রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

উগান্ডায় বন্দি ভারতীয় ধনকুবেরের কন্যা, কে এই বসুন্ধরা

অসওয়াল পরিবারের কর্মচারী মুকেশ মেনারিয়াকে অপহরণ এবং খুনের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বসুন্ধরাকে আটক করে উগান্ডার পুলিশ। ব্যক্তিগত বিমানসহ সারা বিশ্বে অসওয়াল পরিবারের যত বাড়ি রয়েছে, সেগুলো দায়িত্ব ছিল মুকেশের ওপর।

তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় বন্দি সুইজারল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনকুবের পঙ্কজ অসওয়ালের কন্যা বসুন্ধরা অসওয়াল।

অসওয়াল পরিবারের কর্মচারী মুকেশ মেনারিয়াকে অপহরণ এবং খুনের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় তাকে আটক করে উগান্ডার পুলিশ। ব্যক্তিগত বিমানসহ সারা বিশ্বে অসওয়াল পরিবারের যত বাড়ি রয়েছে, সেগুলোর দায়িত্ব ছিল মুকেশের ওপর।

রাজস্থান থেকে উঠে আসা মুকেশ ২০১৭ সাল থেকে অসওয়াল পরিবারের সঙ্গে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দিয়েছিল।

মুকেশ নিখোঁজ হওয়ার পরেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে বসুন্ধরার দিকে। অভিযোগ, মুকেশকে নাকি প্রথমে অপহরণ এবং পরে খুন করানো হয়েছে। যদিও অসওয়াল পরিবারের দাবি, মুকেশ জীবিত রয়েছেন এবং বর্তমানে তানজানিয়ায় রয়েছেন।

বসুন্ধরার জন্ম ১৯৯৯ সালে। সুইজারল্যান্ডের বিত্তশালী ব্যবসায়ী পঙ্কজ এবং রাধিকা অসওয়ালের কন্যা বসুন্ধরা ‘অসওয়াল গ্রুপ গ্লোবাল’ গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

বসুন্ধরা সুইজারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ফিন্যান্স’ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অ্যাক্সিস মিনারেলসের নির্বাহী পরিচালক বসুন্ধরা নিজেদের গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, আর্থিক তদারকি এবং সরকারি পক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার দায়িত্বও সামলান।

বসুন্ধরা একটি কার্বন ডাই-অক্সাইড ক্যাপচারিং প্ল্যান্ট তৈরি করিয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থায় পুনর্ব্যবহত জল সরবরাহের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন।

বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসওয়াল পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় দুইলাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের একটি বিশ্ববিখ্যাত এস্টেট ‘ভিলা হারি’ প্রায় ১,৬৪৯ কোটি টাকায় কিনেছেন তারা।

সেই ধনকুবের পরিবারের কন্যাই বন্দি পূর্ব আফ্রিকার দেশের জেলে। গত তিন বছর ধরে উগান্ডায় তার পরিবারের কারখানার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বসুন্ধরা। গত ১ অক্টোবর তাদেরই পরিবারের একটি মদের কারখানা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

অসওয়াল পরিবারের অভিযোগ, বসুন্ধরাকে আটক করতে এসেছিলেন ‘অস্ত্রধারী ২০ জন লোক’। ওই সশস্ত্র ব্যক্তিরা নিজেদের উগান্ডার পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে আটক করেন তাকে।

উগান্ডার পুলিশ বসুন্ধরাকে ফৌজদারি এবং বাণিজ্যিক অপরাধসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে আটক করেছে। বসুন্ধরার পরিবারের অভিযোগ, ‘অবৈধ ভাবে’ আটক করা হয়েছে তাকে। তার আটককে ‘কর্পোরেট এবং রাজনৈতিক চক্রান্ত’ বলেও দাবি করেছে অসওয়াল পরিবার।

