কলারোয়ায় টুংটাং আওয়াজে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পের কারিগরা
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আযহা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই কুরবানি ঈদ। আগামী ১লা আগষ্ট শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলমান ঈদুল আযহা।
এই ঈদের দিনের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। তাই ঈদ-উল আযহা সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে টুংটাং আওয়াজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কলারোয়া উপজেলার ফজলেপুর, বসন্তপুরে ও দেয়াড়া গ্রামের কামার শিল্পের কারিগররা।
কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী। তবে এসব তৈরিতে এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ। তবে এ বছর কাঠের কয়লার দাম বেশি হওয়ায় এসব দ্রব্য মূল্যের দাম কিছুটা বেশি। তাই এ মুহুর্তে ঈদের আর বেশিদিন বাকী না থাকায় জমে উঠেছে দা, কাচি, হাসুয়া, কোপা, ছুরি চাপাতির বেচাকেনা। ফলে এই মুহুর্ত্বে কামার শিল্পের কারিগরদের দম ফুরুবার সময় নেই।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আযহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পশু জবাই করে থাকে। এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়। ঈদের বাকি মাত্র কয়টা দিন। তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে কামার পল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে।
দেয়াড়া বাজারের প্রভাত কর্মকার জানান, আমরা স্পিং ও লোহা ব্যবহার করে দা, বটি ও ছুরি তৈরি করছি। তবে স্পিং লোহা দিয়ে তৈরি জিনিসের দাম বেশি। লোহা দিয়ে তৈরি জিনিসের দাম তুলনা মুলকভাবে কম। দা এর দাম ৫০০টাকা, ছুরির দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা এবং বটি ২০০ টাকা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)