বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম আমদানি
বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে ৭ টাকা দরের আরও দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ছয় চালানে ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়।
আমদানি করা এসব ডিম এখন ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে ছাড়পত্র হবে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারে দাম কমাতে ১৭ অক্টোবর এক আদেশে শুল্ক কমিয়ে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ষষ্ঠ চালানের দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আগামী মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরও ৩৮ লাখ ডিম আমদানির কথা আছে। ঘাটতি পূরণে সরকার আরও সাড়ে চার কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে আগে প্রতি পিস ডিমে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্ককর দিতে হতো। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতি পিস ডিমে মাত্র ৭৮ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানি করা নতুন চালানের ডিম বাজারে অন্যান্য খরচসহ ৯ টাকার মধ্যে বিক্রি করার কথা।
তবে দেশের বাজারের চিত্র ভিন্ন। দাম করার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ডিম বাজারে পর্যাপ্ত থাকলেও কোনো প্রভাব পড়েনি যশোরে। ডিমের দাম কমছে না। ১১ টাকা ৮৬ পয়সা খুচরা বাজারে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বুধবার বেনাপোলসহ আশপাশের বাজারে বাদামি রঙের ডিম ১৪ টাকা, দেশি ডিম ২২ টাকা করে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। সাদা ডিমের কোনো সরবরাহ নেই বলে জানান ডিম বিক্রিতেরা।
তারা বলেন, আমরা যেভাবে ডিম কিনছি সেভাবেই বিক্রি করছি। ডিম কিনছি ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সেখানে ১৪ টাকায় বিক্রি করছি।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ভারত থেকে প্রতি পিস ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা দরে। প্রতি ডিমের আমদানি শুল্ক ৭৮ পয়সা। বন্দরের ভাড়া, পরিবহন, ব্যাংক এলসি, এক্সপোর্টারের খরচ মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিচ্ছি। ২১ অক্টোবর থেকে ৫ শতাংশ শুল্কের ডিম খালাস শুরু হয়। আজও হচ্ছে। এখন দাম আগের চেয়ে কমবে। দুই মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মাসের ১০ সেপ্টেম্বর এর সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। এরমধ্যে মাত্র দুটি চালানে প্রায় তিন লাখ ডিম আমদানির সুযোগ হয়। দেশের পরিস্থিতির কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই মাসের সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। যেটি নভেম্বরে শেষ হবে।
ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালান খালাসের জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) কাস্টমস হাউজে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ। আজই ডিম খালাস করে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি জিয়া উদ্দিন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে ছয় চালানে মুরগির ১২ লাখ ২১ হাজার ১৫০ পিস ডিম বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। ঢাকার ‘হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো আমদানি করে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, কম শুল্কে ২১ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল। আজ আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম খালাস দেওয়া হচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)