (ঘাইনঞ্জানি) গ্রামের আবুল ফজল খানের মেয়ে। ঢাকায় তার বাবার চাকরির সুবাদে তিনি সেখানেই লেখাপড়া করেছেন। তার চাচা গরু ব্যবসায়ী তোফাজ্জল খানের মাধ্যমে এলাকায় জমি ক্রয় ও গরু-ছাগল বেচাকেনা করত। এমনকি এলাকায় বেশ কয়েকজনকে সরকারি-বেসরকারিভাবে চাকরি দিয়েছেন মালা খান। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়ার মালা খানের এমন খবর দেখে অবাক স্থানীয়রা। সরেজমিনে অলোয়ার নিকলা মহাব্বত এলাকায় গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বিআরআইসিএমর মহাপরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খান চাকরির পাশাপাশি ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির গরু ও ছাগলের খামার রয়েছে। ওই খামার পরিচালনা করত তার আপন ছোট ভাই। এছাড়া বসিলাতেই তার জায়গা ও বাসা রয়েছে। টাঙ্গাইলসহ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাচা তোফাজ্জল খানের মাধ্যমে গরু ও ছাগল কিনে মোটাতাজা করা হত খামারে। এরপর চাচা ও ঢাকার বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে সেগুলো খামারসহ টাঙ্গাইলে এনেও বিক্রি করা হত।

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর বসিলার ওই খামার থেকে অনেকেই গরু ছাগল নিয়ে গেছেন। এছাড়া তার কয়েক মাস আগেও তার চাচা তোফাজ্জল এক ট্রাক গরু টাঙ্গাইলে নিয়ে বিক্রি করেছেন। এছাড়া তার ভাই মন্তাজ খানের কেরানীগঞ্জও গুরুর খামার ছিল। তার ভাই মন্তাজ গত বছর খানেক আগে মারা গেছেন। এছাড়া তার চাচার মাধ্যমে এলাকায় ৫৯ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি। মালা খান বিআরআইসিএমতে এলাকার বেশ কয়েকজনকে চাকরি দিয়েছেন। তারা এখনো সেখানে বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন।

মালা খানের তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে কানাডায় পড়াশোনা করছেন। তার স্বামীও মোস্তফা আনোয়ার একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে তিনি দুই মেয়ের সঙ্গেই কানাডায় বসবাস করছেন। তবে গুঞ্জন রয়েছে স্বামী ও মেয়েদের জন্য কানাডায় বাড়ি কিনেছেন তিনি।

মালা খানের বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সনদ জালের অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ‘জালিয়াতির মালা গেঁথেছেন মালা খান’ শিরোনামে ওই সংবাদে ‘জাল সনদ ও নিয়োগ পরীক্ষায় (লিখিত) সর্বনিম্ন নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হয়েও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে বলা হয়।’ এতে আরও বলা হয় জালিয়াতির মাধ্যমে মালা খান অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। আর ওই পিএইচডি কোর্সের কো-সুপারভাইজার ছিলেন তার স্বামী মোস্তফা আনোয়ার। তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন, সেই প্রতিষ্ঠানের নেই কোনো অনুমোদন। ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি টাকার বিনিময়ে দিয়েছে পিএইচডির সনদ।

নিকলা এলাকার অনেকেই জানান, মালা খান এলাকার অনেককে চাকরি দিয়েছেন যারা বেকার ছিল। তবে টাকার বিনিময়ে দিয়েছে কিনা সেটা কেউ বলতে পারেননি। এছাড়া এলাকায় তার চাচা তোফাজ্জলকে টাকা পয়সা দিয়ে সহায়তা করতো। তার চাচা ভূঞাপুর শিয়ালকোল হাটের ইজারাদার। চাচাই এলাকায় তাকে জায়গা জমি কিনে দিয়েছেন।

