বৈশাখের আগেই সরগরম বাগুড়ি বেলতলার বিখ্যাত আম বাজার
এখন চৈত্র মাস আর কিছুদিন পর বৈশাখ মাস আর বৈশাখ মাস পড়তে না পড়তেই শুরু হয়ে গেছে যশোর- সাতক্ষীরার সেই বিখ্যাত মৌসুমী ফল আম কেনাবেচা।
সোমবার ০৪-০৪-২২ সকাল ১০টার সময় বাগুড়ী বেলতলার বিখ্যাত আম বাজারে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে মৌসুমী ফল আম চড়া দামে বেচাকেনা চলছে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির আম যেমন, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ল্যাংড়া, হিমসাগর, আমরুপালি, মল্লিকা, এছাড়া নাম না জানা আরও অনেক প্রজাতির আম বেচাকেনা হয়। আর এইসব আমগুলো বৈশাখের শেষের দিকে বেচাকেনা শুরু হয়।
এখন বেচাকেনা হচ্ছে নানা প্রজাতির গুটি আম, গুটি আম বলতে (আটির আম বা টক আম বোঝাই) এই আম গ্রাম ও শহর সহ দেশ বিদেশের মানুষ টক খাওয়া ও আচার তৈরি করতে মৌসুমির প্রথম আম হিসাবে অনেক দাম দিয়েও ক্রয় করে থাকেন। এখন এই আমের দাম চলছে ২৫০০,৩০০০ থেকে ৩৫০০,৪০০০ টাকা মণ দরে। আম বিশেষ দাম যেমন আম ঠিক তার তেমনি মূল্য আছে।
সততা ফল ভান্ডার এর প্রোপাইটার মোঃ তাজউদ্দীন আহমেদ তিনি বলেন, আমাদের এই আম অন্যান্য জায়গার আমের থেকে বছরের প্রথম মৌসুমের শুরুতেই বেচাকেনা করা বা খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে, আর এই জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা যেমন ঢাকা, রাজশাহী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, চিটাগাং, বগুড়া, সহ অন্যান্য জায়গা থেকে আম ব্যবসায়ীরা আমাদের এই বেলতলা আম বাজারে আম কিনতে আসে।
ঢাকা থেকে আম কিনতে আসা মোঃ জালাল উদ্দিন ব্যাপারির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানকার আম অন্যান্য দেশ-বিদেশের আমের চাইতে সুস্বাদু ও মিষ্টি বলে এই আম দেশ বিদেশের মানুষের কাছে যশোর সাতক্ষীরার বিখ্যাত আম নামে পরিচিতি লাভ করেছে, এছাড়া এই আম অন্যান্য জায়গার আমের থেকে বাজার প্রথম ওঠে তাই আমরা বছরের প্রথমে এখানে ব্যবসা করতে আসি এবং সফলভাবে ব্যবসা করে দেশে ফিরে য়ায়।
সাতক্ষীরা ঝাউডাঙ্গা থেকে গুটি আম বিক্রি করতে আসা মোঃ হজরত আলী বলেন, আমরা এই বাজারে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে গুটি আম ও পাকা আম বিক্রয় করি এবং এই বাজারে কোন ঝামেলা ঝঞ্ঝাট ছাড়াই সঠিক মূল্য আম বেচাকেনা করতে পারি ও লভবান হতে পারি, সেইজন্য প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরে আমি সর্ব প্রথমে এই বাজারে আম বিক্রয় করতে আসেছি এবং বাকি যেগুলো আম আছে সেগুলো বিক্রয় করার উপযোগী হলে সেগুলো এক এক করে নিয়ে আসব ।
পরিশেষে আম বিক্রেতা ও ক্রেতা সহ এখানকার আড়ৎ দারদের মহান আল্লাহতালার কাছে একটাই চাওয়া, গেল দুই বছর যাবত আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে এ বছরে যেন সেই ক্ষতি আমরা উসুল বা (পুশিয়ে) নিতে পারি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)