খাস জমিতে অসহায় ভূমিহীন পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র পথও বন্ধ!
খাস জমিতে অসহায় ভূমিহীন পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র পথ বন্ধ করেছে একটি প্রভাবশালী মহল।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের কুখরালী গ্রামের বশির ব্রিজ প্রাণ সায়ের খালের প¦ার্শবর্তী খাসজমিতে প্রায় ৮০টি পরিবার বসবাস করে আসছিল। প্রাণ সায়ের খাল খনন করাকে কেন্দ্র করে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়, কিন্তু তাদের পুনবার্সন করা হয়নি। এরফলে তারা নিরুপায় হয়ে খালের আশপাশে ও বেড়িবাঁধ এর উপরে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, শিশুদের নিয়ে অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকে। ঐ এলাকায় খাল খনন কাজ শেষে পুনরায় ৩০ টি পরিবার সেখানে আশ্রয় নেয়। কিন্তু প্রভাবশালী ঠিকাদার ইকবাল জমার্দ্দার দীর্ঘদিন ঐ এলাকায় ইটের ভাটা ও খাসজমি দাপুটের সাথে দখল করে রেখেছে। এসবের প্রভাব বিস্তার করার লক্ষে সেখানে তার নিজস্ব লোক রেখেছে এবং ভূমিহীনদের চলাচলের একমাত্র পথটি লাঠিসোডার বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।
পৌর ভূমিহীন সমিতিরসহ সভাপতি খাদিজা খাতুন বলেন, ইকবাল জমার্দ্দার অসহায় ভ‚মিহীন পরিবারের মানুষদের দাবিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময়ে হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অতীতে আমাকে মারধর করে আমার দুই হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল এবং অনেক ভূমিহীনদের মারধর করেছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এ এলাকার সব খাস জমি তার নিজের দখলে রাখতে চায়।
পথটি কেন বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে ইকবাল জমার্দ্দারের উক্ত দখলীয় খাস জমিতে বসবাসরত রফিকুলের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, খাল খনন কাজ শেষ হলেই ইকবাল জমার্দ্দার সাহেব পথটি বন্ধ দিতে বলেছে, তাই আমি বন্ধ দিয়েছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিটি ভূমিহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকাংশে প্রকৃত ভুমিহীন পরিবার এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এখনও অনেক ভূমিহীন পরিবার বিভিন্ন নদী, খাল ও বেড়িবাঁধের উপর ছিন্নমূল অবস্থায় জীবনযাপন করছে। ভূমিহীন এসব পরিবারের দাবী, সরকারি ভাবে তাদের একটু মাথা গোজার ঠাই পেলে, তাদেরকে এ ধরনের হয়রানী ও দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হতো না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)