বিআরআইসিএমে চাকরি পাওয়া অলোয়া ইউনিয়নের ঘাইনঞ্জানি গ্রামের সোহান বলেন, কেরানীগঞ্জে জায়গা লিজ নিয়ে তার ভাইয়ের গরু ও ছাগলের খামার ছিল বলে জেনেছি। তবে বসিলাতে ছিল কিনা জানিনা। ৫ আগস্টের পরই অফিসের লোকজন যারা বিরোধীতা করেছেন তাদের কাছেই চাবি ছিল অফিসের। যেখানে অবৈধ কোনো কার্যকলাপ ছিল না ম্যাডামের। বিআরআইসিএমের কার্যালয়ে গরু ও ছাগল নিয়ে আসা হত বিক্রির জন্য। ঝামেলার কারণে খামার ছেড়ে দিয়েছিল ফলে গরু ও ছাগলগুলো অফিসে আনা হয়েছিল। সেখান থেকে আমি দুইটি গরু ও দুইটি রাম ছাগল নিয়েছি। ঢাকায় তার কোনো সম্পত্তি নেই ম্যাডাম পরিবার ও তার বাবা, ভাই ভাইয়ের।

চাচা তোফাজ্জল খান বলেন, মালা খানের ঘটনাটি দেখে বিস্মিত হয়েছি। আমার ভাতিজি সৎ একজন কর্মকর্তা একজন বৈজ্ঞানিক। অফিসের লোকজনরা তার বিরুদ্ধে লেগেছে। তার অফিসের আয়না ঘর থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলছেন। তার ভাইয়ের খামার ছিল বসিলাতে। আন্দোলনের আগে এক ট্রাক গরু এনে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেছি। এলাকায় কিছু জায়গা কিনে দিয়েছিলাম কিন্তু পরবর্তিতে ওই জমি আমি কিনে নিয়েছি।

বিআরআইসিএম’র মহাপরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খান জানান, ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। গত ৫ আগস্টের পর অফিসের যাইনি কয়েকদিন। এরমধ্যে তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, মিথ্যা ঘটনা তৈরি করেছে। এছাড়া তারা মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ দিয়েছে আমার বিরুদ্ধে। মিথ্যা ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আইনগত কোনো কিছুই করতে পারব না। সরকার পতনের পর কয়েকদিন অফিস করেছি। আগে থেকেই ওই কক্ষের বিষয়ে জানত অফিসের লোকজন। কিন্তু এখন সেটি গোপন কক্ষ নাম দিয়ে প্রচার করছে। মূলত আমাকে অপদস্থ করার জন্যই এমন নাটক সাজিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাইয়ের গরু ছাগলের খামার ছিল। আমার তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে কানাডায় থাকে। আমার স্বামীও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিল। তিনিও কানাডায় থাকেন।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর

একই রকম সংবাদ সমূহ

সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ হবে প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টার

স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও সরকাররের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরিতে উপদেষ্টা পরিষদের সব সদস্যবিস্তারিত পড়ুন

সামাজিক ন্যায় বিচার ও গণতন্ত্র নিশ্চিতে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই : উপদেষ্টা নাহিদ

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের যে প্রতিশ্রুতিবিস্তারিত পড়ুন

হা*সিনার দেশ ছাড়ার দৃশ্য দেখে সেদিন যা বলেছিলেন খালেদা জিয়া

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার মধ্যবিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাবিতে চোর সন্দেহে যুবকেকে নির্যাতন করে হত্যা, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
  • ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে থানায় সোপর্দ
  • রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী
  • মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে, খরচ সাড়ে ২০ লাখ
  • দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলো আ.লীগ : তারেক রহমান
  • কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৯০০ বন্দি এখনো পলাতক: আইজি প্রিজন্স
  • আ.লীগ আমলের সব চুক্তির মূল কাগজ খতিয়ে দেখা হবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
  • কোন স্ট্যাটাসে দিল্লিতে শে*খ হা*সিনা, জানে না ঢাকা
  • বাংলাদেশকে আরো ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
  • বাংলাদেশকে ৫ বিলিয়ন ডলার দেবে ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক
  • বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি: পরিবেশ উপদেষ্টা