অসওয়াল পরিবার আরও দাবি করেছেন, বসুন্ধরার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে সে সব ‘মিথ্যা’। তাদের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিরা উগান্ডা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়েই নাকি এমনটা করেছেন।

অসওয়ালদের আরও দাবি, যে মুকেশকে খুনের দায়ে বসুন্ধরাকে আটক করা হয়েছে তিনি জীবিত রয়েছেন এবং বর্তমানে তানজানিয়ায় বসবাস করছেন। তা সত্ত্বেও উগান্ডা কর্তৃপক্ষ বসুন্ধরাকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছে।

উগান্ডা কর্তৃপক্ষের দাবি, বসুন্ধরাকে একজন নিখোঁজ ব্যক্তির মামলায় আটক করা হয়েছে। তারপর থেকে তিন সপ্তাহেরও বেশি জেলবন্দি তিনি।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসওয়ালদের সাবেক কর্মচারী মুকেশকে উগান্ডায় অপহরণ করার পর তানজানিয়ায় পাচার করা হয়। উগান্ডার সীমান্তের কাছে শাকা থানায় নাকি গ্রেফতারও করা হয় মুকেশকে।

অন্যদিকে ধনকুবের পরিবারের অভিযোগ, বসুন্ধরাকে আটকের পরেই পুলিশ তার ফোন কেড়ে নেয় এবং তাকে তার আইনজীবী এবং পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।

একই সঙ্গে জেলের মধ্যে তাকে খারাপ খাবার দেওয়া হচ্ছে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অসওয়ালদের অভিযোগ।

অভিযোগ, জেলের মধ্যে বসুন্ধরাকে নিরামিষ খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে না এবং আগাম নোটিস ছাড়াই এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। বসুন্ধরার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে সম্প্রতি একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, বসুন্ধরা জেলের যে কুঠুরিতে বন্দি, তার মেঝেয় রক্ত এবং মল পড়ে রয়েছে।

সেই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, বসুন্ধরাকে ৯০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জুতো ভর্তি রুমে বসতে বাধ্য করা হয়েছিল এবং প্রায় পাঁচ দিন ধরে তাকে স্নান করতে বা পোশাক পরিবর্তন করতে দেওয়া হয়নি।

কন্যাকে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে ইতিমধ্যেই উঠেপড়ে লেগেছেন পঙ্কজ এবং রাধিকা। ‘ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন (ডব্লিউজিএডি)’ এর কাছে একটি আবেদনে, পঙ্কজ তার মেয়েকে আটক করার বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই দফতরে পঙ্কজের পরিবারের অভিযোগ, কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছিল বসুন্ধরাকে।

উল্লেখ্য, বসুন্ধরার পাশাপাশি অসওয়ালদের কোম্পানির অ্যাটর্নি রিটা এনগাবিরকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ডিসেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত বৈঠক, খুলতে পারে ভিসার জট

৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এমনবিস্তারিত পড়ুন

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফর করবে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিসবিস্তারিত পড়ুন

আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনার নির্দেশ হাইকোর্টের

আদানি পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বিস্তারিত পড়ুন

  • ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে একসাথে কাজ করাতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
  • বাংলাদেশে মমতা ব্যানার্জীর সরকার চলছে, দাবি ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর
  • বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে কাজ করবে ভারতীয় মার্কিনিরা!
  • কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের অংশ নিয়ে ধোঁয়াশা
  • আইপিএলের নিলামে ১২ বাংলাদেশি, ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ
  • বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমুদ্র যোগাযোগ চালু, উদ্বিগ্ন ভারত
  • বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করলো নেপাল
  • সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক, এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
  • ভারতীয় ভিসা নিয়ে যা জানালো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
  • ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রতিদিন অপপ্রচার করছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশিদের বের করে দেওয়ার হুমকি দিলেন বিজেপি সভাপতি
  • ‘ক্রাইম পেট্রোল’ অভিনেতার রহস্যজনক মৃ*ত্যু