ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে নিজ দেশে ফেরত আসলো ২৩


বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে পাচারের শিকার শিশুসহ ২৩ জন বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরী ও মহিলা ভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফিরেছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকালে কোলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দুতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) এবং হেড অব চ্যাস্নেরী শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি ও ভারতের পেট্রাপোল চেকপোষ্টের ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসাদের মধ্যে ১৪ জন মেয়ে ও ৯ জন ছেলে রয়েছে। এদের সকলের বয়স ৩ থেকে ৩০ বছর এর মধ্যে। এদের বাড়ি নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা, শরিয়তপুর, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, লালমনিরহাট, নোয়াখালী, মোড়লগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
ফেরত আসা জুলি খাতুন বলেন, অভাব অনটনের সংসারে সে ভালো কাজের আসায় সীমান্তের অবৈধপথে ভারত পাড়ি জমায়। এরপর সেখানে রাজমিস্ত্রির যোগাড়ে হিসাবে কাজ করার সময় পুলিশের কাছে আটক হয়। সে প্রায় ৭ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আজ দেশে ফিরেছে।
বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে কোলকতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দুতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) এবং হেড অব চ্যাস্নেরী শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি বলেন, এরা ভালো কাজের আশায় আবার অনেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে পাসপোর্ট ভিসা বাদে ভারতে যায়। এরপর সেদেশের পুলিশের কাছে আটক হয়ে ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত জেল খাটে। এরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আদালতের মাধ্যেমে সুবায়ন, অলবেঙ্গলসহ বিভিন্ন শেল্টার হোমে ছিল। এরপর দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যেমে বিশেষ ট্রাভের পারমিটের মাধ্যেমে আজ দেশে ফেরে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তদন্ত ইলিয়াছ হোসেন বলেন, এরা দালাল এবং স্বইচ্ছায় অবৈধপথে ভারতে পাড়ি জমায়। আবার এর মধ্যে অনেকের বাবা মা এখনো ভারতে রয়েছে। তারা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে গেলেও তাদের ছেলে মেয়েরা পুলিশের কাছে আটক হয়। এরা বিভিন্ন শেল্টার হোমে থাকার পর আজ দেশে ফিরেছে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন, ফেরত আসা শিশু, কিশোর-কিশোরী ও মহিলাদের থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেসরারকী এনজিও সংস্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর এরিয়া ম্যানেজার আব্দুল মহিদ বলেন, যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও যশোর রাইটস নামে তিনটি এনজিও সংস্থা এদের গ্রহন করে এবং যশোরে নিজ নিজ শেল্টার হোমে নিয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
