আশাশুনির বুধহাটা ইউপি নির্বাচন: আ.লীগ-২, বিএনপি-১, স্বতন্ত্র-১ প্রার্থী মাঠে
আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা চলছে বেশ জোরে শোরে। ইতি মধ্যেই দোয়া চেয়ে বিলবোর্ড টানানো, মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠান ও গণসংযোগ করার মাধ্যমে অধিকাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থীই তাদের প্রার্থীতার জানান দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর দেখা মিলেছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের-২, বিএনপি-১ ও ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন চায়ের স্টল, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় আর রাজনীতি সচেতন মানুষের মুখে মুখেও চলছে আগামী ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা। প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, আগামী ইউপি নির্বাচনে বুধহাটা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বর্তমান নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আ.ব.ম মোছাদ্দেক, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুবুল হক ডাবলু, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমডি ফিরোজ আহমেদ। বর্তমানে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আ.ব.ম মোছাদ্দেক জানান-আমি বিগত ৫ বছর সুনামের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে ইউনিয়নের সাধারন মানুষের কল্যানে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও করোনা কালীন সময় মানুষের পাশে থেকে সরকারি বেসরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। আমার ইউনিয়নের ৭ কিঃ মিঃ কার্পেটিং রাস্তা, ১০ কিঃ মিঃ ইটের সোলিং, ৪ কিঃ মিঃ কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করেছি। বুধহাটা বাজারকে আধুনিকায়ন ও আইনশৃংখলা রক্ষার্থে সি,সি ক্যামেরা স্থাপন, ২টি খেলার মাঠ, মধ্যম চাপড়া সরকারি কবরস্থান, ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, সরকারি পুকুর খনন, গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ করেছি। মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছি। নিজ অর্থায়নে গ্রাম পুলিশ ও শিক্ষা প্রসারের জন্য মেয়েদের জন্য বাই সাইকেল প্রদান করেছি। আমার ইউনিয়নকে ১০০% বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। আমি পুনঃরায় নির্বাচিত হতে পারলে ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজগুলি সম্পন্ন করব। বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান-আমি ১৯ বছর ৪ মাস বুধহাটা ইউনিয়নের মানুষের খেদমতের দায়িত্বে ছিলাম। তৎকালীন সময়ে নদী ভাঙনের কবল থেকে বুধহাটাবাসীকে রক্ষা করি। নদী ভাঙনে বুধহাটায় এক ফোটা পানি উঠতে দেই নাই। বুধহাটা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে ভোট করতে যাচ্ছি। আমার আমলে এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই যেখানে আমার ছোয়া ছিল না। খাল ও পুকুর খনন করে এলাকার মানুষের সুপেয় পানি ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করেছি। চেয়ারম্যান থাকাকালীন ও পরবর্তীতে সমাজসেবায় আমি একাধিক এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে স্বল্প মূলে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করব, জমিজমা সংক্রান্ত ঘুষ দুর্নীতি মুক্ত করব ও যুব সমাজকে সাবলম্বী করতে কারিগরী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। স্বতন্ত্র প্রার্থী এম.ডি ফিরোজ আহমেদ জানান-এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। করোনাকালীন সময়ে আমার নিজ তহবিল থেকে ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মানুষের মাঝে ত্রাণ সহ নগদ অর্থ প্রদান করি। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ এলাকার মানুষের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। মসজিদ, মাদরাসা ও পূজা মন্ডপে নগদ অর্থ প্রদান করে যাচ্ছি। যুব সমাজকে মাদকের কবল থেকে ফিরিয়ে আনতে যুব সমাজের আইকন হিসাবে বড় বড় খেলায় সহযোগিতা করে আসছি। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে জলাবদ্ধতা নিরসন, অবহেলিত রাস্তা-ঘাট, খেলার মাঠ এবং মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করব। কোন ভায়া ধরে দিয়ে আমার কাছে আসা লাগবে না সকলের জন্য আমার দ্বার উন্মুক্ত। আমি ইউনিয়নবাসীর নিকট নেতা হতে চাই না। আমি এলাকার একজন সেবক হিসাবে থাকব। ২০১৯ সালে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ভোট করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হই। আমার নিজ ইউনিয়নে আমি রেকর্ড সংখ্যক ভোট পাই। মেম্বরদের মতামতের ভিত্তিতে সমবন্টন করব। ইউনিয়নবাসীর নিকট আমার দাবী একটি বারের জন্য আমাকে নির্বাচিত করলে আমি ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন উপহার দিব এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করব। এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আশাশুনি মহিলা কলেজের প্রভাষক মাহাবুবুল হক ডাবলুর নাম শোনা যাচ্ছে। সবমিলে ক্লিন ইমেজের মানুষকে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় ইউনিয়নবাসী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)