ইউক্রেনের সমরাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকেই ঘায়েল!
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জব্দ করা ট্যাংক, যানবাহনসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র আবার কিয়েভের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া। এ জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের খুব কাছেই তারা স্থাপন করেছে অত্যাধুনিক রিপেয়ার শপ।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ইউক্রেনের এক হাজারেরও বেশি ট্যাংক অকার্যকর ও ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি মস্কোর। আর রাশিয়ার ৭৭৩টি ট্যাংক ধ্বংসের পাল্টা দাবি ইউক্রেনের। খবর বিবিসির।
গত ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ধ্বংস হয়েছে উভয় পক্ষের শত শত ট্যাংকসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র। ইউক্রেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হওয়ায় দুপক্ষই একই ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। ফলে যুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ক্ষতিগ্রস্ত ট্যাংকসহ অন্যান্য সামরিক যান জব্দ করে সেগুলোকে মেরামতের পর আবার কিয়েভের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে রুশ বাহিনী।
এ জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের খুব কাছেই স্থাপন করেছে নতুন রিপেয়ার ওয়ার্কশপ। ক্ষতিগ্রস্ত সমরযানগুলোকে উদ্ধার করে প্রথমে এই রিপেয়ার শপে নেওয়া হচ্ছে। মেরামতের পর তা পাঠানো হচ্ছে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের কাছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত এসব ওয়ার্কশপে কাজ করতে পাঠানো হয়েছে দক্ষ টেকনিশিয়ানদের। একটি বিটিআর-৮০ সাঁজোয়াযানের ইঞ্জিন প্রতিস্থাপন করতে টেকনিশিয়ানদের সময় লাগছে আট ঘণ্টার মতো। প্রাথমিকভাবে এই ওয়ার্কশপ রুশ সামরিক সরঞ্জাম মেরামতের জন্য স্থাপিত হলেও আপাতত জব্দ করা ইউক্রেনীয় সামরিক সরঞ্জামই মেরামত হচ্ছে সেখানে।
গত মার্চের শেষের দিকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগও দাবি করেছিল যে, তাদের ক্ষতিগ্রস্ত সামরিক সরঞ্জাম পুনরুদ্ধারের পর আবারও ব্যবহার উপযোগী করে তোলার কাজ শুরু করেছে রুশ বাহিনী।
এদিকে যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত রাশিয়ার ৭৭৩টি ট্যাংকসহ দুই হাজারের বেশি সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসের দাবি করেছে কিয়েভ। আর ইউক্রেনের এক হাজারের বেশি ট্যাংকসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো।
তবে উভয়পক্ষের দাবি পাল্টা দাবিতে এটা পরিষ্কার যে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরা চলা এই যুদ্ধে শত শত ট্যাংকসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)