সাতক্ষীরায় ভাইয়ের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরায় ভাইয়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে সহযোগিতা না করায় পল্লীমঙ্গল স্কুলের শিক্ষক আব্দুল করিম কর্তৃক চাকুরীজীবী বোন এবং ক্যাডেট কলেজে পডুয়াা ভাগ্নের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যেচারের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের মৃত খন্দকার আবুল খায়েরের ছেলে খন্দকার রফিকুল আলম এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা সাত ভাই বোন। আমি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার এবং বর্তমানের মারাত্মক অসুস্থ। আমাদের বোন আরুফা সুলতানা সাতক্ষীরা সদর উপসহকারী কৃষি অফিসার হিসেবে কর্মরত আছে। এছাড়া খন্দকার হারুন উর রশিদ দিনমজুরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রায় ১৫/২০ বছর আগে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বন্টন হয়। সেই অনুযায়ী আমরা স্ব স্ব জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছিলাম। কিন্তু আমার বাবা মা মারা যাওয়ার পর আমার ভাই সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুলের শিক্ষক খন্দকার আব্দুল করিম কৌশলে আমার ভাগের সম্পত্তি হতে কিছু সম্পত্তি দাবি শুরু করে। কিন্তু আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে করিম আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এ ব্যাপারে আব্দুল করিম পৌরসভা ও র্যাব ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থানে বিচার প্রার্থনা করে। কিন্তু রায় তার পক্ষে না যাওয়ায় সে বিচার মানে না। ভাই হারুন ও বোন আরুফা সুলতানা তার কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে করিম তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং ষড়যন্ত্র শুরু করে। এসময় সে বোন আরুফা সুলতানার চাকরি নষ্টের হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বোন আরুফা সুলতানা অফিস থেকে ফেরার পথে বাড়ির গেটের সামনেই ওৎ পেতে থাকা মাস্টার আব্দুল করিম বোন ও ছোট ভাগ্নের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এতে তারা মা ও ছেলে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। যা স্থানীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কিন্তু সুচতুর করিম মাস্টার নিজের অপরাধ ঢাকতে উল্টো বোনের বড় ছেলে আরিফ হোসেন সাদ এবং বোনের স্বামীর ইমদাদ হোসেনকে জড়িয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার দিতে থাকে। অথচ ঘটনার সময় বোনের ছেলে আরিফ ও স্বামী এমদাদ বাড়িতেই ছিলেন না।
খন্দকার রফিকুল আলম আরও বলেন, আমার বোনের ছেলে আরিফ হোসেন সাদ বরিশাল ক্যাডেট কলেজের একজন মেধাবী ছাত্র। মাস্টার করিম বোন ও আমাদের শায়েস্তা করতে ক্যাডেট আরিফের বিরুদ্ধে মিথ্যে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি আমার বোনের চাকরি নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যে অভিযোগও দিয়েছে। করিম তার কযয়কজন উৎশৃংখল ছাত্রকে দিয়ে আমার বাড়ি ও মিলঘর ভাংচুর করে এবং আমাকেও বিভিন্ন সময় মারপিট করে। সে প্রায় ওইসব ছাত্রদের দোহাই দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। করিম শিক্ষক নামের কলঙ্ক। স্বার্থ হাসিলের জন্য সে নিজেকে একজন হাজী হিসেবে উপস্থাপন করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে সে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে ভাইয়ের সম্পত্তি দখলের করে যাচ্ছেন। সে আপন ভাই বোনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, এমনকি নিজের মেধাবী ভাগ্নের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নষ্টের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি মাস্টার আব্দুল করিমের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)