কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারিধার ময়লা আবর্জনায় স্তুপ
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানাপ্রাচীরের চারিধারে দীর্ঘদিনের পানিতে জমে থাকা ময়লা আবর্জনায় ভনভন করে মাছি এছাড়াও নিয়মিত পরিষ্কার পরিছন্নতা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আঙ্গিনায় মিলছে পরিত্যক্ত মাদকদ্রব্যের চিহ্ন৷
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারিধারে রয়েছে হলুদ রং এর পুরাতন নড়বড়ে প্রাচীরের যার চারিদিকে ময়লা আবর্জনায় জমে থাকা পানিতে মশা মাছি তো আছেই তার সাথে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে৷ হাসপাতালের সামনে পুকুর পাড় এলাকায় পরিত্যক্ত ফেনসিডিলের বোতল সহ ময়লা আবর্জনায় ঘেরা৷ কিন্তু উপজেলার তিন লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবা চলছে এখানে৷ অন্যদিকে হাসপাতালের সামনের ফটকের প্রাচীরের সামনেই গড়ে উঠা ফার্মেসি ক্লিনিকের পরিত্যক্ত ইনজেকশন অপারেশন কাজে ব্যবহৃত গজ কাপড়সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলা রয়েছে৷
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান জানান, হাসপাতালে দীর্ঘদিনের দুর্দশা চারিধারে পানি জমে থাকা জায়গাটি অনেক নিচু পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে মাটি ভরাটের জন্য অনেক বার বলেও এর কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না যে কারণে পানিতে তলিয়ে থাকে হাসপাতালে চারিধার যেখানে ময়লা আবর্জনা পানির উপরে ভাসে৷ পানিতে জমা ময়লা আবর্জনা থেকে বিষাক্ত জীবাণু এমনকি মশা মাছির জন্মাতে পারে৷
পৌরসভার তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করার ফলেই বেহাল দশা তবে মাটি ভরাটের বরাদ্দ পেলে হয়তো এই দুর্দশা মুক্তি হওয়া সম্ভবত পৌরসভার মেয়র ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার সহযোগিতা চেয়েছেন৷
এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আঙ্গিনায় ইতিমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে তবে পৌরসভার নির্দিষ্ট যে স্থানে ময়লা ফেলার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানে না ফেলে চারিধারে ফেলেন যেটি পরিষ্কার করতে পরিচ্ছন্নকর্মীর পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য তবে হাসপাতালের নিচু জায়গা ভরাটের জন্য প্রজেক্ট বরাদ্দ পেলে সুব্যবস্থা করা হবে৷
পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার চাকলা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা গাজী আজহারুল গাজী বলেন, হাসপাতালের চারিপাশ ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে তা থেকে মানুষের রোগ আরো বাড়বে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে দুর্গন্ধ পড়ে না হাসপাতালের নির্দিষ্ট জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেও চারিপাশে যে বেহাল দশা তা সাধারণ মানুষকে আরও অসুস্থ করে ফেলবে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিয়মিত নজরদারি না থাকায় চারিপাশে বাগানা গানে ভরে গেছে এবং যে নির্দিষ্ট কোন স্থানে ময়লা না ফেলে পার্শ্ববর্তী ফার্মেসি গুলোও হাসপাতালের চারিধারে ময়লা আবর্জনা ফেলছে৷ প্রশাসন যদি বিষয়টি আমলে না নেয় তবে হাসপাতাল একসময় ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হবে৷
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে যাতে হাসপাতালে আঙ্গিনা চত্তর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সুন্দর মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হাসপাতালের সামনে যারা ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)