অভিনব খাওয়ার প্রতিযোগিতা! ৪০ খাদকদের পেটে ২ মণ খিচুড়ি ও ৩০ কেজি মাংস
কোনো বিয়ে বা অনুষ্ঠান বাড়ির আয়োজন নয়। সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছেন খিচুড়ি খাওয়ার জন্য। আর বেশি খেতে পারলেই মিলবে পুরস্কার।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বরিশাল নগরীর ভাটিখানা শরীফ বাড়ির গলিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই অভিনব ভোজন প্রতিযোগিতা।
রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয় তুমুল লড়াই। কে কার চেয়ে কতটা বেশি খিচুড়ি আর গরুর মাংস খেতে পারে, সেই লড়াই।
ব্যক্তি উদ্যোগে ভিন্ন স্বাদের আনন্দ দিতে স্থানীয় টুলু শরীফ কয়েক বছর ধরে এলাকাবাসীকে নিয়ে এই আয়োজন করে আসছেন।
তিনি জানান, ভোজন প্রতিযোগিতায় চাচা ও ভাতিজা নাম দিয়ে দুটি দল করা হয়। দুই দলে ২০ জন করে ৪০ জন অংশ নেন। দুই দলের ২ মণ খিচুড়ি ও ৩০ কেজি গরুর মাংস রান্না করা হয়। যে দল বেশি খেতে পারে, তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার।
অংশগ্রহণকারী খাদকদের কারও বয়স ১৮, কারও আবার ৬০। তবে তাদের কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দেখে বোঝার উপায় নেই কার বয়স কত। যদিও যতটা-না খাওয়া, তার চেয়ে আনন্দে মেতে ওঠার জন্যই এতে অংশ নেওয়া বলে জানান ভোজনকারীরা।
প্রতিযোগিতায় ৩৮ কেজি খিচুড়ি আর ১৫ কেজি গরুর মাংস হজম করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভাতিজা গ্রুপ। আর চাচা গ্রুপ ৩২ কেজি পর্যন্ত সাবাড় করতে পেরেছে। হয়েছে রানার্স আপ। খেতে পেরে দুপক্ষেরই আনন্দের সীমা নেই।
একটা সময় গ্রামগঞ্জে বিনোদনমূলক নানা ধরনের আয়োজন হতো। তবে দৈনন্দিন যান্ত্রিকতা, করোনা আর সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে অনেকটাই একঘরে করেছে। সেখানে স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে এ ধরনের আয়োজন মানুষে মানুষে বন্ধন আরও মজবুত করবে বলে আশা ভোজনরসিক দর্শনার্থী এবং বিশেষ অতিথিদের।
উদরপূর্তির প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দুপক্ষের মাঝে ট্রফি তুলে দেন পুলিশ ইনভেস্টেকেশন ব্যুরো অব বাংলাদেশ, পিবিআইয়ের বরিশাল সুপার আতিকুল ইসলাম। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ভোজন প্রতিযোগিতার এই ব্যতিক্রমী আয়োজন ।
তথ্যসূত্র: সময় নিউজ
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)