কেশবপুরে পানির নিচে মাদ্রাসার মাঠ


যশোরের কেশবপুরের বাউশলা হাফিযিয়া এতীমখানা মাদ্রাসার মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। বিগ্নিত হচ্ছে লেখাপড়া। ছাত্র-ছাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাতায়াতের জন্য ছাত্ররা স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরী করছে বাঁশের সাঁকো।
২০১৬ সালে ১৯ শতক জমির ওপর মাদ্রাসাটি স্থাপিত। শিক্ষক সংখ্যা চার জন। উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা (মমিনগঞ্জ) মাদ্রাসার মোড়ে বাউশলা হাফিযিয়া এতীমখানা মাদ্রাসাটির অবস্থান।
শিক্ষাথর্ীরা জানান, এঅবস্থায় মাদ্রাসায় থাকতে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেকদিন পানি আটকে থাকার ফলে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। পড়ালেখায় ক্ষতি হচ্ছে। মাদ্রাসার মুহতামীম মুহাদ্দিস মোঃ জালালুদ্দীন জানান, এখানে কুয়াকাটা, নীলডুমুর, খুলনা, নড়াইল, তালা, কলারোয়াসহ এই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর নিয়ে হেফয খানা, এতিমখানা, নাজেরা ও নূরাণী বিভাগে রাত-দিন শিফট আকারে লেখাপড়া করে এবং এখানেই তারা থাকে।
মাদ্রাসাটি বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুদানে চলে আসছে। এ পর্যন্ত গত অর্থবছরে যশোর জেলা পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেনের মাধ্যমে যশোর জেলা পরিষদ থেকে ঘর নির্মানের জন্য একলক্ষ টাকার অনুদান পেয়েছেন বলে তিনি জানান।
অনুদানের অর্থ ও বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুদানে ৯৯ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট আড় আন্ডারগ্রাউন্ডসহ ৫ তলা ফাউন্ডেশনের একটি বিল্ডিং-এর কাজ আরম্ভ হয়েছে।
সম্প্রতি বর্ষার পানিতে মাদ্রাসার মাঠ তলিয়ে গেছে। এক ঘর থেকে আর এক ঘর যাতায়াতের জন্য ছাত্ররা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁশের সাঁকো তৈরী করছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন মহলে দৃষ্টি আকর্শন করেছেন।
এক ঘর খেকে আর এক ঘরে যাতায়াতের জন্য ছাত্ররা স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরী করছে বাঁশের সাঁকো।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
