রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়া পাকিস্থানী হানাদার মুক্ত দিবস ৬ ডিসেম্বর

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কলারোয়া থেকে পাকিস্থানী হানাদারদের বিতাড়িত করে মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে মুক্ত দিবস পালন করেন। দীর্ঘ ৯ মাস কলারোয়ার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীকে হটিয়ে অবরুদ্ধ কলারোয়াকে এই দিন মুক্ত করেন।

সূত্র মতে, মহান মুক্তিযুদ্ধে কলারোয়ায় ৩৪৩ জন বীর সন্তান যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। শহীদ হন ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা এর মধ্যে কলারোয়ার বীর সন্তান ৯ জন। আর এ পর্যন্ত কলারোয়ার ৮টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল ময়দানের পার্শ্বে অবস্থিত গণকবরে শায়িত রয়েছেন গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী শহীদ মুন্সী সাহেব আলী, মুন্সী মহসীন আলী, সুভাষ চন্দ্র, শিশির চন্দ্র, ও মনোরঞ্জন সহ নাম না জানা আরো অনেকে।

দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে কলারোয়ায় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয় ৬টি। প্রতিটি যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে পাকবাহিনীকে পরাস্থ করে। কলারোয়া অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে শতাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদ। প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন এমসিএ প্রয়াত মমতাজ আহম্মেদ, প্রয়াত ভাষা সৈনিক শেখ আমানুল্যাহ, সাবেক সংসদ সদস্য বি,এম নজরুল ইসলাম, প্রয়াত মোসলেম উদ্দীন, স্বর্গীয় শ্যামপদ শেঠ, প্রয়াত ইনতাজ আহম্মেদ, প্রয়াত মোছলদ্দীন গাইন, প্রয়াত ডাঃ আহম্মদ আলী প্রমুখ। কলারোয়া এলাকা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের অধীনে।

পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ পরিচালনা করেন কলারোয়ার দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন ও আব্দুল গফ্ফার। এই দুই যুদ্ধকালিন কমান্ডারের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন কলারোয়ার বীর সন্তান সৈয়দ আলী, গোলাম মোস্তফা, আবুল হোসেন, আঃ রউফ, আনোয়ার হোসেন, কার্ত্তীক চন্দ্র, মালেক সহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে সংগঠিত রক্তক্ষয়ী ওই যুদ্ধে ৬ শতাধিক পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়। কলারোয়ায় পাক হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি বড় ধরনের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধেই ২৯ জন পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়।

শহীদ হয় ১৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর কলারোয়ার সীমান্ত এলাকা কাঁকডাঙ্গা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনের মুখে হানাদাররা কাঁকডাঙ্গা ও দমদম ঘাঁটি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এ ভাবে দীর্ঘ ৯ মাস কলারোয়ার বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনে অবশেষে ৬ ডিসেম্বর পাকিস্থানী সেনারা কলারোয়া ছেড়ে পালিয়ে গেলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কলারোয়া মুক্ত করে স্বাধীন দেশের লাল-সবুজের পতাকা (জাতীয়) উত্তোলন করেন। এই খুশির দিনে কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকার মুক্তিকামী মানুষ আনন্দ, উল্লাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে মুক্ত জীবনের বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করেন।

উল্লেখ্য, পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালনের লক্ষ্যে কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি সাবেক এমপি হাবিবের

সেলিম হায়দার, তালা (সাতক্ষীরা): আমি এ এলাকায় কাজ করতে চাই। আমার দ্বারাবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন,বিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় ডাকসু’র পক্ষে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ

দেবহাটা প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)তে নবনির্বাচিত বিজয়ীদের পক্ষ থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর আছে, চলাচলের রাস্তা নেই, নেই কবরস্থানও
  • জামায়াতে ইসলামির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে: ইজ্জত উল্লাহ
  • মানুষের কাছের মানুষ কলারোয়ার মানবিক ইউএনও জহুরুল ইসলাম
  • কলারোয়ায় ব্র্যাকের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মশালা
  • সাতক্ষীরায় ৯-১৫ বছর বয়সী ৫লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে
  • কলারোয়ায় কৃষি ব্যাংকের তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে গ্রাহক সমাবেশ
  • বেত্রবতী হাইস্কুলে শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা
  • কলারোয়ার নবাগত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শুভেচ্ছা জানালেন শিক্ষকরা
  • কলারোয়ার কেরালকাতায় ডিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
  • কলারোয়ায় ‘জীবন পরিবর্তনে হজ্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও হজ্ব ওরিয়েন্টেশন
  • কলারোয়া বেত্রবতী হাইস্কুলে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(সাঃ)উদযাপন
  • কলারোয়ার কেঁড়াগাছিতে ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিকরা চ্যাম্পিয়ন