আশাশুনিতে বসত ভিটার উপর দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, তিন দিনের শো-কজ


সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া গ্রামের ১১টি ঋষি পরিবারকে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বা পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা না করে তাদের বসতভিটার উপর দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণের চেষ্টার ঘটনায় নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে বিবাদীদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
মামলার বাদি সুকুমার দাসসহ সাতজনের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানী শেষে মঙ্গলবার আশাশুনি সহকারি জজ আদালতের বিচারক সাবরিনা চৌধুরী এ আদেশ দেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহিী প্রকৌশলী, আশাশুনির সেকশান অফিসার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার মহাখালির মেসার্স আহাদ বিল্ডার্স এর স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ২০ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত ও ২২ আগষ্ট জলোচ্ছ্বাসে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের কুড়িকাহুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
এ সময় ওই এলাকার ১১টি ঋষি পরিবারের চাষের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই সব পরিবারের বসতভিটার উপর দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে গাছপালা কেটে নদীর বালি ভরাট করা হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আপত্তি করলেও তাদের কথা রাখেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ওইসব পরিবারের কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বা পূর্ণবাসনের উদ্যোগ না নিয়েই এ বাঁধ নির্মাণ চালানোর ফলে তাদের রাস্তার বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। একপর্যায়ে ওই সব পরিবারের পক্ষ থেকে দু’ বার মানববন্ধন করা করা হয়।
জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় আশাশুনি সেকশান অফিস ঘেরাও এবং মামলা করার। সে অনুযায়ি ১৪ মার্চ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী এড. তপন কুমার কুন্ডু বিবাদীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাণোর আদেশ এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
